
বাগেরহাটের সংসদীয় আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করাকে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা এবং আগের মতো সেখানে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর ১৬ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এই শুনানি হবে। এই সময়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
এর আগে এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে বাগেরহাটে সংসদীয় আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিন আসন করা–সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তকে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণার পাশাপাশি আগের মতো বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই রায় স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার পৃথক আবেদন করেন। আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করেন। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং সালাহ উদ্দিন সরকারের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান শুনানিতে ছিলেন।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৬ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন চেম্বার আদালত। এই সময়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পক্ষ দুটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল, একটি কমিয়ে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়েছিল। বাগেরহাট-৪ আসন কেটে দিয়ে গাজীপুর-৬ আসন করা হয়েছিল। এর আগে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে ১০ নভেম্বর রায় দেওয়া হয়।
বাগেরহাট প্রেসক্লাব, বাগেরহাট জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, বাগেরহাট জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. শেখ মাসুদ রানা রিটটি করেন।









Add Comment