মোঃ মিশারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক :: একনজরে সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
“সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট” এই সংস্থা একটি কল্যাণমূলক, সমাজ ও দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির উন্নয়নমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, অলাভজনক, স¤পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সংস্থা। এক বা একাধিক বিষয়ের বা বিভিন্ন কার্যক্রমের সমম্বয়ে সমাজ কল্যাণমূলক ও মানব-হিতৈষী কাজ করাই এ সংস্থার মূল আদর্শ ও উদ্দেশ্য।
এক নজরে সংস্থার পরিচিতি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ
সংস্থার নাম : ‘‘সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট” Centre For Human Rights Movement
সংস্থার প্রতিষ্ঠাকাল : ১০ই ডিসেম্বর ২০০৫ইং
সংস্থার সরকারী অনুমোদন লাভ : ২৭/০২/২০০৭ইং, গভঃ রেজিঃ নং-ঢ ০৮০০৯
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের নাম : ডঃ অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম ভূইয়া
মহাসচিবের নাম : আলহাজ্ব ড. মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ
সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যান : ড. মোঃ জিযাউর রহমান, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং মহাসচিব আলহাজ্ব আব্দুল শামীম সেরনিয়াবাত
সংস্থার রেজিষ্টার্ড ঠিকানা : আকমল ম্যানশন, ৮৯/১, কাকরাইল (দোতালা), রূম নং-১২৮, ১২৫ ও ১৩২, থানা-রমনা, জেলা-ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন নং- ০২ ৮৩৩৩৪১৬, ০১৯৭৩৩৭৭৭৭৯, ০১৭১১৪৮৫৫৬০
সংস্থার কার্য এলাকা : সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী কার্য্যক্রম সম্প্রসারিত।
সংস্থার আদর্শ ও উদ্দেশ্য ঃ এই সংস্থা একটি কল্যাণমূলক, অরাজনৈতিক, সমাজ ও দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির উন্নয়নমূলক স্বেচ্ছাসেবী, অলাভজনক সংস্থা। এক বা একাধিক বিষয়ের বা বিভিন্ন কার্যক্রমের সমম্বয়ে সমাজ কল্যাণমূলক ও মানব-হিতৈষী কাজ করাই ও সংস্থার মূল আদর্শ ও উদ্দেশ্য।
সংস্থার বিস্তারিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ
(ক) মানবাধিকার সংরক্ষণ কর্মসূচী ঃ মানবাধিকার লংঘনের শিকার এবং আইনী লড়াইয়ে অক্ষম ও অসহায় ব্যক্তিদের বিনা মূল্যে আইনী সহায়তা প্রদান করা নারী-পুরুষ তথা জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সাংবাদিক, শিক্ষক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, মুক্তিযোদ্ধাসহ পেশাজীবিদের কল্যাণে কাজ করা এবং সর্বোপরি সব ধরণের সংবাদ কর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনী সহায়তা প্রদান করা, সাথে সাথে বাংলাদেশের সংবিধানকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে আইনের মাধ্যমে উলেখযোগ্য ভূমিকা রাখা এবং এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইন শৃংখলা রক্ষায় এ সংস্থার মাধ্যমে জনস্বার্থে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা।
(খ) শিক্ষা বিষয়ক কর্মসূচী ঃ
(গ) পরিবেশ সংরক্ষণ কর্মসূচী ঃ
(ঘ) দুঃস্থদের চিকিৎসা সেবা কর্মসূচী ঃ
(ঙ) নারী ও শিশু অধিকার কর্মসূচী ঃ নারী সমাজকে নির্ভরশীলতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করে সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড জোরদার করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্য়ক্রম পরিচালনা করা। নারী অধিকার ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আইনগতঃ সহায়তা প্রদান করা। দেশের অবহেলিত গরীব ছিন্নমূল টোকাই শিশুদের পুণর্বাসনের জন্য ড্রপ-ইন-সেন্টার স্থাপন করা এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সামাজিক পরিবেশগত মান-উন্নয়ন করা এবং ডকুমেন্টেশন ফিল্ম এর মাধ্যমে গণ-সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বাল্য বিবাহ, বহুবিবাহ, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। শিশু পাচার, শিশু শ্রম ইত্যাদির বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ এবং শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা বিষয়ক সকল প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করা।
(চ) এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রমঃ
ক্যান্সার, এইচ, আই, ভি/এইডস, প্লেগ ইত্যাদি মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে পরিকল্পিত ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে হাসপাতাল স্থাপন।
উপরোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছাড়া অত্র সংস্থা নিম্নলিখিত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তা হল ঃ
(ছ) গবেষণামূলক কার্যক্রম, (জ) ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার কর্মসূচী, (ঝ) অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন, (ঞ) মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচী, (ট) কৃষি, মৎস্য ও পশু সম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচী, (ঠ) ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পর্কিত কর্মসূচী, (ড) পরিবেশ সংরক্ষণ কর্মসূচী, (ঢ) সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার সাথে সৌহার্দমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, (ণ) মাতৃমঙ্গল, (ত) সমাজ সচেতনতামূলক প্রামান্য চিত্র ও প্রকাশনা, (থ) বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরকে পূনর্বাসন কর্মসূচী।
সংস্থার সদস্য/সদস্যাদের শ্রেণী বিভাগ : সংস্থার ৩(তিন) ধরনের সদস্য নিয়ে গঠিত ঃ (ক) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য. (খ) সাধারণ সদস্য. (গ) আজীবন সদস্য।
সদস্য/সদস্যাদের যোগ্যতা ঃ
(ক) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ঃ যে সকল সদস্য/সদস্যাগণ এই প্রতিষ্ঠান/সংস্থা স্থাপনের স্বাক্ষরদাতা হবেন তাঁরা সকলেই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য/সদস্যা হিসাবে গণ্য হবেন।
(খ) সাধারণ সদস্যঃ সাধারণ সদস্য/সদস্যাদের যোগ্যতা ৮ ধারা মোতাবেক করা হবে।
(গ) আজীবন সদস্য ঃ যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক এককালীন ২০,০০০/- (বিশশ হাজার) টাকা মাত্র বা সমমূল্যের সম্পদ দান করে আজীবন সদস্য/সদস্যা পদ লাভ করতে পারবেন।
সদস্য/সদস্যাদের অধিকার ও সুবিধা ঃ আজীবন সদস্য/সদস্যা ব্যতীত সকল সদস্য/সদস্যার ভোটাধিকার ও নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ক্ষমতা সংরক্ষিত থাকবে। আজীবন সদস্য/সদস্যাগন সংস্থার উন্নয়ন ও বৃহত্তর স্বার্থে পরামর্শদান বা নির্বাচন কমিশনের সদস্য/সদস্যা হিসাবে কাজ করতে পারবেন।
সাংগঠনিক কাঠামো : বর্তমানে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি, ডেলিগেট দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত কমিটি (মেয়াদ-২০১৯-২০২০)। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব নির্বাহী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তবে সংস্থার ব্যবস্থাপনার জন্য সাংগঠনিক কাঠামো হবে তিনটি-যথা ঃ ১। সাধারণ পরিষদ, ২। কার্য নির্বাহী পরিষদ, ৩। উপদেষ্টা পরিষদ,
১। সাধারণ পরিষদ ঃ সকল সদস্য/সদস্যা নিয়ে গঠিত হবে সাধারণ পরিষদ। তবে সাধারণ পরিষদের সদস্য/সদস্যা সংখ্যার কোন উর্দ্ধসীমা থাকবে না। সাধারণ পরিষদের নিম্নলিখিত বিভাগের সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে ঃ একজন প্রধান সমন্বয়কারী এবং একজন আইন সমন্বয়কারী থাকেবন।
কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদ পরিচালনার জন্য
প্রশাসন বিভাগ ঃ পরিচালক-১জন, উপ-পরিচালক-২জন, সহকারী পরিচালক-৩ জন, সহযোগী কর্মকর্তা-৫ জন,
আইন বিষয়ক বিভাগ ঃ প্রধান আইন সমন্বয়কারীর নিয়ন্ত্রনে-পরিচালক-১জন, উপ-পরিচালক-২জন,সহকারী পরিচালক-৩জন,আইন উপদেষ্ঠা-উর্দ্ধসীমা থাকবে না।
কল্যাণ বিভাগঃ পরিচালক-১জন, উপ-পরিচালক-২জন, সহকারী পরিচালক-৩জন, সহযোগী কর্মকর্তা-৫ জন
তদন্ত বিষয়ক বিভাগ ঃ পরিচালক-১জন, উপ-পরিচালক-২জন, সহকারী পরিচালক-৩জন,তদন্তকারী কর্মকর্তা-উর্দ্ধসীমা থাকবে না, মাঠ কর্মকর্তা-উর্দ্ধসীমা থাকবে না, বিশেষ কর্মকর্তার ক্ষেত্রে উর্দ্ধসীমা থাকবে না।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক ঃ পরিচালক-১জন,উপ-পরিচালক-২জন, সহকারী পরিচালক-৩জন, সহযোগী কর্মকর্তা-৫ জন,
নারী ও শিশু বিষয়ক ঃ পরিচালক-১ জন, উপ-পরিচালক-২জন,সহকারী পরিচালক-৩জন,সহযোগী কর্মকর্তা-৫ জন (নারী ও শিশু বিষয়ক বিভাগ আইন বিভাগের প্রধান সমন্বয়কারীর নিয়ন্ত্রনে পরিচালিত হইবে।)
ধর্মীয় বিষয়ক ঃ পরিচালক-১জন, উপ-পরিচালক-২জন, সহকারী পরিচালক-৩জন, সহযোগী কর্মকর্তা-৫ জন
২। কার্য নির্বাহী পরিষদ ঃ কার্য নির্বাহী পরিষদ নিয়োগ বা নির্বাচনের মাধমে গঠিত হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা হবে ১১ (এগার) জন অবশ্যই নিæলিকিত নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হবে। চেয়ারম্যান-১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান-১ জন, মহাসচিব-১ জন, সাংগঠনিক সচিব-১ জন, কোষাধ্যক্ষ-১জন, মহিলা বিষয়ক সচিব-১ জন, দপ্তর সচিব, ১ জন, নির্বাহী সদস্য-৪ জন, মোট-১১ জন।
৩। উপদেষ্টা পরিষদ ঃ কার্যনির্বাহী পরিষদ কমপক্ষে ৩(তিন) সদস্য বিশিষ্ট এক বা একাধিক বিষয় বা শ্রেনী ভিত্তিক দক্ষ ব্যক্তিবর্গ বা বিশেযজ্ঞদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবে। যাতে সংস্থার যে কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রয়োজনে এমন যে কোন বা সকল উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদকাল দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত কার্যক্রমের মেয়াদ শেষে বিলোপ করতে পারবে। উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদ হবে ২(দুই) বছর।
সংস্থার জেলা ও বিভাগীয় শাখা ঃ সংস্থার জেলা ও বিভাগীয় শাখায় একজন আইনজীবী/সাংবাদিককে সমন্বয়কারী করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা যাবে। জেলা বা বিভাগীয় কার্যালয়ে সংস্থার সাইনবোর্ড থাকতে হবে, জেলায় অফিস খোলা যাবে। যাবতীয় শাখাসমূহ পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত, নিয়ন্ত্রিত এবং শাখা সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত এবং পরিচালিত হবে।
শাখা সমূহের দায়িত্ব কর্তব্য ও সুবিধাদি ঃ সাধারণ পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক গৃহিত কার্যাদি শাখা পরিষদ বাস্তাবায়ন করবে। শাখা পরিষদ তাদের সকল কাজের জন্য শাখা সাধারণ পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় পরিষদের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক অনুমোদন ছাড়া শাখা পরিষদ অতিরিক্ত কোন কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগ শাখা পরিষদ ভোগ করবেন।
শাখা সমূহের কার্যক্রম স্থগিত ঃ কেন্দ্রীয় পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোন সময় শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা যাবে। এ ব্যাপারে শাখা পরিষদের কোন প্রাকার দায়িত্ব থাকবে না।
তহবিল/অর্থ লেনদেন ঃ ক) ব্যক্তি, দেশী ও বিদেশী সংস্থা সমূহ, বা কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন এবং সরকার হতে তহবিল গ্রহন করা যাবে। খ) আর্থিক বছর শেষে তহবিল অর্থ বা জমাকৃত তহবিলের অর্থ সদস্যদের মাঝে বন্টন করা যাবে না। শুধুমাত্র সংস্থার আদর্শ ও লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য অর্জনের ক্ষেত্রে কল্যাণমূখী কাজে খরচ করা যায়। গ) এই তহবিলের অর্থ বিপদের সময় সংস্থার স্বার্থে ও উন্নয়নে যে কোন ধরনের কাজের জন্য খরচ বা সেবার জন্য ব্যায়/দান করা যাবে। ঘ) ভর্তি ফি, সদস্য চাঁদা, এককালীন সদস্য চাঁদা, কোন বিশেষ ব্যক্তি/প্রতিষ্টানের অনুদান, সরকারী অনুদান, সরকারের বিশেষ প্রকল্প অনুদান/ঋন গ্রহন। ঙ) এককালীন অনুদান ও কোন প্রকল্প হইতে আয় এবং ব্যাংক, সংস্থা, ফাউন্ডেশন ও অর্থ লগ্নিকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋন গ্রহনের মাধ্যমে তহবিল গঠন ।
অডিট ঃ সংস্থার সকল হিসাব-নিকাশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হিসাব সংস্থা (অডিট সংস্থা) দ্বারা হিসাব নিরীক্ষা করতে হবে। এ ধরণের হিসাব নিরীক্ষা বার্ষিক ভিত্তিতে হবে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন নিবন্ধকরণ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে। অত্র গঠনতন্ত্রে যা কিছু উলেখ থাকুক না কেন সংস্থাটি ১৯৬১ সালের ৪৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় প্রচলিত আইন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সংস্থার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ন আইনজীবীর নাম দেওয়া হইল ঃ
এডভোকেট মোঃ জিয়াউর রহমান, এডভোকেট মোঃ ওসমান গণী ভূঁইয়া, এডভোকেট মোঃ আবুল কালাম আযাদ স্বাধীন, এডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদার, এডভোকেট হাসিনুর রহমান রিয়া, এডভোকেট রাফিজা রব, এডভোকেট মোঃ আাজিজুর রহমান, এডভোকেট আবু হানিফ, এডভোকেট তাহিরা খাতুন, এডভোকেট আলেয়া রাহাত, এডভোকেট শাহানা ফেরদাউস, এডভোকেট বদরুন নাহার, এডভোকেট পুর্ণিয়া ইয়াসমিন, এডভোকেট কামরুন নাহার, এডভোকেট মনিরা সিদ্দীকী, এডভোকেট শাহারুন নেচ্ছা নীলা, এডভোকেট মারুফা বেগম, এডভোকেট জি.এম. আমান উলাহ, এডভোকেট প্রিয় লাল মজুমদার, এ্যাডভোকেট আবুল খায়ের শেখ, এডভোকেট রূহিনা পারভীন, এডভোকেট সৈয়দ এরশাদ আলী, এডভোকেট মোসাঃ লাকি মনি, এডভোকেট সেতারা বেগম, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান।
ঝঞঅঞঊ ঙঋ ঐটগঅঘ জওএঐঞঝ
অঘউ ঐওঠ/অওউঝ ওঘ ইঅঘএখঅউঊঝঐ
চৎড়ভ. উৎ. গড়যধসসবফ ঝধষরস ইযুঁধহ
ঈযধরৎসধহ
ঈবহঃৎব ঋড়ৎ ঐঁসধহ জরমযঃং গড়াবসবহঃ, উযধশধ.
