জাতীয়

আবরার হত্যায় ২০ আসামির ফাঁসি

বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ২০ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। এছাড়া এ মামলায় আরও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।

আবরার ফাহাদ
আবরার ফাহাদ

বুধবার (৮ডিসেম্বর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
বুধবার (৮ডিসেম্বর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাদের আদালতে আনা হয়।

দুই বছর তিন মাস পর এ হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় হলো আজ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চেয়েছিল আবরারের পরিবার।গত ২৮ নভেম্বর ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় পরবর্তী আজ (৮ ডিসেম্বর) রায়ের দিন দেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাহাদ। এর জের ধরে পরদিন ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী। তারা আবরারের ১০১১ নম্বর রুমে গিয়ে রাতে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তার ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোনসহ ২০১১ নম্বর রুমে নিয়ে আসে। এরপর ওই কক্ষে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পরদিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। মোট আসামির মধ্যে ২২ জনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে। পলাতক রয়েছে তিন জন। তারা সবাই বুয়েট ছাত্রলীগ কর্মী।

বিচার চলাকালে ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়।

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০