শীর্ষ সংবাদ সারাদেশ

আমি অপহৃত হয়নি; আমি স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত

বিশেষ প্রতিনিধি: অদ্য ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, রিপোর্টাস ইউনিটি, সেগুন বাগিচা, ঢাকা সাংবাদিক সম্মেলনে হাসনুর জান্নাত রিমা তার লিখিত বক্তেব্যে জানান আমি অপহৃত হয়নি আমার স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছি।
তিনি তার নিমোক্ত পরিচয় উত্থাপন করেন- পিতা-ডা. মোঃ আমির হোসেন, মাতা-মরহুমা হোসনে আরা, পৈত্রিক নিবাসঃ সাং-শশীভূষন দেওয়ান বাড়ী, ডাকঘ+থানা-শশীভূষন, উপজেলা-চরফ্যাশন, জেলা-ভোলা। স্বামীর বর্তমান ঠিকানা ঃ সাং-ইকুরিয়া, হাসনাবাদ হাউজিং, থানা-কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা এবং বর্তমানে অবস্থান-৫৫/১, বনানী, ঢাকা। জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৯৮৮২৬১৩৮৬৯০০০৩০৪, স্মার্ট আইডি নং-১৯১ ৯৭৯ ৫৫৮১, টিআইএন নং-১৮১৪৩৪৬৩২৩১৩, সার্কেল-২৬১, অঞ্চল-১২, ঢাকা। আমার সহিত ১১.০৮.২০০৪ ইং তারিখে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদার (৪৫), পিতা-মোঃ সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার, সাং-চরলক্ষীপুর, থানা-মুলাদি, জেলা-বরিশাল এবং বর্তমান ঠিকানা ইকুরিয়া খালপাড়, ডাকঘর-ঢাকা জুট মিল্স-১৩১১, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। সংবাদ সম্মেলনে রীমা বলেন-আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার পেশা-শিক্ষাকতা ও গৃহিণী। প্রায় ১ যুগের বেশী সময় ধরে স্বামীর সংসারে ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলাধীন কেরাণীগঞ্জ থানার শুভাড্ডা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলকায় বসবাস করে আসছিলাম। আমার স্বামী বিভিন্ন ধরণের ব্যবসার সাথে জড়িত, তিনি অতি চালাক ও চতুর প্রকৃতির মানুষ। আমাদের ঔরষে নাবালিকা ২ (দুই) কন্যা সন্তান রয়েছে, তাদের নাম যথাক্রমে আয়েশা মরিয়ম ঐশী (১২) এবং মায়িশা মেহেরুন ঐফা (৯)। আমি ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামী শরিয়াত ও আকিদায় অভ্যস্ত। কিন্তু আমার স্বামীর অমানবিক নির্যাতন কারণে আমাকে বেপর্দা এবং পরপূরুষের সম্মুখে যেতে বাধ্য হতে হয়েছে। এসব অত্যাচারের প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আমার কন্যাদ্বয়। উল্লেখ্য ১১.০৩.২০২০ইং রাতে আমার স্বামী আমার কন্যা আয়েশা মরিয়ম ঐশী (১২) উপস্থিতিতে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম প্রহার করে এবং বাসা থেকে এক কাপড়ে বেরিয়ে দেয়। আমি কঠোর পরিশ্রমী সংগতকারণে স্বামীর সংসারে থেকেও চাকুরী, হাতের সেলাই, বিভিন্ন পন্য সরবরাহ করে অর্থ উপর্জন করে স্বামীর বিপদে আপদে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু আমার স্বামীর সীমাহীন চাওয়া পাওয়ায় আমি হেরে গেছি। আমার পরিবার পরিজনের কাছে স্বামীর সম্মান এবং ইজ্জত রক্ষায় কোন অভিযোগ করিনি। আমি সম্পদ অর্জণ করেছি, যা স্বামীকে উজাড় করে দিয়েছি। আমি আমার স্বামীর কাছে যা চেয়েছি তা সে দেয়নি। আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েও পাপ জেনে সেপথ গ্রহণ করিনি। আমি শুধুমাত্র আমার কন্যা সন্তানদেরকে বুকে জড়িয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছি। বিয়ে