ওহঃৎড়ফঁপঃরড়হ : গড়ৎব ঃযধহ ঃবিহঃু ভরাব ুবধৎং ধভঃবৎ ঃযব ভরৎংঃ পষরহরপধষ বারফবহপব ড়ভ ধপয়ঁরৎবফ রসসঁহড়ফবভরপরবহপু ংুহফৎড়সব ধিং ৎবঢ়ড়ৎঃবফ, অওউঝ যধং নবপড়সব ড়হব ড়ভ ঃযব সড়ংঃ ফবাধংঃধঃরহম ফরংবধংবং যঁসধহশরহফ যধং বাবৎ ভধপবফ. ঝরহপব ঃযব বঢ়রফবসরপ নবমধহ, ংড়সব ৫৮ সরষষরড়হ ঢ়বড়ঢ়ষব যধাব নববহ রহভবপঃবফ রিঃয ঃযব ারৎঁং. ঐওঠ/অওউঝ যধং নবপড়সব ঃযব ংরীঃয-ষধৎমবংঃ পধঁংব ড়ভ ফবধঃয ড়িৎষফরিফব.
অঃ ঃযব বহফ ড়ভ ২০০৭, ধহ বংঃরসধঃবফ ৩৩ সরষষরড়হ ঢ়বড়ঢ়ষব মষড়নধষষু বিৎব ষরারহম রিঃয ঐওঠ. ওহ ঃযধঃ ুবধৎ ধষড়হব, ঃযবৎব বিৎব ধহ বংঃরসধঃবফ ২ সরষষরড়হ অওউঝ ফবধঃযং ধহফ ২.৭ সরষষরড়হ হবি ঐওঠ রহভবপঃরড়হং. ঞযব ৎধঃব ড়ভ হবি ঐওঠ রহভবপঃরড়হং যধং ভধষষবহ রহ ংবাবৎধষ পড়ঁহঃৎরবং, ধষঃযড়ঁময মষড়নধষষু ঃযবংব ভধাড়ঁৎধনষব ঃৎবহফং ধৎব ধঃ ষবধংঃ ঢ়ধৎঃরধষষু ড়ভভংবঃ নু রহপৎবধংবং রহ হবি রহভবপঃরড়হং রহ ড়ঃযবৎ পড়ঁহঃৎরবং. ওহ সধহু ঢ়ধৎঃং ড়ভ ঃযব ফবাবষড়ঢ়রহম ড়িৎষফ, ঃযব সধলড়ৎরঃু ড়ভ হবি রহভবপঃরড়হং ড়পপঁৎ রহ ুড়ঁহম ধফঁষঃং, রিঃয ুড়ঁহম ড়িসবহ বংঢ়বপরধষষু াঁষহবৎধনষব. ণড়ঁহম ঢ়বড়ঢ়ষব ধমবফ ১৫-২৪ ুবধৎং ধপপড়ঁহঃ ভড়ৎ ৪৫% ড়ভ ধষষ হবি রহভবপঃরড়হং. গধহু ড়ভ ঃযবস ফড় হড়ঃ শহড়ি ঃযবু পধৎৎু ঃযব ারৎঁং. গধহু সরষষরড়হং সড়ৎব ধৎব াঁষহবৎধনষব ঃড় ঐওঠ ধং ঃযবু শহড়ি হড়ঃযরহম ড়ৎ ঃড়ড় ষরঃঃষব ধনড়ঁঃ ঃযব ারৎঁং, ড়ৎ ধৎব ড়ঃযবৎরিংব ঁহধনষব ঃড় ঢ়ৎড়ঃবপঃ ঃযবসংবষাবং ধমধরহংঃ রঃ.
ডযধঃ ফড় যঁসধহ ৎরমযঃং যধাব ঃড় ফড় রিঃয ঐওঠ/অওউঝ? ঐঁসধহ ৎরমযঃং ধৎব রহবীঃৎরপধনষু ষরহশবফ রিঃয ঃযব ংঢ়ৎবধফ ধহফ রসঢ়ধপঃ ড়ভ ঐওঠ/অওউঝ ড়হ রহফরারফঁধষং ধহফ পড়সসঁহরঃরবং ধৎড়ঁহফ ঃযব ড়িৎষফ. অ ষধপশ ড়ভ ৎবংঢ়বপঃ ভড়ৎ যঁসধহ ৎরমযঃং ভঁবষং ঃযব ংঢ়ৎবধফ ধহফ বীধপবৎনধঃবং ঃযব রসঢ়ধপঃ ড়ভ ঃযব ফরংবধংব, যিরষব ধঃ ঃযব ংধসব ঃরসব ঐওঠ/অওউঝ ঁহফবৎসরহবং ঢ়ৎড়মৎবংং রহ ঃযব ৎবধষরংধঃরড়হ ড়ভ যঁসধহ ৎরমযঃং. ঞযরং ষরহশ রং ধঢ়ঢ়ধৎবহঃ রহ ঃযব ফরংঢ়ৎড়ঢ়ড়ৎঃরড়হধঃব রহপরফবহপব ধহফ ংঢ়ৎবধফ ড়ভ ঃযব ফরংবধংব ধসড়হম পবৎঃধরহ মৎড়ঁঢ়ং যিরপয, ফবঢ়বহফরহম ড়হ ঃযব হধঃঁৎব ড়ভ ঃযব বঢ়রফবসরপ ধহফ ঃযব ঢ়ৎবাধরষরহম ংড়পরধষ, ষবমধষ ধহফ বপড়হড়সরপ পড়হফরঃরড়হং, রহপষঁফব ড়িসবহ ধহফ পযরষফৎবহ, ধহফ ঢ়ধৎঃরপঁষধৎষু ঃযড়ংব ষরারহম রহ ঢ়ড়াবৎঃু. ওঃ রং ধষংড় ধঢ়ঢ়ধৎবহঃ রহ ঃযব ভধপঃ ঃযধঃ ঃযব ড়াবৎযিবষসরহম নঁৎফবহ ড়ভ ঃযব বঢ়রফবসরপ ঃড়ফধু রং নড়ৎহব নু ফবাবষড়ঢ়রহম পড়ঁহঃৎরবং, যিবৎব ঃযব ফরংবধংব ঃযৎবধঃবহং ঃড় ৎবাবৎংব ারঃধষ ধপযরবাবসবহঃং রহ যঁসধহ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ. অওউঝ ধহফ ঢ়ড়াবৎঃু ধৎব হড়ি সঁঃঁধষষু ৎবরহভড়ৎপরহম হবমধঃরাব ভড়ৎপবং রহ সধহু ফবাবষড়ঢ়রহম পড়ঁহঃৎরবং.
ঞযব ৎবষধঃরড়হংযরঢ় নবঃবিবহ ঐওঠ/অওউঝ ধহফ যঁসধহ ৎরমযঃং রং যরমযষরমযঃবফ রহ ঃযৎবব ধৎবধং: ওহপৎবধংবফ াঁষহবৎধনরষরঃু: ঈবৎঃধরহ মৎড়ঁঢ়ং ধৎব সড়ৎব াঁষহবৎধনষব ঃড় পড়হঃৎধপঃরহম ঃযব ঐওঠ ারৎঁং নবপধঁংব ঃযবু ধৎব ঁহধনষব ঃড় ৎবধষরুব ঃযবরৎ পরারষ, ঢ়ড়ষরঃরপধষ, বপড়হড়সরপ, ংড়পরধষ ধহফ পঁষঃঁৎধষ ৎরমযঃং. ঋড়ৎ বীধসঢ়ষব, রহফরারফঁধষং যিড় ধৎব ফবহরবফ ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ভৎববফড়স ড়ভ ধংংড়পরধঃরড়হ ধহফ ধপপবংং ঃড় রহভড়ৎসধঃরড়হ সধু নব ঢ়ৎবপষঁফবফ ভৎড়স ফরংপঁংংরহম রংংঁবং ৎবষধঃবফ ঃড় ঐওঠ/অওউঝ, ঢ়ধৎঃরপরঢ়ধঃরহম রহ অওউঝ ংবৎারপব ড়ৎমধহরুধঃরড়হং ধহফ ংবষভ-যবষঢ় মৎড়ঁঢ়ং, ধহফ ঃধশরহম ড়ঃযবৎ ঢ়ৎবাবহঃরাব সবধংঁৎবং ঃড় ঢ়ৎড়ঃবপঃ ঃযবসংবষাবং ভৎড়স ঐওঠ রহভবপঃরড়হ. ডড়সবহ, ধহফ ঢ়ধৎঃরপঁষধৎষু ুড়ঁহম ড়িসবহ, ধৎব সড়ৎব াঁষহবৎধনষব ঃড় রহভবপঃরড়হ রভ ঃযবু ষধপশ ড়ভ ধপপবংং ঃড় রহভড়ৎসধঃরড়হ, বফঁপধঃরড়হ ধহফ ংবৎারপবং হবপবংংধৎু ঃড় বহংঁৎব ংবীঁধষ ধহফ ৎবঢ়ৎড়ফঁপঃরাব যবধষঃয ধহফ ঢ়ৎবাবহঃরড়হ ড়ভ রহভবপঃরড়হ. ঞযব ঁহবয়ঁধষ ংঃধঃঁং ড়ভ ড়িসবহ রহ ঃযব পড়সসঁহরঃু ধষংড় সবধহং ঃযধঃ ঃযবরৎ পধঢ়ধপরঃু ঃড় হবমড়ঃরধঃব রহ ঃযব পড়হঃবীঃ ড়ভ ংবীঁধষ ধপঃরারঃু রং ংবাবৎবষু ঁহফবৎসরহবফ. চবড়ঢ়ষব ষরারহম রহ ঢ়ড়াবৎঃু ড়ভঃবহ ধৎব ঁহধনষব ঃড় ধপপবংং ঐওঠ পধৎব ধহফ ঃৎবধঃসবহঃ, রহপষঁফরহম ধহঃরৎবঃৎড়ারৎধষং ধহফ ড়ঃযবৎ সবফরপধঃরড়হং ভড়ৎ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরংঃরপ রহভবপঃরড়হং.
