শুরুতেই তানজীদ হাসান তামিমের বিদায়, এরপর পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটি। পরে হৃদয়ের ফিফটি আর বাকিদের টুকড়ো টুকড়ো অবদানে আড়াইশ ছোয়া সংগ্রহ। সেটা তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৯ বলে ফিফটি করেন লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। প্রথম ১০ ওভারে তার ব্যাটিং ঝড়ে রীতিমতো অসহায় লাগছিল বাংলাদেশের বোলারদের। তবে এরপর টানা দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান স্পিনার তানভীর ইসলাম। সেই যে চাপে পড়লো লঙ্কানরা, টাইগার বোলাররা সেই চাপ ধরে রাখলো ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। শেষ দিকে জেনিথ লড়াই করলেও সেটা শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে। আর তাতে বাংলাদেশ পেলো রোমাঞ্চকর এক জয়। যে জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ ব্যবধানে সমতায়। ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ শ্রীলঙ্কাকে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ২৪৮ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। জবাবে ২৩২ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ৩৯ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন তানভীর।
রান তাড়ায় লঙ্কানদের বিষ্ফোরক শুরু এনে দেন কুশল মেন্ডিস। শুরুতেই পাথুম নিশাঙ্কা ফেরার পর উইকেটে আসেন তিনি। এসেই তানভীর থেকে মোস্তাফিজ সবাইকেই পেটানো শুরু করেন। মাত্র ১৯ বলে পৌছে যান ফিফটিতে। তবে যে তানভীরকে দিয়ে ঝড়ের শুরু করেছিলেন তার শিকার হয়েই ফেরেন কুশল। এরপর কামিন্দু, চারিথ আসালাঙ্কারা উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন শামিম পাটোয়ারি আর মেহেদী হাসান মিরাজও।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আগের ম্যাচে ফিফটি করা তানজীদ হাসান তামিম ফিরে যান। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন পারভেজ হোসেন ইমন। ১২তম ওভারে চারিথ আসালঙ্কাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্ণারে ধরা পড়েন শান্ত। ১৯ বলে ১৪ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ৪৬ বলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ইমন। তবে ফিফটির পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফেরার আগে ৬৯ বলে ৬৭ রান করেছেন এই ওপেনার।
এরপর একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ফিফটি তুলে নেন তাউহীদ হৃদয়। তবে তানজীম সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি। এর আগে করেন ৬৯ বলে ৫১ রান। ২ চার ও সমান ছক্কায় ২১ বলে ৩৩ রান করে আরেক প্রান্তে অপরাজিত থাকেন তানজিম। শেষ উইকেটে ৩০ রান যোগ করেন তানজিম–মোস্তাফিজ। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া পারভেজ হোসেন ইমন করেন ৬৭ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ উইকেট পান আশিথা ফার্নান্দো, ৩ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা।
Add Comment