নামক সুখ আমার কাছে কোনদিন ছিল না এখনও নাই, সেটি পাওয়ার প্রত্যাশাও করি না। আমি কখনো অপহরণ হয়নি বা আমাকে বা আমার সন্তানদ্বয়কে কেউ অপহরণ করা হয়নি। অথচ আমাকে পাগল সাজিয়ে শাস্তি দিয়েছে। তাছাড়া আমার স্বামী আমাকে পরকীয় ও চরিত্রাহীন প্রমানে ব্যর্থ হয়ে এই বৈশ্বিক মহামারীতে আমার স্বামী মিজানুর রহমান আমাকে পাগল সাবস্ত করে আল মামুন এবং মোঃ নোমান আহমদের মাধ্যমে গ্রীন রোডস্থিত ব্রেইন এন্ড লাইফ নামক মানসিক হসপিটালে ভর্ত্তি করায়। সেখানে দীর্ঘদিন অর্থাৎ ২ মাস নির্মম চিকিৎসা নামক সেবা ও নির্মম নিযার্তন শেষে যখন আমি বাসায় ফিরি। তখন আমাকে আমার মেয়েদের সামনে জোর পূর্বক সাদা কাগজ ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে এবং আমার নামীয় ব্যাংক একাউন্ডের কয়েকটি পাতা জোর পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে আমার স্বামী শারিরিক ও পাশবিক অমানবিক নির্যাতন করে। সংগত কারণে এই অমানুষের সাথে কোন অবস্থায় সংসার জীবন পরিচালনা সম্ভব নয় বিধায় বিগত ১৫.০৩.২০২০–ইং তারিখে এলিফ্যান্ট রোডস্থিত কাজীর মাধ্যমে ১৫.০৩.২০২০ইং তারিখের নোটারী হলফনামার মাধ্যমে তালাকে তাফাউজ প্রদান করি। ইতোপূের্ব আমার স্বামীর আচারণে আমার মনে হয়েছে-আমার স্বামী আমাকে যে কোন সময় অপহরণ বা মারত্মক ধরণের ক্ষতি সাধিত করতে পারেন। সংগত কারণে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ন দলিলাদি (অলিখিত সাদা স্ট্রাম্প, তালাক প্রত্যাহারের হলফনামা, হাসনাবাদ হাউজিং ফ্ল্যাটের জমির কাগজ, হাসনাবাদ হাউজিং মডেল স্কুলের শেয়ার, সিরাজদিখানের জমির কাগজ, মুজাহিদ নগরের জমির কাগজ, জগন্নাথ অধিগ্রহণের জমির কাগজ, উইসিবি ব্যাংকের ৩টি অলিখিত চেকের পাতা ছিনিয়ে নেয়। আমার নিকট হতে জোরপূর্বক স্বাক্ষরকৃত স্টাম্প ফেরৎ প্রদান, তালাক কার্যকরীকরণ এবং স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করতে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্ট-(সিএইচআরএম) নিকট ০৯.০৭.২০২০ইং তারিখে একটি মানবিক সহায়তা পাবার জন্য আবেদন করি। আমার আবেদনের পর আমার স্বামী আমাকে বিভিন্নভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন, অন্যায়, অমানবিক ও অনাকাংঙ্খিত হয়রানিমূলক মামলা প্রদান ও হুমকী প্রদান করছে। আমি একজন অসহায় নারী, একজন অসহায় মা, বর্তমান আমার সাবেক স্বামীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকগ্রস্থ। বর্তমানে আমার ২টি নাবালিকা সন্তান নিয়ে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। আমি আমার পাষান্ড স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই। আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমাদের বেঁচে থাকার নিরাপত্তা চাই। উল্লেখ্য আমি এবং আমার কন্যাদ্বয় কখনোও অপহরণ বা গুম হইনি। এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন হাসনুর জান্নাত রিমাসহ তার দুই কন্যা, হাজী শফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্ট, মোঃ রেজাউল করিম সাগর, যুগ্ম মহাসচিব, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্ট এবং সভাপতিত্ব করবেন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান এ এস এম মাহফুজার রহমান।

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১