জাতীয়

খুলনা এলাকার গর্ব : মানবদরদী আইনজ্ঞ গাজী সিরাজুল ইসলাম

তামান্না-ই-জিহাদী, বিএল কলেজ প্রতিনিধি, খুলনা ::

বৃট্রিশ আমলের গ্রাজুয়েট সরকারী চাকুরীজীবী ধর্মপ্রান সমাজ সমাজ সচেতন ব্যক্তিত্ব গাজী মোঃ আজিজুর রহমান (রহ:) এবং বিদুষি মুহতারামা আয়েশা খাতুন (রহঃ)-এর ঔরষে ১৯৭০ সালের শুভক্ষণে জন্ম গ্রহণ করেন-খুলনা জেলার রূপসা থানার পশ্চিম নন্দনপুরেেঐতিহ্যবাহী গাজী পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম মানবদরদী একজন মানুষ লায়ন আলহাজ্ব ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম, পিএমজেএফ।

লাহোর প্রস্তাবের স্বপ্ন, ভাষা আন্দোলনের আলোড়ন, ৫৬ যুক্তফন্টের সফলতা, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ গণ আন্দোলন এবং ১৯৭০ নির্বাচনের বিজয়ে শিহরিত মুক্তিযুদ্ধের লড়াকু সৈনিক পিতা গাজী মোঃ আজিজুর রহমান (রহ:) অন্তর আত্মা আলোকিত হতে থাকে এবং মাতা মুহতারামা আয়েশা খাতুন (রহঃ)-স্বপ্ন  জুড়ে হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা, স্নেহ, দোয়ার পরশে বড় হতে থাকেন বালক ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম। মায়ের পরম আদরে এবং পিতার নিবীড় তত্ত্বাবধাণে অন্যান্য ভাই-বোনদের থেকে একটু অন্য রকম বেশী ধর্মীয় শিক্ষা-বাল্য শিক্ষা, আচার, আচারণ ও প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। গভীর মননশীলতা, মেধা, মিস্টি স্বভাবে বালক ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন করেন স্থানীয় বিদ্যালয়ে। মেধাবী ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম এস.এস.সি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে পিতা-মাতার স্বপ্নকে আলোকিত করেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৮ বিএমএ লং কোর্স সফলতার সাথে (১৭-০৭-১৯৮৯ হতে ২০-০৭-১৯৯০) কর্মরত ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মেধা আর পরিশ্রমে Minor Unit in Charge of Amiri Guard Brigade, Akher Subhan, Kuwait বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। নিয়তির খেলা বুঝা বড় দায়-সমাজ সংসারে যারা সুপ্রতিষ্টিত হয়েছেন-তাদেরকে কঠিন পরীক্ষার সমমূখীন হতে হয়, এ ক্ষেত্রে লায়ন আলহাজ্ব ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম জীবনে ব্যতিক্রম নয়।

দৃঢ় মনোবল নিয়ে ব্যাচেলর অব আর্ট পরীক্ষায় অংশ নিলেন, , আমার পরম আত্মার আত্মীয়ের মাধ্যমে তাঁকে জানা এবং চেনা। দেশখ্যাত আইনজীবী (বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট), বহু আইন গ্রন্থের লেখক, মানবিক ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী, উদার পারিবারিক বন্ধনকারী, সজ্জন, সদালাপী, অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব এডভোকেট লায়ন ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম-খুলনা এলাকার গর্ব।

আমার খুব কাছ থেকে শ্রদ্ধেয় আলহাজ্ব এডভোকেট লায়ন ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম দেখার সুবাদে শ্রদ্ধা জানতে আমার এ নিবন্ধ। তিনি একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর  হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্ট-এর অন্যতম ফেলো সদস্য সহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত । আশা করছি-মানবিকতার উচ্চতর শিখরে উঠে তিনি বিশ্ববাসির কাছে-মানবতার পক্ষের কাজ করে দৃষ্ঠান্ত উপস্থাপন করবেন।

আলহাজ্ব এডভোকেট লায়ন ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম যে সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তা নিম্নে উত্থাপন করা হলো :

ক. পেশাগত : ১) এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, ২) সদস্য-বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ৩) আজাীবন সদস্য-ঢাকা বার অ্যাসোশিয়েশন, ৪) অ্যাসোয়িয়েট সদস্য-খুলনা বার অ্যাসোশিয়েশন, ৫) সদস্য ট্যাক্সেস বার অ্যাসোশিয়েশন এবং হেড অব চেম্বার, ড. গাজী এন্ড অ্যাসোশিয়েট।

