১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি এবং লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় পৌনে দুই ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নিজ নিজ জোটের এবং এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমদ ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান নিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
দুই জোটের নেতাদের মধ্যে বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারি, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকিব, জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরামসহ জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ১২ দল নিয়ে ‘১২ দলীয় জোট’ এবং ১১ দল নিয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ যুগপৎভাবে অংশ নেয়। ১২ দলীয় জোটের শরিকরা হলো, জাতীয় পাটির্ (কাজী জাফর), এলডিপির একাংশ, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ, লেবার পার্টির একাংশ, কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক পার্টি, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টি, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শরিকরা হলো, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জাগপার একাংশ, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্প ধারা, সাম্যবাদী দল, গণদল, ন্যাপ-ভাসানী, ইসলামী ঐক্যজোট, পিপলস লীগ ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি।
Add Comment