উরংপৎরসরহধঃরড়হ ধহফ ংঃরমসধ: ঞযব ৎরমযঃং ড়ভ ঢ়বড়ঢ়ষব ষরারহম রিঃয ঐওঠ/অওউঝ ড়ভঃবহ ধৎব ারড়ষধঃবফ নবপধঁংব ড়ভ ঃযবরৎ ঢ়ৎবংঁসবফ ড়ৎ শহড়হি ঐওঠ ংঃধঃঁং, পধঁংরহম ঃযবস ঃড় ংঁভভবৎ নড়ঃয ঃযব নঁৎফবহ ড়ভ ঃযব ফরংবধংব ধহফ ঃযব পড়হংবয়ঁবহঃরধষ ষড়ংং ড়ভ ড়ঃযবৎ ৎরমযঃং. ঝঃরমসধঃরংধঃরড়হ ধহফ ফরংপৎরসরহধঃরড়হ সধু ড়নংঃৎঁপঃ ঃযবরৎ ধপপবংং ঃড় ঃৎবধঃসবহঃ ধহফ সধু ধভভবপঃ ঃযবরৎ বসঢ়ষড়ুসবহঃ, যড়ঁংরহম ধহফ ড়ঃযবৎ ৎরমযঃং. ঞযরং, রহ ঃঁৎহ, পড়হঃৎরনঁঃবং ঃড় ঃযব াঁষহবৎধনরষরঃু ড়ভ ড়ঃযবৎং ঃড় রহভবপঃরড়হ, ংরহপব ঐওঠ-ৎবষধঃবফ ংঃরমসধ ধহফ ফরংপৎরসরহধঃরড়হ ফরংপড়ঁৎধমবং রহফরারফঁধষং রহভবপঃবফ রিঃয ধহফ ধভভবপঃবফ নু ঐওঠ ভৎড়স পড়হঃধপঃরহম যবধষঃয ধহফ ংড়পরধষ ংবৎারপবং. ঞযব ৎবংঁষঃ রং ঃযধঃ ঃযড়ংব সড়ংঃ হববফরহম রহভড়ৎসধঃরড়হ, বফঁপধঃরড়হ ধহফ পড়ঁহংবষষরহম রিষষ হড়ঃ নবহবভরঃ বাবহ যিবৎব ংঁপয ংবৎারপবং ধৎব ধাধরষধনষব.
ওসঢ়বফবং ধহ বভভবপঃরাব ৎবংঢ়ড়হংব: ঝঃৎধঃবমরবং ঃড় পড়সনধঃ ঃযব ঐওঠ/অওউঝ বঢ়রফবসরপ ধৎব যধসঢ়বৎবফ রহ ধহ বহারৎড়হসবহঃ যিবৎব যঁসধহ ৎরমযঃং ধৎব হড়ঃ ৎবংঢ়বপঃবফ. ঋড়ৎ বীধসঢ়ষব, ফরংপৎরসরহধঃরড়হ ধমধরহংঃ ধহফ ংঃরমসধঃরুধঃরড়হ ড়ভ াঁষহবৎধনষব মৎড়ঁঢ়ং ংঁপয ধং রহলবপঃরহম ফৎঁম ঁংবৎং, ংবী ড়িৎশবৎং, ধহফ সবহ যিড় যধাব ংবী রিঃয সবহ ফৎরাবং ঃযবংব পড়সসঁহরঃরবং ঁহফবৎমৎড়ঁহফ. ঞযরং রহযরনরঃং ঃযব ধনরষরঃু ঃড় ৎবধপয ঃযবংব ঢ়ড়ঢ়ঁষধঃরড়হং রিঃয ঢ়ৎবাবহঃরড়হ বভভড়ৎঃং, ধহফ ঃযঁং রহপৎবধংবং ঃযবরৎ াঁষহবৎধনরষরঃু ঃড় ঐওঠ/অওউঝ. খরশবরিংব, ঃযব ভধরষঁৎব ঃড় ঢ়ৎড়ারফব ধপপবংং ঃড় বফঁপধঃরড়হ ধহফ রহভড়ৎসধঃরড়হ ধনড়ঁঃ ঐওঠ/অওউঝ, ড়ৎ ঃৎবধঃসবহঃ, ধহফ পধৎব ধহফ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ ংবৎারপবং ভঁৎঃযবৎ ভঁবষং ঃযব অওউঝ বঢ়রফবসরপ. ঞযবংব বষবসবহঃং ধৎব বংংবহঃরধষ পড়সঢ়ড়হবহঃং ড়ভ ধহ বভভবপঃরাব ৎবংঢ়ড়হংব ঃড় ঐওঠ/অওউঝ, যিরপয রং যধসঢ়বৎবফ রভ ঃযবংব ৎরমযঃং ধৎব হড়ঃ ৎবংঢ়বপঃবফ.
ডযধঃ রং ধ যঁসধহ ৎরমযঃং ধঢ়ঢ়ৎড়ধপয ঃড় ঐওঠ/অওউঝ? ডযবৎব রহফরারফঁধষং ধহফ পড়সসঁহরঃরবং ধৎব ধনষব ঃড় ৎবধষরুব ঃযবরৎ ৎরমযঃং – ঃড় বফঁপধঃরড়হ, ভৎবব ধংংড়পরধঃরড়হ, রহভড়ৎসধঃরড়হ ধহফ, সড়ংঃ রসঢ়ড়ৎঃধহঃষু, হড়হ-ফরংপৎরসরহধঃরড়হ – ঃযব ঢ়বৎংড়হধষ ধহফ ংড়পরবঃধষ রসঢ়ধপঃং ড়ভ ঐওঠ ধহফ অওউঝ ধৎব ৎবফঁপবফ. ডযবৎব ধহ ড়ঢ়বহ ধহফ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃরাব বহারৎড়হসবহঃ বীরংঃং ভড়ৎ ঃযড়ংব রহভবপঃবফ রিঃয ঐওঠ; যিবৎব ঃযবু ধৎব ঢ়ৎড়ঃবপঃবফ ভৎড়স ফরংপৎরসরহধঃরড়হ, ঃৎবধঃবফ রিঃয ফরমহরঃু, ধহফ ঢ়ৎড়ারফবফ রিঃয ধপপবংং ঃড় ঃৎবধঃসবহঃ, পধৎব ধহফ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ; ধহফ যিবৎব অওউঝ রং ফব-ংঃরমসধঃরুবফ; রহফরারফঁধষং ধৎব সড়ৎব ষরশবষু ঃড় ংববশ ঃবংঃরহম রহ ড়ৎফবৎ ঃড় শহড়ি ঃযবরৎ ংঃধঃঁং. ওহ ঃঁৎহ, ঃযড়ংব ঢ়বড়ঢ়ষব যিড় ধৎব ঐওঠ ঢ়ড়ংরঃরাব সধু ফবধষ রিঃয ঃযবরৎ ংঃধঃঁং সড়ৎব বভভবপঃরাবষু, নু ংববশরহম ধহফ ৎবপবরারহম ঃৎবধঃসবহঃ ধহফ ঢ়ংুপযড়ংড়পরধষ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ, ধহফ নু ঃধশরহম সবধংঁৎবং ঃড় ঢ়ৎবাবহঃ ঃৎধহংসরংংরড়হ ঃড় ড়ঃযবৎং, ঃযঁং ৎবফঁপরহম ঃযব রসঢ়ধপঃ ড়ভ ঐওঠ/অওউঝ ড়হ ঃযবসংবষাবং ধহফ ড়হ ড়ঃযবৎং রহ ংড়পরবঃু.
ঞযব ঢ়ৎড়ঃবপঃরড়হ ধহফ ঢ়ৎড়সড়ঃরড়হ ড়ভ যঁসধহ ৎরমযঃং ধৎব ঃযবৎবভড়ৎব বংংবহঃরধষ রহ ঢ়ৎবাবহঃরহম ঃযব ংঢ়ৎবধফ ড়ভ ঐওঠ ধহফ ঃড় সরঃরমধঃরহম ঃযব ংড়পরধষ ধহফ বপড়হড়সরপ রসঢ়ধপঃ ড়ভ ঃযব ঢ়ধহফবসরপ. ঞযব ৎবধংড়হং ভড়ৎ ঃযরং ধৎব ঃযৎববভড়ষফ. ঋরৎংঃ ঃযব ঢ়ৎড়সড়ঃরড়হ ধহফ ঢ়ৎড়ঃবপঃরড়হ ড়ভ যঁসধহ ৎরমযঃং ৎবফঁপবং াঁষহবৎধনরষরঃু ঃড় ঐওঠ রহভবপঃরড়হ নু ধফফৎবংংরহম রঃং ৎড়ড়ঃ পধঁংবং. ঞযব ধফাবৎংব রসঢ়ধপঃ ড়হ ঃযড়ংব রহভবপঃবফ ধহফ ধভভবপঃবফ নু ঐওঠ রং ষবংংবহবফ. ঞযরৎফ রহফরারফঁধষং ধহফ পড়সসঁহরঃরবং যধাব মৎবধঃবৎ ধনরষরঃু ঃড় ৎবংঢ়ড়হফ ঃড় ঃযব ঢ়ধহফবসরপ. অহ বভভবপঃরাব রহঃবৎহধঃরড়হধষ ৎবংঢ়ড়হংব ঃড় ঃযব ঢ়ধহফবসরপ ঃযবৎবভড়ৎব সঁংঃ নব মৎড়ঁহফবফ রহ ৎবংঢ়বপঃ ভড়ৎ ধষষ পরারষ, পঁষঃঁৎধষ, বপড়হড়সরপ, ঢ়ড়ষরঃরপধষ, বপড়হড়সরপ ধহফ ংড়পরধষ ৎরমযঃং ধহফ ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ফবাবষড়ঢ়সবহঃ, রহ ধপপড়ৎফধহপব রিঃয রহঃবৎহধঃরড়হধষ যঁসধহ ৎরমযঃং ংঃধহফধৎফং, হড়ৎসং ধহফ ঢ়ৎরহপরঢ়ষবং.
ঝঃধঃবং’ ড়নষরমধঃরড়হং ঃড় ঢ়ৎড়সড়ঃব ধহফ ঢ়ৎড়ঃবপঃ ঐওঠ/অওউঝ-ৎবষধঃবফ যঁসধহ ৎরমযঃং ধৎব ফবভরহবফ রহ বীরংঃরহম রহঃবৎহধঃরড়হধষ ঃৎবধঃরবং. ঐওঠ/অওউঝ-ৎবষধঃবফ যঁসধহ ৎরমযঃং রহপষঁফব ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ষরভব; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ষরনবৎঃু ধহফ ংবপঁৎরঃু ড়ভ ঃযব ঢ়বৎংড়হ; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ঃযব যরমযবংঃ ধঃঃধরহধনষব ংঃধহফধৎফ ড়ভ সবহঃধষ ধহফ ঢ়যুংরপধষ যবধষঃয; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় হড়হ-ফরংপৎরসরহধঃরড়হ, বয়ঁধষ ঢ়ৎড়ঃবপঃরড়হ ধহফ বয়ঁধষরঃু নবভড়ৎব ঃযব ষধ;ি ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ভৎববফড়স ড়ভ সড়াবসবহঃ; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ংববশ ধহফ বহলড়ু ধংুষঁস; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ঢ়ৎরাধপু; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ভৎববফড়স ড়ভ বীঢ়ৎবংংরড়হ ধহফ ড়ঢ়রহরড়হ ধহফ ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ভৎববষু ৎবপবরাব ধহফ রসঢ়ধৎঃ রহভড়ৎসধঃরড়হ; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ভৎববফড়স ড়ভ ধংংড়পরধঃরড়হ; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় সধৎৎু ধহফ ভড়ঁহফ ধ ভধসরষু; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ড়িৎশ; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় বয়ঁধষ ধপপবংং ঃড় বফঁপধঃরড়হ; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ধহ ধফবয়ঁধঃব ংঃধহফধৎফ ড়ভ ষরারহম; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ংড়পরধষ ংবপঁৎরঃু, ধংংরংঃধহপব ধহফ বিষভধৎব; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ংযধৎব রহ ংপরবহঃরভরপ ধফাধহপবসবহঃ ধহফ রঃং নবহবভরঃং; ঃযব ৎরমযঃ ঃড় ঢ়ধৎঃরপরঢ়ধঃব রহ ঢ়ঁনষরপ ধহফ পঁষঃঁৎধষ ষরভব; ধহফ ঃযব ৎরমযঃ ঃড় নব ভৎবব ভৎড়স ঃড়ৎঃঁৎব ধহফ ড়ঃযবৎ পৎঁবষ, রহযঁসধহ ড়ৎ ফবমৎধফরহম ঃৎবধঃসবহঃ ড়ৎ ঢ়ঁহরংযসবহঃ.
