ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার দু’টি ইউনিয়ন আলগী ও হামিরদীকে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে এলাকাবাসী। সোমবার সকাল ১০টা থেকে অবরোধ শুরু করেন তারা। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েছে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।
এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া ভাঙ্গা থানার ভেতরে ঢুকে ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা।
বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত রয়েছে। সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভাঙ্গা ঈদগা মসজিদের সামনে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে এলাকাবাসী। জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার লোকজন বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে ভাঙ্গা দক্ষিণ পাড় বাসস্ট্যান্ডে এসে জড়ো হতে থাকেন এবং রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ভাঙ্গা থেকে যে দু’টি ইউনিয়ন কর্তন করা হয়েছে সেই দু’টি ইউনিয়নকে ভাঙ্গার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার কথাও জানান তারা।
এর আগে একই প্রতিবাদে গতকাল রোববার মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন তারা। এতে ঢাকার সঙ্গে ২১টি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রেল যোগাযোগও।
৪ সেপ্টেম্বর গেজেটের মাধ্যমে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এর পর থেকে ভাঙ্গায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর একটানা গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে। শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে রোববার শুরু হয় কর্মসূচি। এরপর আজ সোমবার মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
Add Comment