খ. সামাজিক কর্মকান্ড : জাতীয় পর্যায় 1) Permanent Member : Army Golf Club, BGC, 2) Permanent Member : All Community Club, Gulshan, Dhaka, 3) The Honorable Fellow Member-Centre For Human Rights Movement-CHRM, 4) Adviser-Access to Human Rights International,   ১) সম্মানিত ফেলো সদস্য-সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্ট, ২) উপদেষ্ঠা-এক্সেস টু হিউম্যান রাইট্স ইন্টারন্যাশনাল

আন্তর্জাতিক পর্যায় : 1) Member, The Honorable Society of Lincoln’s Inn, UK, 2)  সাধারণ সম্পাদক, লায়ন ক্লাব অব ঢাকা ক্যাপিটেল গার্ডেন, ডিস্টিক ৩১৫-বি-৩,  ২) জোন চেয়ারপার্সনসহ পিএমজেএফ

আমার সাথে প্রথম দেখা-ঢাকার অভিজাত কনভেনশন হলের একটি বিবাহের অনুষ্ঠানে। ঐ অনুষ্ঠানে আমার উপস্থিতির কারণে শ্রদ্ধেয় আলহাজ্ব এডভোকেট লায়ন ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অনেকগুন বেড়ে যায়। আমি রামপালে মেয়ে। অথচ ঢাকার ঐ অভিজাত কনভেনশন হলে আমার সাথে দেখা হয়ে কয়েক ডজন আমার এলাকার (রামপালের) সাধারণ মানুষের সাথে। যাদের পোষাক-পরিচ্ছদ দেখে আমি দারুণভাবে পুলকিত হলাম কারণ তাঁদের অনেককে আমার চিনতে কষ্ট হচ্ছিল, কারণ অতীতে তাদেরকে এমন অভিজাত অভিজাত পোষাকে আগে কোন দিন দেখিনি।

বলতে লজ্বা নেই, এর আগে এত উন্নত ও অভিজাত আপ্পায়ন কখনও কোন অনুষ্ঠানে পাইনি বটে। আগেই উল্লেখ করেছি এটি একটি বিবাহের অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে অনেক মেহমানদেরকে আমি বিভিন্ন সময়ে টিভিতে দেখেছি। ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আরেফিফন সিদ্দিকী স্যার, দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, সামরিক ও বেসামরিক জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিত্ব। উক্ত অভিজাত-উন্নত পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমার চাচু আলহাজ্ব ড. মোঃ মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদসহ তার খুবই কাছে বন্ধু লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামকে বলবেন-না!! কোন উপহার দেওয়ার সূযোগ নেই।

আমি তখন ঢাকার কাকরাইলের হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলার বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাস্ট গার্ল। সুতরাং আমার আমার চাচু এবং ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের কথার সামান্যটা বুঝতে চেষ্টা করছিলাম। পরবর্তীতে

যাইহোক খোলাসা করে বললে বেমানান মনে হবে না মনে হয়, তবে একটি আর্দশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব ইনশাআল্লাহ। আগেই বলে নেওয়া ভালো-আমার নানাবাড়ীর একজন আত্মীয়া তিনিও অনুষ্ঠানে ছিলেন, আমাকে দেখে কানে কানে যেটি বললেন-সেটি পাঠকদেরকে বলা অপ্রসাঙ্গিক কারণ সমাজে ভদ্রবেশী অনেকে মুখোঁশ উম্মোচিত হয়ে যাবে !!!

ঠিক ৪ বৎসর পর আমার চাচির একটি গল্প থেকে শোনা-অন্য একটি বিবাহের অনুষ্ঠানে-একটি মন্তব্যের বিষয়ে।। এতবড় অনুষ্ঠান অথচ নিজ এলাকার মাত্র একজন অতিথি। সেদিনও ড. শেখ ফরিদ চাচুও নাকি অনুষ্ঠানে ছিলেন-তিনি নাকি একটি মন্তব্য করে বিব্রত হয়েছিলেন। আমার পরিচিত একজন এডভোকেট চাচু তিনি উপহার হিসেবে যেটা দিয়েছিলেন সেটা নাকি-একটি মেন্যুর পাঁচ ভাগের একভাগ। এত কম টাকা বিবাহের উপহার দেওয়ায় অনুষ্ঠানের আয়োজক ও গালিগালাজ ও অশোভন মন্তব্য করে একটি খারাপ কাজের দৃষ্টান্ত রাখলেন। আল্লাহ আমার ঐ শ্রদ্ধাভাজন মানুষটি সঠিক জ্ঞান দান করুন।’’

সাধুবাদ জানাই-খুলনা এলকার গর্ব আলহাজ্ব এডভোকেট লায়ন ড. গাজী সিরাজুল ইসলাম, সম্প্রতি তিনি মানব সেবায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা দিয়েছেন। তিনি লায়ন ক্লাব অব ঢাকা ক্যাপিটেল গার্ডেন, ডিস্টিক ৩১৫-বি-৩, জোন চেয়ারপার্সনসহ পিএমজেএফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন—-(চলবে)

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১