ঞযব টহরঃবফ ঘধঃরড়হং যঁসধহ ৎরমযঃং রহংঃৎঁসবহঃং ধহফ সবপযধহরংসং ঢ়ৎড়ারফব ঃযব হড়ৎসধঃরাব ষবমধষ ভৎধসবড়িৎশ ধং বিষষ ধং ঃযব হবপবংংধৎু ঃড়ড়ষং ভড়ৎ বহংঁৎরহম ঃযব রসঢ়ষবসবহঃধঃরড়হ ড়ভ ঐওঠ-ৎবষধঃবফ ৎরমযঃং. ঞযৎড়ঁময ঃযবরৎ পড়হংরফবৎধঃরড়হ ড়ভ ঝঃধঃবং ৎবঢ়ড়ৎঃং, পড়হপষঁফরহম ড়নংবৎাধঃরড়হং ধহফ ৎবপড়সসবহফধঃরড়হং, ধহফ মবহবৎধষ পড়সসবহঃং, ঃযব টঘ ঃৎবধঃু সড়হরঃড়ৎরহম নড়ফরবং ঢ়ৎড়ারফব ঝঃধঃবং রিঃয ফরৎবপঃরড়হ ধহফ ধংংরংঃধহপব রহ ঃযব রসঢ়ষবসবহঃধঃরড়হ ড়ভ ঐওঠ-ৎবষধঃবফ ৎরমযঃং. ঞযব ঝঢ়বপরধষ চৎড়পবফঁৎবং ড়ভ ঃযব ঐঁসধহ জরমযঃং ঈড়ঁহপরষ, রহপষঁফরহম ংঢ়বপরধষ ৎবঢ়ৎবংবহঃধঃরাবং, ঃযবসধঃরপ ধহফ পড়ঁহঃৎু ৎধঢ়ঢ়ড়ৎঃবঁৎং, ধহফ ড়িৎশরহম মৎড়ঁঢ়ং ধষংড় ধৎব রহ ধ ঢ়ড়ংরঃরড়হ ঃড় সড়হরঃড়ৎ ৎবংঢ়বপঃ ভড়ৎ ঐওঠ-ৎবষধঃবফ ৎরমযঃং. ঞযব ঐঁসধহ জরমযঃং ঈড়ঁহপরষ ধষংড় ৎবয়ঁবংঃং ঃযব ঝবপৎবঃধৎু-এবহবৎধষ ঃড় ংড়ষরপরঃ পড়সসবহঃং ভৎড়স এড়াবৎহসবহঃং, টহরঃবফ ঘধঃরড়হং নড়ফরবং, ঢ়ৎড়মৎধসসবং ধহফ ংঢ়বপরধষরুবফ ধমবহপরবং ধহফ রহঃবৎহধঃরড়হধষ ধহফ ঘএঙং ড়হ ংঃবঢ়ং ঃযবু যধাব ঃধশবহ ঃড় ঢ়ৎড়সড়ঃব ধহফ রসঢ়ষবসবহঃ, যিবৎব ধঢ়ঢ়ষরপধনষব, ঢ়ৎড়মৎধসসবং ঃড় ধফফৎবংং ঃযব ঁৎমবহঃ ঐওঠ-ৎবষধঃবফ যঁসধহ ৎরমযঃং ড়ভ ড়িসবহ, পযরষফৎবহ ধহফ াঁষহবৎধনষব মৎড়ঁঢ়ং রহ ঃযব পড়হঃবীঃ ড়ভ ঢ়ৎবাবহঃরড়হ, পধৎব ধহফ ধপপবংং ঃড় ঃৎবধঃসবহঃ.
“ডযধঃ ধ মৎবধঃ মৎরবভ রং পড়হংঃধহঃষু নঁৎহরহম রহ সু যবধৎঃ ষরশব ভড়ৎবংঃ ভরৎব ধহফ ৎবফঁপরহম বাবৎুঃযরহম ঃড় ধংযবং. ঙভ ধষষ ফরংবধংবং ঃযব অষসরমযঃু যধং মরাবহ সব ংঁপয ধ ফরংবধংব, যিরপয রং ষড়ড়শবফ ধঃ নু ঢ়বড়ঢ়ষব রিঃয ংবাবৎবষু যধঃবভঁষ বুবং. ও পধহ’ঃ নবধৎ ঃযরং ঢ়ধরহ ধহু ষড়হমবৎ!”- অ ঢ়বৎংড়হ ষরারহম রিঃয ঐওঠ.
ঞযরং রং ধ ংঃধঃবসবহঃ ড়ভ ধ ঢ়ড়ংরঃরাব ঢ়বৎংড়হ ধহফ ঃযরং রং ঃযব ৎবধষরঃু ঃযধঃ ঐওঠ ঢ়ড়ংরঃরাব ঢ়বড়ঢ়ষব যধাব ঃড় ফবধষ রিঃয রহ ঃযরং ংড়পরবঃু বাবৎু সড়সবহঃ. উরংপৎরসরহধঃরড়হ ধমধরহংঃ ঐওঠ ঢ়ড়ংরঃরাব ঢ়বড়ঢ়ষব রহ ঃবৎসং ড়ভ বসঢ়ষড়ু¬সবহঃ, যড়ঁংরহম, ধপপবংং ঃড় যবধষঃয পধৎব ধহফ ৎবলবপঃরড়হ নু ভধসরষরবং ধহফ পড়সসঁহরঃরবং ধৎব ফধরষু ৎবধষরঃরবং. ঙহপব রহভবপঃবফ, রহফরারফঁধষং ধহফ ঃযড়ংব ধংংড়পরধঃবফ রিঃয ঃযবস (রহপষঁফরহম ঃযবরৎ পযরষফৎবহ, ংঢ়ড়ঁংবং ধহফ ড়ঃযবৎ ভধসরষু সবসনবৎং, ভৎরবহফং ধহফ ধংংড়পরধঃবং), ভধপব ভঁৎ¬ঃযবৎ ফরংপৎরসরহধঃরড়হ ংঁপয ধং সধহফধঃড়ৎু ঃবংঃরহম ধহফ নবরহম যধৎধংংবফ, ধৎৎবংঃবফ, ংবম¬ৎবমধঃবফ, রসঢ়ৎরংড়হবফ ড়ৎ ফবঢ়ড়ৎঃবফ.
ওহঃবৎহধঃরড়হধষষু অপপবঢ়ঃবফ ঐঁসধহ জরমযঃং : অচঈঅঝঙ (অংরধ চধপরভরপ ঈড়ঁহপরষ ড়ভ অওউঝ ঝবৎারপব ঙৎমধহরুধঃরড়হং) যধং ফবাবষড়ঢ়বফ ধ ংবঃ ড়ভ মঁরফবষরহবং নধংবফ ড়হ রহঃবৎহধঃরড়হধষষু ৎবপ-ড়মহরুবফ যঁসধহ ৎরমযঃং ধহফ ধঢ়ঢ়ষরবফ ঃযবস ঃড় ঐওঠ.
ঞযব যঁসধহ ৎরমযঃং নবষড়ি ধৎব ভড়ষষড়বিফ নু পড়সসড়হ ধনঁংবং, যিরপয ধভভবপঃ ঢ়বড়ঢ়ষব রিঃয ঐওঠ ড়ৎ াঁষহবৎধনষব মৎড়ঁঢ়ং:
ঐড়ি ঃড় চৎবাবহঃ ঐওঠ/অওউঝ : টংব পড়হফড়স রহ ংবীঁধষ রহঃবৎপড়ঁৎংব, টংব ঃবংঃবফ নষড়ড়ফ, টংব ংঃবৎরষরুবফ হববফষব, ড়ঢ়বৎধঃরড়হধষ রহংঃৎঁসবহঃং. ঘড়-িধ-ফধুং ঐওঠ রং হড়ঃ পড়হংরফবৎবফ ধং ধ যবধষঃয ঢ়ৎড়নষবস ধহুসড়ৎব. ওঃ রং রফবহঃরভরবফ ধং ধ ফবাবষ¬ড়ঢ়সবহঃ রংংঁব. ডযরষব ঃযব বঢ়রফবসরপ ধঢ়ঢ়বধৎং ভরৎংঃ রহ ঃযব ভড়ৎস ড়ভ রহভবপঃরড়হ ধহফ রষষহবংং রহ রহফরারফঁধষং, রঃ সড়াবং ৎধঢ়রফষু ধহফ রহবারঃধনষু ঃড়ধিৎফং ধ ফবাধংঃধঃরহম রসঢ়ধপঃ ঁঢ়ড়হ ভধসরষরবং, পড়সসঁহরঃরবং ধহফ হধঃরড়হং. গড়ৎবড়াবৎ, ঐওঠ ধভভবপঃং ঢ়ৎরসধৎরষু ঃযধঃ ধমব মৎড়ঁঢ় রহ ংড়পরবঃু যিরপয রং ঃযব সড়ংঃ ংড়পরধষষু ধহফ বপড়হড়সরপধষষু ঢ়ৎড়ফঁপঃরাব. ঋধসরষরবং, পড়সসঁহরঃরবং ধহফ হধঃরড়হং ষড়ংব ঃযবরৎ ঢ়ৎড়ফঁপঃরাব সবসনবৎং ধহফ পযরষফৎবহ ষড়ংব ঃযবরৎ ঢ়ধৎবহঃং, ষবধারহম নবযরহফ ঃযব বষফবৎষু ধহফ ঃযব াবৎু ুড়ঁহম. অষঃযড়ঁময ইধহমষধফবংয পড়হঃরহঁবং ঃড় নব ধ ষড়ি ঢ়ৎবাধষবহপব ধৎবধ, রঃ রং ংঁৎৎড়ঁহফবফ নু যরময ঢ়ৎবাধষবহপব পড়ঁহঃৎরবং. ডব, যড়বিাবৎ, সঁংঃ হড়ঃ ধফড়ঢ়ঃ ধ পড়সঢ়ষধপবহঃ ধঃঃরঃঁফব ংরহপব ড়ঁৎ পড়ঁহঃৎু যধং ধষষ ঃযব ফবঃবৎসরহধহঃং ভড়ৎ ধহ বীঢ়ষড়ংরাব ড়ঁঃনৎবধশ ড়ভ ঐওঠ/অওউঝ বঢ়রফবসরপ. ঈঁৎংবং ড়ভ ঢ়ড়াবৎঃু, রষষরঃবৎধপু, রমহড়ৎধহপব, ঢ়ৎড়ীরসরঃু ড়ভ ইধহমষধফবংয ঃড় ঃযব ংড়-পধষষবফ এড়ষফবহ ঞৎরধহমষব ধহফ যরময ঢ়ৎবাধষবহপব ড়ভ ঝঞউং (ঝবীঁধষষু ঞৎধহংসরঃঃবফ উরংবধংবং) সধশব ড়ঁৎ পড়ঁহঃৎু ংবৎরড়ঁংষু াঁষহবৎধনষব.
ঐওঠ/অওউঝ রহ ইধহমষধফবংয: অপপড়ৎফরহম ঃড় ঃযব ফধঃধ ঢ়ৎড়ারফবফ নু ঃযব উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ঠরৎড়ষড়মু, ইধহমধনধহফযঁ ঝযবরশয গঁলরন গবফরপধষ টহরাবৎংরঃু, ঃযব হঁসনবৎ ড়ভ ফবঃবপঃবফ ঢ়বড়ঢ়ষব ষরারহম রিঃয ঐওঠ/অওউঝ রহ ইধহমষধফবংয রং হড়ি ১২৬ ধং ড়ভ ঘড়াবসনবৎ ১৯৯৯. ঙভ ঃযবস, ধষসড়ংঃ ৮৩% (১০৪) ধৎব সধষব. অসড়হম ২২ ভবসধষবং ধঢ়ঢ়ৎড়ী¬রসধঃবষু ৪৬% (১০) ধৎব যড়ঁংবরিাবং রহভবপঃবফ নু ঃযবরৎ যঁংনধহফং, ভড়ষষড়বিফ নু ৫ পড়সসবৎ¬পরধষ ংবী ড়িৎশবৎং ড়ভ যিড়স ৩ ধৎব নবষড়ি ঃযব ধমব ড়ভ ১৬ ুবধৎং. ওহ ১৯৯৯, ঃরষষ ঘড়াবসনবৎ, ২০ হবি পধংবং বিৎব পড়হভরৎসবফ. ঙভ ঃযবস ১৬ বিৎব সধষবং ধহফ ৪ ভবসধষবং.
ঝবহঃরহবষ ংঁৎাবু (১৯৯৮): ঞযব ঋরৎংঃ ঘধঃরড়হধষ ঝবহঃরহবষ ঝঁৎাবরষষধহপব ভড়ৎ ঐওঠ ধহফ ংুঢ়যরষরং (১৯৯৭/১৯৯৮), পড়হফঁপঃ¬বফ নু ওঈউউজ’ই রহ পড়ষষধনড়ৎধঃরড়হ রিঃয এড়াবৎহসবহঃ ধসড়হম ৪০০০ ঢ়বড়ঢ়ষব নবষড়হমরহম ঃড় ঃযব যরময-ৎরংশ নবযধারড়ৎধষ মৎড়ঁঢ়ং, ংযড়ংি ঃযধঃ ঐওঠ রং ধষংড় ঢ়ৎবংবহঃ রহ পড়হংরফবৎধনষব হঁসনবৎং ধসড়হম যরময ৎরংশ মৎড়ঁঢ়ং ড়ভ ঃযব ংধস¬ঢ়ষবং, ংঁপয ধং ংবী ড়িৎশবৎং (০.৬%), রহঃৎধ¬াবহড়ঁং ফৎঁম ঁংবৎং (২.৫%), ঝঞউ ঢ়ধঃরবহঃং (০.৩%) ধহফ সবহ যধারহম ংবী রিঃয সবহ (০.২%).
ঞযব ঢ়ৎবাধষবহপব ড়ভ ঝুঢ়যরষরং রং যরময ঢ়ধৎঃরপঁ¬ষধৎষু ধসড়হম ংবী ড়িৎশবৎং (৬০-৭০ ঢ়বৎ পবহঃ), নড়ঃয নৎড়ঃযবষ নধংবফ ধহফ ভষড়ধঃরহম ংবী ড়িৎশবৎং. অষঃযড়ঁময ঃযব ড়াবৎধষষ ঢ়ৎবাধষবহপব ড়ভ ঐওঠ রং ষড়ি নঁঃ রঃ রং ঢ়ৎবংবহঃ রহ পড়হংরফবৎধনষব হঁসনবৎং ধসড়হম ওউটং (২.৬%).
ওং ঃযবৎব ঝঃরষষ ডরহফড়ি ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ভড়ৎ ইধহমষধফবংয?
অষঃযড়ঁময ঃযবৎব রং ংঃরষষ ফবহরধষ ধনড়ঁঃ ঐওঠ/অওউঝ বঢ়রফবসরপ রহ ইধহমষধফবংয, ঃযরং পড়ঁহঃৎু বীযরনরঃং ংবাবৎধষ ৎরংশ ভধপঃড়ৎং, যিরপয পড়ঁষফ ভধপরষরঃধঃব ঃযব ৎধঢ়রফ ংঢ়ৎবধফ ড়ভ ঐওঠ. ঞযবংব ধৎব:
ক্স ঞযবৎব ধৎব ধৎড়ঁহফ ১,৫০,০০০ ংবী ড়িৎশবৎং রহ ইধহমষধফবংয, যিড়ংব পঁংঃড়সবৎং ৎবঢ়-ৎবংবহঃ ধষষ ংবমসবহঃং ড়ভ ঃযব ংড়পরবঃু. গড়ংঃ ড়ভ ঃযবস ধৎব ঁহধধিৎব ড়ভ ংধভব ংবী ঢ়ৎধপ¬ঃরপব. ঞযড়ঁময ংড়সব ড়ভ ঃযবস শহড়ি ধনড়ঁঃ ঢ়ৎড়ঃবপঃবফ ংবী, ঃযবু ধৎব হড়ঃ বসঢ়ড়বিৎবফ ঃড় হবমড়ঃরধঃব.
ক্স ঙহব ংঃঁফু ধসড়হম ঈঝডং (ঈড়সসবৎপরধষ ঝবী ডড়ৎশবৎং) রহ ইধহমষধফবংয ভড়ঁহফ ঃযধঃ ৯৫ ঢ়বৎ পবহঃ যধফ পড়হঃৎধপঃবফ মবহরঃধষ যবৎঢ়বং ধহফ ৬০ ঢ়বৎ পবহঃ যধফ ংুঢ়যরষরং. ঝঁপয ফরংবধংবং হড়ঃ ড়হষু ভধপরষরঃধঃব ঃযব ঃৎধহংসরংংরড়হ ড়ভ ঐওঠ নঁঃ ধষংড় রহফরপধঃব ঃযব ঢ়ৎবংবহপব ড়ভ ৎরংশু ংবীঁধষ নবযধারড়ৎ, ংঁপয ধং ংবী রিঃযড়ঁঃ পড়হফড়স.
ক্স ঞযবৎব ধৎব সড়ৎব ঃযধহ ২, ০০,০০০ ংঃৎববঃ পযরষফৎবহ ভষড়ধঃরহম রহ ঃযব উযধশধ সবঃৎড়¬ঢ়ড়ষরঃধহ ধৎবধ. গড়ংঃ ড়ভ ঃযবস ধৎব ারপঃরসং ড়ভ বীঢ়ষড়রঃধঃরড়হ, যধৎধংংসবহঃ ধহফ ধনঁংব, রহপষঁফরহম ংবীঁধষ ধনঁংব.
ক্স ওহ ইধহমষধফবংয ধহ ধাবৎধমব ড়ভ ২, ৫০,০০০ ঁহরঃং ড়ভ নষড়ড়ফ ধৎব ৎবয়ঁরৎবফ ঢ়বৎ ুবধৎ, ড়ভ যিরপয ধষসড়ংঃ ৮০ ঢ়বৎ পবহঃ নষড়ড়ফ রং ফৎধহি ভৎড়স ঢ়ৎড়ভবংংরড়হধষ নষড়ড়ফ ফড়হড়ৎং. অসড়হম ঃযবস ২০ ঢ়বৎ পবহঃ ড়ভ ঢ়ৎড়ভবংংরড়হ-ধষ নষড়ড়ফ ফড়হড়ৎং ধৎব ওউটং যিড় ংযধৎব হববফষবং (ঁঢ় ঃড় ৯৭ ঢ়বৎ পবহঃ). অনড়ঁঃ ৯০ ড়ভ নষড়ড়ফ ঃৎধহংভঁংরড়হং রহ এড়াঃ. যড়ংঢ়রঃধষং ্ পষরহরপং ড়পপঁৎ রিঃযড়ঁঃ ঐওঠ ংপৎববহরহম. ঞযব ঢ়ধঃরবহঃং ধৎব হড়ঃ নবরহম রহভড়ৎসবফ বাবহ.
ক্স ওহ ড়ঁৎ পড়ঁহঃৎু সধীরসঁস ড়ভ ঃযব নষড়ড়ফ নধহশং ধৎব ফরংঃৎরনঁঃরহম ঁহংপৎববহবফ নষড়ড়ফ.
ক্স ঞযবৎব রং ধ ংঃৎড়হম রহফরপধঃরড়হ ঃযধঃ ঢ়বড়¬ঢ়ষব ংঃরষষ ফড় হড়ঃ ঢ়ৎধপঃরপব ংধভব ংবী; ঃযধঃ রং ধ ংড়ষরফ রহফরপধঃরড়হ ভড়ৎ ংঢ়ৎবধফ ড়ভ ঃযব ফরং¬বধংব ধসড়হম ঃযব হড়হ-ৎরংশ মৎড়ঁঢ়.
ক্স চৎব- সধৎরঃধষ ধহফ বীঃৎধ-সধৎরঃধষ ংবী রং ঢ়ৎবাধষবহঃ রহ ইধহমষধফবংয.
ক্স অনড়ঁঃ ৭৪,০০০ ইধহমষধফবংযরং (ড়ভভরপরধষষু) মড় ধনৎড়ধফ বাবৎু ুবধৎ ধহফ রিঃযরহ ঃযব পড়ঁহঃৎু ঃযব সড়নরষব ঢ়ড়ঢ়ঁষধঃরড়হ রং ধষংড় রহপৎবধংরহম ভড়ৎ বধৎহরহম ঃযবরৎ ষরাবষরযড়ড়ফ. ঞযবু ধৎব ধষংড় রহ ৎরংশ ড়ভ মবঃঃরহম ঐওঠ রহভবপঃরড়হ ভড়ৎ হড়ঃ শহড়রিহম ধনড়ঁঃ ঐওঠ ধহফ যড়ি রঃ রং ঃৎধহংসরঃঃবফ.
ঞযব ঘধঃরড়হধষ ৎবংঢ়ড়হংব:ঊভভবপঃরাব ঐওঠ/অওউঝ ঢ়ড়ষরপরবং ধহফ ঢ়ৎড়মৎধসং হড়ঃ ড়হষু ধফফৎবংং যবধষঃয, নঁঃ ধষংড় ঃযব ংড়পরড়-বপড়হড়সরপ, ঢ়ড়ষরঃরপধষ ধহফ পঁষঃঁৎধষ ধংঢ়বপঃং ড়ভ ংড়পরবঃু, যিরপয ধষঃড়মবঃযবৎ পড়হঃৎরনঁঃব ঃড় ঃযব ংঢ়ৎবধফ ড়ভ ঃযব বঢ়রফবসরপ ধহফ বীঢ়বৎরবহপব রঃং পড়হংবয়ঁবহপবং. ইবষড়ি রং ধহ ড়াবৎারবি ড়ভ ঃযব পঁৎৎবহঃ হধঃরড়হধষ ৎবংঢ়ড়হংব ঃড় ঐওঠ/অওউঝ রহ ইধহমষধফবংয.
চড়ষরপু ড়হ ঃযব হধঃরড়হ’ং ৎবংঢ়ড়হংব ঃড় ঐওঠ/অওউঝ: ওহ গধু ১৯৯৭, ঃযব ইধহমষধফবংয ঈধনরহবঃ ধঢ়ঢ়ৎড়াবফ ঃযব ঘধঃরড়হধষ চড়ষরপু ড়হ ঐওঠ/অওউঝ ধহফ ঝঞউ ৎবষধঃবফ রংংঁবং. ঞযব ফড়পঁসবহঃ পড়াবৎং ঢ়ঁনষরপ যবধষঃয ধংঢ়বপঃং ংঁপয ধং ংঁৎ¬াবরষষধহপব, ংধভব নষড়ড়ফ ংঁঢ়ঢ়ষু, ঐওঠ পড়ঁহংবষরহম ধহফ ঃবংঃরহম, ফরধমহড়ংরং ধহফ ঃৎবধঃ¬সবহঃ ড়ভ ঝঞউং. ওঃ ধষংড় ধফফৎবংংবং ঃযব ঢ়ধৎঃরপ¬ঁষধৎ াঁষহবৎধনরষরঃু ড়ভ ড়িসবহ, ধফড়ষবংপবহঃং ধহফ পযরষফৎবহ; সড়নরষরঃু; রহঃৎধাবহড়ঁং ফৎঁম ঁংব; বঃযরপধষ ধংঢ়বপঃং ড়ভ অওউঝ ৎবংবধৎপয; ঐওঠ/অওউঝ ধহফ ঃযব ড়িৎশঢ়ষধপব, রহভড়ৎসধঃরড়হ, বফঁপধঃরড়হ ধহফ পড়সসঁহরপধঃরড়হ (ওঊঈ); ংড়পরধষ ধহফ নবযধারড়ঁৎধষ ৎবংবধৎপয ধহফ ষবমধষ রংংঁবং ৎবষধঃবফ ঃড় ঐওঠ/অওউঝ.
ঘধঃরড়হধষ ংঃৎধঃবমরপ ঢ়ষধহ: ওহ গধু ১৯৯৭, ঃযব মড়াবৎহসবহঃ, ঘএঙং ৎবঢ়-ৎবংবহঃধঃরাবং ড়ভ াধৎরড়ঁং পড়সসঁহরঃরবং রহ ইধহমষধফবংয ধহফ ফড়হড়ৎং ফবাবষড়ঢ়বফ ঃযব ঝঃৎধঃবমরপ চষধহ ভড়ৎ ঃযব ঘধঃরড়হধষ অওউঝ চৎড়মৎধস ড়ভ ইধহমষধফবংয ১৯৯৭- ২০০২.
ঙঢ়বৎধঃরড়হধষ ঢ়ষধহ ভড়ৎ হধঃরড়হধষ অওউঝ/ ঝঞউ ঢ়ৎড়মৎধস : অহ ড়ঢ়বৎধঃরড়হধষ চষধহ ভড়ৎ ঘধঃরড়হধষ অওউঝ/ঝঞউ চৎড়মৎধস ১৯৯৮-১৯৯৯ যধং নববহ ঢ়ৎবঢ়ধৎবফ নু ঃযব গরহরংঃৎু ড়ভ ঐবধষঃয রহ পষড়ংব পড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ রিঃয টঘঅওউঝ-ইধহমষধফবংয. ঞযব ঙঢ়বৎধঃরড়হধষ চষধহ রং ঢ়ৎবঢ়ধৎবফ রহ ঃযব ভৎধসবড়িৎশ ড়ভ ঃযব ঐবধষঃয ধহফ চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ ঝবপঃড়ৎ চৎড়মৎধস (ঐচঝচ). ঞযব ধরস ড়ভ ঐচঝচ রং ঃড় ঢ়ৎড়ারফব ধ ঢ়ধপশধমব ড়ভ বংংবহঃরধষ যবধষঃয পধৎব ংবৎারপবং ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ংষড়ি ঃযব ঢ়ড়ঢ়ঁষধঃরড়হ মৎড়ঃিয ধহফ ঃযব ফধহমবৎং ড়ভ ঃযব ংঢ়ৎবধফ ড়ভ ঐওঠ/অওউঝ. ঞযব ঐচঝচ রহঃবহফং ঃড় ঢ়ৎড়সড়ঃব ংবৎারপবং ৎবংঢ়ড়হংরাব ঃড় ঃযব ঢ়ড়ঢ়ঁষধ¬ঃরড়হ হববফং. ঞযব ঢ়ৎবাবহঃরড়হ ধহফ পধৎব ড়ভ অওউঝ বঢ়রফবসরপং যধাব নববহ রহপষঁফবফ রহ ঃযব ঊংংবহঃরধষ ঝবৎারপবং চধপশধমব, যিরপয পড়হংরংঃং ড়ভ নধংরপ ৎবঢ়ৎড়ফঁপঃরাব ধহফ পযরষফ যবধষঃয ংবৎ¬ারপবং, রহপষঁফরহম ভধসরষু ঢ়ষধহহরহম, সধঃবৎহধষ পধৎব ধহফ রসসঁহরুধঃরড়হ, ধং বিষষ ধং পড়হঃৎড়ষ ড়ভ ংবষবপঃবফ পড়সসঁহরপধনষব ফরংবধংবং, ষরসরঃবফ পঁৎধঃরাব পধৎব ধহফ নবযধারড়ৎ পযধহমব পড়সসঁ¬হরপধঃরড়হ (ইঈঈ). ঞযব ঊঝচ রিষষ নব ফবষরাবৎবফ ঃযৎড়ঁময ফরভভবৎবহঃ ষবাবষং ড়ভ ঃযব ঢ়ৎরসধৎু যবধষঃয পধৎব ংুংঃবস.
অং ধ পড়হংবয়ঁবহপব ড়ভ ঐচঝচ পড়সরহম রহঃড় ভড়ৎপব রহ ঔঁষু ১৯৯৮, ঃযব ংবসর-ড়ভভরপরধষ ংঃৎঁপ¬ঃঁৎব ড়ভ ঃযব ইধহমষধফবংয অওউঝ চৎবাবহঃরড়হ ধহফ ঈড়হঃৎড়ষ চৎড়লবপঃ (ইঅচঈচ) যধং বহফবফ রহ ঝবঢ়ঃবসনবৎ ১৯৯৮. ঞযব ইঅচঈচ ধিং ভঁহফবফ ংরহপব রঃং রহপবঢ়ঃরড়হ রহ ১৯৯৬ নু টঘউচ ধং ধ ঢ়ৎড়লবপঃ ড়ভ ঃযব গরহরংঃৎু ড়ভ ঐবধষঃয ধহফ ঋধসরষু ডবষভধৎব.
ঝড়সব ধপঃরারঃরবং ড়ভ ঃযব ুবধৎ : ডড়ৎষফ অওউঝ উধু ড়নংবৎাধঃরড়হ:
ঞযরং ুবধৎ ড়হ উবপবসনবৎ ১, ১৯৯৯ ঃযব ঃযবসব ড়ভ ঃযব ডড়ৎষফ অওউঝ উধু ধিং “খরংঃবহ, খবধৎহ ধহফ খরাব: ডড়ৎষফ অওউঝ ঈধসঢ়ধরমহ রিঃয ঈযরষফৎবহ ধহফ ণড়ঁহম চবড়ঢ়ষব.” ওঃ নঁরষফং ড়হ ঃযব সড়সবহঃঁস মবহবৎধঃবফ নু ঃড়ি ুবধৎং’ ধফাড়পধপু নু টঘঅওউঝ ঃযৎড়ঁময ঃযব ১৯৯৭ পধসঢ়ধরমহ, যিরপয ভবধঃঁৎবফ “ঈযরষফৎবহ ষরারহম রহ ধ ড়িৎষফ রিঃয অওউঝ” ধহফ ঃযব ১৯৯৮ পধস-ঢ়ধরমহ, যিরপয যরমযষরমযঃবফ ুড়ঁহম ঢ়বড়ঢ়ষব ধং ধ “ঋড়ৎপব ভড়ৎ পযধহমব.” টঘঅওউঝ ঢ়ৎড়সঢ়ঃবফ ঃযব ঃযবসব ড়হ ১৯৯৯ ড়হ ঃড়ি ড়নলবপঃরাবং. ঞযড়ংব ধৎব:
ক্স ঞড় ৎধরংব ধধিৎবহবংং ধনড়ঁঃ ঃযব হববফ ঃড় ষরংঃবহ ঃড় পযরষফৎবহ ধহফ ুড়ঁহম ঢ়বড়ঢ়ষব রহ ড়ৎফবৎ ভড়ৎ অওউঝ চৎবাবহঃরড়হ ধহফ পধৎব বভভড়ৎঃং ঃড় নব বভভবপঃরাব.
ক্স ঞড় ংঃৎবহমঃযবহ অওউঝ ঢ়ৎড়মৎধস রিঃয পযরষফৎবহ ধহফ ুড়ঁহম ঢ়বড়ঢ়ষব.
ঈধসঢ়ধরমহ ভড়ৎ ঝধভব ইষড়ড়ফ ঞৎধহংভঁংরড়হ রিঃয ণড়ঁহম চবড়ঢ়ষব রহ ইধহমষধফবংয ১৯৯৯-২০০০: ঙহ ১ংঃ ঔঁষু ১৯৯৯ ঃযব অফাড়পধপু চৎড়মৎধস ড়ভ ঃযব ঈযৎরংঃরধহ ঈড়সসরংংরড়হ ভড়ৎ উবাবষড়ঢ়সবহঃ রহ ইধহমষধফবংয (ঈঈউই) যধং ষধঁহপযবফ ধ ঢ়ৎড়মৎধস হধসবফ “ঈধসঢ়ধরমহ ভড়ৎ ঝধভব ইষড়ড়ফ ঞৎধহংভঁংরড়হ রিঃয ণড়ঁহম চবড়ঢ়ষব রহ ইধহমষধফবংয ১৯৯৯ – ২০০০” রিঃয রঃং ঢ়ধৎঃ-হবৎ ড়ৎমধহরুধঃরড়হং. ঈঈউই ধহফ জড়ঃধৎু ওহঃবৎহধঃরড়হধষ উরংঃৎরপঃ- ৩২৮০ ইধহমষধফবংয ধৎব লড়রহঃষু ংঢ়ড়হংড়ৎরহম ঃযব পধসঢ়ধরমহ, যিরষব ঃযব ইধহমষধফবংয জবফ ঈৎবংপবহঃ ঝড়পরবঃু রং বীঃবহফরহম ধষষ ঃযব ঃবপযহরপধষ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ, র.ব., নষড়ড়ফ পড়ষষবপঃরড়হ, ঢ়ৎবংবৎাধঃরড়হ, ঃবংঃরহম ধহফ ফরংঃৎরনঁঃরড়হ. ঞযব ড়নলবপঃরাবং ড়ভ ঃযব ঢ়ৎড়মৎধস ধৎব:
ক্স ঞড় ৎধরংব ধধিৎবহবংং ধসড়হম ঃযব মবহবৎধষ ঢ়ড়ঢ়ঁষধঃরড়হ ড়হ ঃযব পড়হপবঢ়ঃ ড়ভ ঝধভব ইষড়ড়ফ ঞৎধহংভঁংরড়হ, র.ব., ঁংব ড়ভ ংপৎববহবফ নষড়ড়ফ যিবহবাবৎ নষড়ড়ফ ঃৎধহংভঁংরড়হ রং হববফবফ;
ক্স ঞড় রহপৎবধংব ঠড়ষঁহঃধৎু ইষড়ড়ফ উড়হধঃরড়হ ধহফ ফড়হড়ৎ ৎবঃবহঃরড়হ ঃযৎড়ঁময বফঁপধঃরড়হ ধহফ রহভড়ৎসধঃরড়হ;
ক্স ঞড় ৎধরংব ধধিৎবহবংং, বংঢ়বপরধষষু ধসড়হম ুড়ঁহম ঢ়বড়ঢ়ষব, ড়হ ইষড়ড়ফ ঞৎধহংভঁংবফ উরংবধংবং/ ঈৎড়ংং পঁঃঃরহম রংংঁবং, ব.ম. ঐওঠ/অওউঝ, উৎঁম অনঁংব, ধহফ ডড়সবহ’ং ঠঁষহবৎধনরষরঃু, বঃপ.
চড়ংরঃরাব ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ হবঃড়িৎশ: চবড়ঢ়ষব ষরারহম রিঃয ঐওঠ/অওউঝ (চখডঐঅং) ধৎব ধষসড়ংঃ রহাধৎরধনষু ংববহ রহ ইধহমষধফবংয ধং ঢ়বড়ঢ়ষব রিঃয হড় ভঁঃঁৎব. ঞযবু ধৎব ংঃৎড়হম¬ষু ফরংপৎরসরহধঃবফ ধমধরহংঃ ধহফ ধৎব রহ ধ ংরঃঁ¬ধঃরড়হ ড়ভ হবমধঃরাব ংড়পরধষ বহারৎড়হসবহঃ. ঞড়ফধু, ষধপশ ড়ভ রহভড়ৎসধঃরড়হ ৎবংঃৎরপঃং শহড়ষি¬বফমব ড়হ ষরভব ধভঃবৎ রহভবপঃরড়হ. ঈড়হঃৎধৎু ঃড় ঢ়ড়ঢ়ঁষধৎ নবষরবভ, ঐওঠ রহভবপঃবফ ঢ়বৎংড়হং সরমযঃ ষরাব ঢ়ৎড়ফঁপঃরাব, সবধহরহমভঁষ ধহফ যবধষঃযু ষরাবং ভড়ৎ সধহু ুবধৎং. ডযরষব ধফাড়পধঃরহম ভড়ৎ ঃযব ৎরমযঃং ধহফ ফরমহরঃু ড়ভ ঃযব চখডঐঅং, ঃযব অফাড়পধপু চৎড়মৎধস ভবষঃ ধহ ঁৎমবহঃ হববফ ড়ভ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ, পড়ঁহংবষরহম ধহফ পধৎব ংবৎারপবং ভড়ৎ ঃযবস, যিরপয ধৎব ংবাবৎবষু ষধপশরহম রহ ঃযব পড়ঁহঃৎু. ঝরহপব ঋবনৎঁধৎু ১৯৯৯ ঈঈউই ভড়ৎ¬সধষষু রহরঃরধঃবফ ধ ‘চড়ংরঃরাব ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ ঘবঃড়িৎশ’ ধহফ ঢ়বড়ঢ়ষব রিঃযরহ ঃযব চখডঐঅ পড়সসঁহরঃু ধৎব ড়িৎশরহম াড়ষঁহঃধৎরষু রহ রঃ. ঞযব হবঃড়িৎশ রং ড়িৎশরহম রহ পষড়ংব পড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ রিঃয ঃযব উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ঠরৎড়ষড়মু, ইধহমধনধহফযঁ ঝযবরশয গঁলরন গবফরপধষ টহরাবৎংরঃু, উযধশধ. ওহভড়ৎসধঃরড়হ ফরংংবসর¬হধঃরড়হ, পড়ঁহংবষরহম, ৎবভবৎৎধষং ভড়ৎ ঃৎবধঃসবহঃ, ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ ধহফ ৎবযধনরষরঃধঃরড়হ ঃযৎড়ঁময ঃযব হবঃড়িৎশ সবসনবৎং, ধহফ ংঃৎঁমমষব ধমধরহংঃ যঁসধহ ৎরমযঃং ারড়ষধঃরড়হং ধৎব ঃযব সধরহ ধপঃরারঃরবং ড়ভ ঃযরং হবঃড়িৎশ. ইবংরফবং, ঃযব চখডঐঅং ধৎব ঢ়ধৎঃরপরঢ়ধঃরহম রহ ঢ়ড়ষরপু ফরং¬পঁংংরড়হং, রহ ড়িৎশংযড়ঢ়ং/ঃৎধরহরহম রিঃয ংঃঁ¬ফবহঃং/ুড়ঁঃয মৎড়ঁঢ়ং ধহফ ধৎব ংবহংরঃরুরহম ঃযব হববফ ভড়ৎ ংড়পরধষ ধপপবঢ়ঃধহপব ধহফ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ ভড়ৎ চখডঐঅং.
ঝযড়যড়লড়মর- অওউঝ বষবপঃৎড়হরপ সধরষ ফরং¬পঁংংরড়হ হবঃড়িৎশ ভড়ৎ ইধহমষধফবংয: “ঝযড়যড়লড়মর”, ধহ ব-সধরষ ফরংপঁংংরড়হ ভড়ৎঁস/হবঃড়িৎশ ংবঃ রিঃয ঃযব মড়ধষ ঃড় রসঢ়ৎড়াব ঃযব রসঢ়ধপঃ ড়ভ অওউঝ রহঃবৎাবহঃরড়হং রহ ইধহমষধফবংয. ঞযব অফাড়পধপু চৎড়মৎধস ড়ভ ঈঈউই রং ড়হব ড়ভ ঃযব ঢ়ৎরসব সড়াবৎং ড়ভ ঃযরং হবঃড়িৎশ. ঞযব হবঃড়িৎশ ঢ়ৎড়ারফবং ঃযব বধংরবংঃ ধিু ঃড় ঢ়ধৎঃরপরঢ়ধঃব রহ ঃযব অওউঝ ফরধষড়মঁব রহ ইধহমষধফবংয ধহফ পড়হঃৎরনঁঃবং রহ ঃযব ভড়ষষড়¬িরহম ধিুং:
চৎড়ভবংংরড়হধষং ড়িৎশরহম রিঃয অওউঝ (ঢ়ড়ষ¬রপু ধহফ ঢ়ৎড়মৎধস ষবাবষ) মবঃ ধহংবিৎং ঃড় ঃবপযহরপধষ য়ঁবংঃরড়হং. চড়ষরপু সধশবৎং পড়হংঁষঃ রিঃয ঃযড়ংব রিঃয বীঢ়বৎরবহপব. ঊীঢ়বৎরবহপব ধহফ রহভড়ৎসধঃরড়হ রং ংযধৎবফ. ছঁবংঃরড়হং ধৎব ৎধরংবফ ধহফ ফবনধঃবং রহরঃর¬ধঃবফ. চবড়ঢ়ষব ভরহফ ঃযব যবষঢ় ঃযবু হববফ রিঃযরহ ঃযব বীরংঃরহম পড়সসঁহরঃু, বংঃধনষরংয বভভবপঃরাব ষরহশধমবং. উড়হড়ৎং ভরহফ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং ধহফ রহফরারফ্লঁধষং ঃড় ভঁহফ
চড়ংরঃরাব ঠড়রপব – ঊহংঁৎব ড়ঁৎ যঁসধহ ৎরমযঃং: ডযরষব বি বিৎব ফরংপঁংংরহম রিঃয ড়ঁৎ ভৎরবহফং ধভভবপঃবফ নু ঐওঠ/অওউঝ, ংড়সব পধসব ভড়ৎধিৎফ রিঃয ঃযবরৎ ৎিরঃরহমং, ড়ঃযবৎং হধৎৎধঃবফ ঃযবরৎ ঢ়ষরমযঃ ধহফ রিংযবফ ঃড় সধশব ঃযবসংবষাবং যবধৎফ রিঃয ঃযব যড়ঢ়ব ঃযধঃ রঃ ড়িঁষফ রহংঢ়রৎব ড়ঃযবৎং ঃড় পড়সব ভড়ৎধিৎফ ঃড় যবষঢ় বংঃধনষরংয ঃযবরৎ ৎরমযঃং. জরমযঃ ঃড় ঃৎবধঃসবহঃ, সবফরপধষ ধংংরংঃধহপব, পড়ঁহংবষরহম, ড়িৎশ, সড়াবসবহঃ, পড়হভরফবহঃরধষরঃু, ফরমহরঃু, ষরনবৎঃু, বয়ঁধষ ঢ়ৎড়¬ঃবপঃরড়হ ড়ভ ঃযব ষধ,ি ংবপঁৎরঃু ৎরমযঃং বি ড়ভঃবহ ঃধশব ধং ভড়ৎ মৎধহঃবফ, নঁঃ হড়ঃ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব রিঃয ঐওঠ/অওউঝ.
ঝঃরমসধঃরুধঃরড়হ ধহফ ফরংপৎরসরহধঃরড়হ ধমধরহংঃ ঢ়বড়ঢ়ষব ষরারহম রিঃয ঐওঠ/অওউঝ, াঁষহবৎধনষব মৎড়ঁঢ়ং ধহফ ঢ়বড়ঢ়ষব ধংংড়পরধঃবফ রিঃয ংড় পধষষবফ যরময-ৎরংশ ধপঃরারঃরবং. (ব.ম., রহলবপঃরহম ফৎঁম ঁংবৎং, মধু সবহ, পড়সসবৎপরধষ ংবী ড়িৎশ¬বৎং) যধং নববহ ধ ৎবধষরঃু ধষষ ধপৎড়ংং অংরধ. অংরধহ ংড়পরবঃরবং পড়হংরফবৎ যড়সড়ংবীঁধষ ংবী, ফৎঁম ঁংব ধহফ ঢ়ৎড়ংঃরঃঁঃরড়হ ধং “ংড়পরধষষু ধনবৎ¬ৎধহঃ নবযধারড়ৎ” ধহফ ঃযড়ংব যিড় ধৎব ধংংড়পরধঃ¬বফ রিঃয ংঁপয নবযধারড়ৎ নবপড়সব ঃযব ড়নলবপঃ ড়ভ ংঃরমসধঃরুধঃরড়হ, ফরংপৎরসরহধঃরড়হ, ারষরভরপধঃরড়হ ধহফ ড়ভঃবহ ঃরসবং, .ারড়ষবহপব. ওমহড়ৎধহপব, রহঃড়ষ¬বৎধহপব ধহফ ফববঢ়ষু-ৎড়ড়ঃবফ হবমধঃরাব ধঃঃর-ঃঁফবং ঃড়ধিৎফং ংঁপয ংড়পরধষষু “ধনবৎৎধহঃ” নবযধারড়ৎ ধৎব ধঃ ঃযব যবধৎঃ ড়ভ ঃযরং ংরঃঁধঃরড়হ. ঞযব ঃবহফবহপু ঃড় নষধসব, ঃড় ষড়ড়শ ভড়ৎ ংপধঢ়ব¬মড়ধঃং, ঃড় ফবহু ঃযধঃ ঐওঠ/অওউঝ ধভভবপঃ ঁং ধষষ, ধমমৎধাধঃবং ঃযব ংরঃঁধঃরড়হ. ওঃ ৎবংঁষঃং রহ ধ “ঃযবস ধহফ ঁং” ধঃঃরঃঁফব, যিরপয রং ধ সধলড়ৎ নধৎৎরবৎ ঃড় ঃযব ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃরাব বহারৎড়হসবহঃ ঃযধঃ রং ংড় বংংবহঃরধষ ঃড় ধ ংড়ঁহফ ধহফ বভভবপঃরাব ৎবংঢ়ড়হংব ঃড় ঃযব ঢ়ধহফবসরপ. ঞড় ঁঢ়যড়ষফ ঃযব ৎরমযঃং ড়ভ চখডঐঅং ধৎব হড়ঃ ধ ষীঁঁৎু, রঃ রং ধ হবপবংংরঃু. ঝড় বি যধাব ঃড় ধপঃ ৎবংঢ়ড়হংরনষু হড়!ি
ঋঁঃঁৎব উরৎবপঃরড়হং ঙভভরপব ড়ভ ঃযব ঐরময ঈড়সসরংংরড়হবৎ ভড়ৎ ঐঁসধহ জরমযঃং (ঙঐঈঐজ) রং পড়সসরঃঃবফ ঃড় পড়হঃরহঁরহম রঃং বভভড়ৎঃং ঃড় বহংঁৎব ধ ৎরমযঃং-নধংবফ ৎবংঢ়ড়হংব ঃড় ঃযব ঐওঠ/অওউঝ বঢ়রফবসরপ. অং ংঁপয, রঃ রিষষ পড়হঃরহঁব ঃড় পধৎৎু ড়ঁঃ রঃং বভভড়ৎঃং ধহফ ধপঃরারঃরবং রহ ঃযরং ৎবমধৎফ ধং ফবংপৎরনবফ ধনড়াব. ওহ ধফফরঃরড়হ ঃড় ঃযবংব ধপঃরারঃরবং, টঘঅওউঝ ধহফ ঙঐঈঐজ যধাব রফবহঃরভরবফ ঃযব ভড়ষষড়রিহম ধং শবু ঢ়ৎড়মৎধসসরহম ঢ়ৎরড়ৎরঃরবং: চৎড়সড়ঃরহম ঃযব ভঁৎঃযবৎ ঁহফবৎংঃধহফরহম ধহফ রসঢ়ষবসবহঃধঃরড়হ ড়ভ যঁসধহ ৎরমযঃং রহ ঃযব পড়হঃবীঃ ড়ভ ঐওঠ/অওউঝ, রহপষঁফরহম নু বভভবপঃরাব ফরংংবসরহধঃরড়হ ড়ভ ঃযব লড়রহঃ টঘঅওউঝ/ঙঐঈঐজ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ এঁরফবষরহবং ড়হ ঐওঠ/অওউঝ ধহফ ঐঁসধহ জরমযঃং , ধহফ জবারংবফ এঁরফবষরহব ৬ ড়হ ধপপবংং ঃড় ঢ়ৎবাবহঃরড়হ, ঃৎবধঃসবহঃ, পধৎব ধহফ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ , ধহফ ঝঃৎবহমঃযবহরহম পধঢ়ধপরঃু ধঃ ঃযব হধঃরড়হধষ ষবাবষ ঃড় ধফফৎবংং ঐওঠ/অওউঝ-ৎবষধঃবফ যঁসধহ ৎরমযঃং রংংঁবং. ঞড় ধপযরবাব ঃযবংব ঢ়ৎরড়ৎরঃরবং, ঃযব ভড়ষষড়রিহম ধফফরঃরড়হধষ ধপঃরারঃরবং রিষষ নব ঁহফবৎঃধশবহ: চৎড়ফঁপরহম ধ ঁংবৎ-ভৎরবহফষু াবৎংরড়হ ড়ভ ঃযব ওহঃবৎহধঃরড়হধষ এঁরফবষরহবং ড়হ ঐওঠ/অওউঝ ধহফ ঐঁসধহ জরমযঃং ধহফ ফরংংবসরহধঃরহম রঃ রিফবষু, ঝঃৎবহমঃযবহরহম ঃযব ভড়পঁং ড়হ ঐওঠ/অওউঝ-ৎবষধঃবফ যঁসধহ ৎরমযঃং রংংঁবং রিঃযরহ সধহফধঃবং ধহফ ধপঃরারঃরবং ড়ভ হধঃরড়হধষ যঁসধহ ৎরমযঃং রহংঃরঃঁঃরড়হং, রহপষঁফরহম ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ ধ যধহফনড়ড়শ ধং ৎবভবৎৎবফ ঃড় ধনড়াব,
এধঃযবৎরহম ধহফ ঢ়ঁনষরংযরহম ধ পড়সঢ়রষধঃরড়হ ড়ভ ঢ়ৎধপঃরপধষ পধংব ংঃঁফরবং ঃযধঃ যরমযষরমযঃ যড়ি ঐওঠ/অওউঝ-ৎবষধঃবফ যঁসধহ ৎরমযঃং পধহ নব ধফফৎবংংবফ ধঃ ঃযব হধঃরড়হধষ ষবাবষ, উবাবষড়ঢ়রহম ঢ়ৎধপঃরপধষ ‘ভধপঃ ংযববঃং’ ড়হ ঃযব ওহঃবৎহধঃরড়হধষ এঁরফবষরহবং ড়হ ঐওঠ/অওউঝ ধহফ ঐঁসধহ জরমযঃং ভড়ৎ ঁংব ধঃ ঃযব হধঃরড়হধষ ধহফ ৎবমরড়হধষ ষবাবষ, ধহফ ঙঢ়বৎধঃরড়হধষরুরহম পড়ঁহঃৎু-ষবাবষ লড়রহঃ ধপঃরারঃরবং নবঃবিবহ টঘঅওউঝ ধহফ ঙঐঈঐজ ঃযৎড়ঁময ংঃৎবহমঃযবহরহম পড়ষষধনড়ৎধঃরড়হ নবঃবিবহ ঙঐঈঐজ ভরবষফ ড়ভভরপবং ধহফ টঘঅওউঝ ঈড়ঁহঃৎু চৎড়মৎধসসব অফারংড়ৎং ধহফ ঃযব টহরঃবফ ঘধঃরড়হং ঞযবসব এৎড়ঁঢ় ড়হ ঐওঠ/অওউঝ.
থানা পুলিশ ও একজন মানবাধিকার কর্মী
এডভোকেট আবুল কালাম আযাদ স্বাধীন
পরিচালক (আইন বিষয়ক)
সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস্ মুভমেন্ট, ঢাকা।
রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের সকল সম্পত্তির একক মালিক। সুতরাং রাষ্ট্রের সকল সম্পত্তির নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের কাঁদেই বর্তায়। রাষ্ট্র তার সকল সম্পত্তির নিরাপত্তা হেফাজতের জন্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন কার্যকর সংস্থা রয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ প্রশাসন অন্যতম। যে রাষ্ট্রের পুলিশ প্রশাসন সুষ্ঠ সুন্দর ও রাষ্ট্রের প্রচলিত- আইন মোতাবেক জনগণের বন্ধুর মত কাজ করে সে রাষ্ট্রই সফল। পৃথিবীতে সেনাবাহিনী বিহীন রাষ্ট্রের নজীর পাওয়া যায়- যেমন সুইজারল্যান্ড, মালদ্বীপ। কিন্তু পুলিশ বাহিনী ব্যতিরেকে কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব-নেই। দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার সার্বিক নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বজায় রাখার অরিজিন হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। রাষ্ট্রে বসবাস করতে পুলিশের সহযোগিতা সকলকে নিতেই হয়। সেই জন্যে, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে পুলিশের কাছ থেকে কি ভাবে সহযোগিতা পেতে পারি বা কতটুকু সহযোগিতা করতে পারে বা তাদের কি কি করণীয় দেশের নাগরিক হিসাবে প্রত্যেকের জানা বিশেষভাবে প্রয়োজন। এ বিষয়ে পুলিশের প্রাথমিক কার্যক্রম ও নাগরিকের কার্যক্রম আমাদের আলোচ্য বিষয়।
সাধারণ ডায়েরী ঃ
দেশের ফৌজাদারী কার্যবিধির ১৫৫ ধারায় সাধারণ ডায়েরীর কথা বলা হয়েছে। মানব জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে পুলিশ বাহিনীর সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। তদরূপ বাংলাদেশে বসবাসরত সকল মানুষের পুলিশ বাহিনীর নিকট সাহায্য সহযোগিতা পাবার প্রথম ধাপ হচেছ সাধারণ ডায়েরী। মানুষের নিয়ন্ত্র্রণে থাকা স্থাবর, অস্থাবর স¤পত্তি, জীবজন্তু, গাছপালা, আসবাবপত্র, সুনাম ইত্যাদির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে দেশের খারাপ মানুষ কর্তৃক ভাল মানুষকে মৌখিক লিখিত বা কোন গণমাধ্যমের সাহায্য হুমকী, ভয়ভীতি প্রদান করার পর যে ব্যক্তিকে ক্ষতি সাধন করবার জন্য হুমকী, ভয়ভীতি প্রদান করা হয়েছে সে ব্যক্তি নিজের পরিবারের সমাজের নিরাপত্তার জন্য নিকটতম পুলিশ ফাঁড়ি, থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা নিকট একটা লিখিত নালিশ প্রত্র দাখিল করাকেই সাধারণ ডায়েরী বা জিডি এন্টি বলা হয়।
সাধারণ ডায়েরী কিভাবে করতে হবেঃ
রাষ্ট্রে বসবাসকারী কোন খারাপ দুষ্ট লোক রাষ্ট্রে বসবাস কারি ভাল ও সৎ ব্যক্তিবর্গদের নিয়šত্রণে থাকা স্থাবর অস্থাবর স¤পত্তি সুনাম সুখ্যাতি ইত্যাদি ক্ষতি গ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে মৌখিক লিখিত বা কোন গণমাধ্যমের সাহায্যে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে। যে ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয়। নিকটতম পুলিশ ফাড়ি থানার ডিউটি অফিসারকে যখন সাধারণ ডায়েরী দেয়া হবে তখন সাধারণ ডায়েরী ডিউটি পুলিশ অফিসারের কাছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবরে একটা লিখিত নালিশ পত্র লিখে ফাড়ির থানার ডিউটি পুলিশ অফিসারে কাছে উপস্থাপন করে বলবেন আমি আপনার ফাড়ি থানায় একটা সাধারণ ডায়রী করেতে এসেছে।
ডিউটি অফিসারের কর্তব্যঃ
ডিউটি অফিসার সাধারণ ডায়েরীটা হাতে পাবার পর সাধারণ ডায়েরীটা মনোযোগ সহকারে পাঠ করবেন। সাধারণ ডায়েরীর বিষয় স¤পর্কে ¯পষ্ট ধারণা গ্রহণ করে দেখবেন যে, সাধারণ ডায়েরীটার বিষয় বস্তু কি। এমন কোন বিষয় বস্তু সাধারণ ডায়েরীতে লেখা থাকে যে উক্ত বিষয় বস্তু বা ঘটনা ফৌজদারী কার্যবিধিাইনের ১৫৪ ধারায় এজাহারের পর্যায় পড়ে। যখন ডিউটি অফিসার সাধারণ ডায়েরী কারিকে বলবে আপনার সাধারণ ডায়েরীটি আইনত এজাহার পর্যায় ভুক্ত পরে। আমি এটা এজাহার হিসাবে গ্রহণ করব। যদি সাধারণ ডায়েরী কারী ডিউটি পুলিশ অফিসারের বক্তব্য এজাহার করিতে রাজি না হয় তবে পুলিশ ডিউটি অফিসার নিজে ইচ্চছা করলে উক্ত ঘটনা স্থানে পরিদর্শন করে সাধারণ ডায়েরীর প্রকৃত ঘটনা যানবেন এবং সাধারণ ডায়েরীর পর্যায় ভুক্ত হলে সাধারণ ডায়েরী করবেন এবং ঘটনা এজাহারের পর্যায় ভুক্ত হলে এজাহার করবেন। এজন্য ডিউটি অফিসার সাধারণ ডায়েরী কারীকে কোন প্রকার হয়রানি ভয়ভীতি প্রদর্শন করিতে পারিবে না। তবে পুলিশ সাধারণ ডায়েরীর বিষয় তদšত করতে হবে।
এজাহার ঃ
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে ঋ.ও.জ. বা প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বা এজাহারের গুরুত্ব ও ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই ঋ.ও.জ. এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট অপরাধের বা তদন্ত শুরু হয়। সর্বোপরি, এর মাধ্যমে থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার সংঘটিত বা কথিত অপরাধ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে অবগত হন এবং সেই মোতাবেক কার্যধারা গ্রহণ করতে তৎপর হন। তাই চখউ ১৯৫৮ খধয ৬৬২ পাতায় উলেখ আছে যে, “ঞযব রহাবংঃরমধঃরড়হ ঁহফবৎ ঃযরং পযধঢ়ঃবৎ ঢ়ৎড়পববফং ড়হ ঃযব ভরৎংঃ রহভড়ৎসধঃরড়হ”
ঋ.ও.জ. বা এজাহারের সংজ্ঞা ও সাক্ষ্যগত মূল্য ঃ অপরাধ সম্পর্কীয় প্রাথমিক খবর যা থানায় দেয়া হয় এবং যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট অপরাধটির তদন্ত শুরু হয় উহাকে ঋ.ও.জ. বা প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলা হয়। আদালতের ভাষায় একে এজাহার বলা হয়। তাই, তধযরৎঁষ ঐঁয়- এর ভাষায় আমরা বলতে পারি যে, “ওঃ রং ঃযধঃ রহভড়ৎসধঃরড়হ যিরপয রং মরাবহ ঃড় ঃযব ঢ়ড়ষরপব ভরৎংঃ রহ ঢ়ড়রহঃ ড়ভ ঃরসব ড়হ ঃযব নধংরং ড়ভ যিরপয ঃযব রহাবংঃরমধঃরড়হ পড়সসবহপবং.” এজাহার লিখিত বা মৌখিক উভয় প্রকারে দেয়া যায়। ইহা যদি মৌখিকভাবে দেয়া হয়, তবে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার উহা নিজে লিখতে পারেন অথবা অন্য কাউকেও উহা লিখবার নির্দেশ দিতে পারেন। এভাবে লেখা সমাপ্ত হবার পর উহা খবরদাতাকে পড়ে শুনানো হবে। একইভাবে এজাহার মৌখিকভাবে না হয়ে লিখিতভাবে হতে পারে। অবশ্য, ইহা মৌখিক বা লিখিত যেভাবেই হউক না কেন, ওতে দাতার স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে। এটাই হল ঋ.ও.জ বা এজাহার।
ঋ.ও.জ. এর শর্তাবলী ঋ.ও.জ এর নিম্নলিখিত শর্তাবলী রয়েছে-
(১) অপরাধ সম্পর্কীয় খবর ঃ ঋ.ও.জ. এ উলেখিত খবরটি অবশ্যই অপরাধ সম্পর্কীয় হবে। সুতরাং যে ঘটনায় অপরাধ নেই, উহাকে হিসাবে ঋ.ও.জ. গণ্য করা যায় না।
(২) ঘটনা সম্পর্কীয় খবর ঃ এতে উলেখিত খবরটি অবশ্যই কোন ঘটনা সম্পর্কীয় হবে-গুজব বা রটনা বিষয়ক হলে চলবে না।
(৩) আমলযোগ্য অপরাধ ঃ এতে যে অপরাধটি উলেখ করতে হবে উহা অবশ্যই আমলযোগ্য হবে। অবশ্য কোন অপরাধ আমলযোগ্য না হলে উহাকে থানায় এজাহার না করে এ.উ. ঊহঃৎু করা হয়।
(৪) বিস্তৃত বিবরণ প্রসংগে ঃ এ যে অপরাধ সম্পর্কে উলেখ করা হবে, উহার বিবরণ বিস্তারিতভাবে না দিলেও কোন ক্ষতি নাই।
(৫) খবর লিপিবদ্ধকরণ ঃ এছাড়া, খবরদাতা কর্তৃক প্রদত্ত খবরটি অবশ্যই লিপিবদ্ধ করতে হবে। এমন কি খবরটি মৌখিকভাবে দেয়া হলে উহা লিখে নিতে হবে।
(৬) স্বাক্ষর গ্রহণ ঃ সর্বোপরি, ঋ.ও.জ. লিখিত হবার পর ওতে অবশ্যই খবরদাতার স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে।
সাক্ষ্যগত মূল্য ঃ
আইনে এজাহারের কোন সাক্ষ্যগত মূল্য নাই। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে এজাহারের মূল্য অনেক, কারণ এজাহারে বর্ণিত বিষয় এজাহারকারীর পক্ষে বা বিপক্ষে ব্যবহার করা যায়। সংঘটিত কোন অপরাধ সম্পর্কে প্রাথমিক অবগতিই হলো এজাহারের মূল কথা। তদন্ত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু হয় এজাহার দায়েরের পরপরই। সঠিক বিচার প্রার্থনা ব্যতিরেকে অন্য কোন উদ্দেশ্য না থাকলে এজাহার দায়েরকারী বস্তুনিষ্ঠ বিচার প্রাপ্ত হতে পারে। পিএলডি ১৯৬৯, পেশ, ৩৩৫ (ডিবি) মামলা অনুসারে বলা যায়, এজাহার কোন মামলার সাক্ষ্য হিসেবে প্রয়োগযোগ্য না হওয়া সত্বেও মামলার তদন্তকার্য আরম্ভের পূর্বে পুলিশের নিকট সরবরাহকৃত অপরাধ সংক্রান্ত পরিপূর্ণ বর্ণনা সম্বলিত এজাহার আদালতের নিকট গ্রহণযোগ্য ও প্রাসঙ্গিক গণ্য হতে পারে। তাই এজাহারে অপরাধ সংক্রান্ত বস্তুনিষ্ঠ বিষয় বর্ণনা আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কে এজাহার দায়ের করতে পারে ?
কে ঋ.ও.জ. বা এজাহার দায়ের করবে সে সম্পর্কে ফৌজদারী কার্যবিধিতে কোন বাধাধরা নিয়ম নাই। সাধারণতঃ যে ব্যক্তির বাড়ীতে বা সম্পত্তিতে বা শরীরের উপর কোন অপরাধ সংঘটিত হয়, তিনি সংশ্লিষ্ট আমলযোগ্য অপরাধ সম্পর্কে অবগত যে কোন ব্যক্তি থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করতে পারেন। তাই, ঔযধহঃঁ ধহফ ড়ঃযবৎং ঠং. ঞযব ংঃধঃব, ও ই ঈ জ ২৪৪ নামক মামলার রায়ে বলা হয় যে, “ঋ.ও.জ. রং ধহ ধপপঁংধঃরড়হ. ধহ রহভড়ৎসধঃরড়হ ৎবষধঃরহম ঃড় ঃযব পড়সসরংংরড়হ ড়ভ পড়মহরুধনষব ড়ভভবহপব ৎবঢ়ড়ৎঃবফ ঃড় ঃযব ঢ়ড়ষরপব, নু ধহু ঢ়বৎংড়হ রিঃয ঃযব ড়নলবপঃ ড়ভ ঢ়ঁঃঃরহম ঃযব ঢ়ড়ষরপব রহ সড়ঃরড়হ ঃড় রহাবংঃরমধঃব.” সুতরাং কোন ব্যক্তি যদি থানায় গিয়ে এই মর্মে খবর দেন যে, ঐ থানার এলাকাধীন কোন স্থানে কোন একটি গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তবে উহাকে ঋ.ও.জ. বলে। কিন্তু টেলিফোন বা দস্তখতবিহীন টেলিগ্রামের মারফত কোন খবরকে ঋ.ও.জ. হিসাবে গণ্য করা যায় না। অবশ্য, এভাবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ অফিসার ফরিয়াদীর নিকট হতে যে সংবাদ সংগ্রহ করে লিপিবদ্ধ করেন এবং ওতে যদি সংবাদ দাতার স্বাক্ষর গ্রহণ করেন, তবে উহাকে ঋ.ও.জ বলা যায়।
এজাহার দায়ের করার সময়সীমা ঃ
ঋ.ও.জ. দায়ের করার ক্ষেত্রে এই আইনে কোন সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত হয় নাই। তবে, উচ্চ আদালতের বিভিন্ন নজীরে বলা হয়েছে যে, ঋ.ও.জ. দায়ের করতে টহহবপবংংধৎু ফবষধু করা যাবে না। অর্থাৎ যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যে এজাহার দায়ের করতে হবে। তাই, এধহমঁষু-এর ভাষায় আমরা বলতে পারি যে, “গবৎব ফবষধু রহ ষড়ফমরহম ঋ.ও.জ. ধং ধ সধঃঃবৎ ড়ভ ষধি রং হড়ঃ ভধঃধষ ভড়ৎ ঢ়ৎড়ংবপঁঃরড়হ.” কিন্তু একইভাবে বিভিন্ন নজীর আছে যে, যদি ঋ.ও.জ. দায়ের করতে উবষধু বা দেরি হয়, তবে ঋ.ও.জ- এ যথাযথভাবে উক্ত উবষধু বা দেরির কারণ উলেখ করতে হবে। তাই, গফ. ঐধহরভ ঠং. ঞযব ঝঃধঃব, খ ঔ. ১৯৮০ নামক মামলায় বলা হয় যে, “উবষধু রহ ষড়ফমরহম ঋ.ও.জ. ঘড়ঃ বীঢ়ষধরহবফ ংধঃরংভধপঃড়ৎরষু. ঐবষফ ধষধিুং ভধঃধষ ঃড় ঢ়ৎড়ংবপঁঃরড়হ.”
এজাহার লিপিবদ্ধ করার প্রণালী ঃ
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারার অধিনে এজাহার লিপিবদ্ধ করন সম্পর্কে পুলিশ বিধির ২৪৩ বিধিতে নিয়ম বর্ণিত রয়েছে। বিধানগুলো নিæরুপঃ
ক. ২৪৩ (ক) ২৭ ফরমে মুদ্রিত নির্দেশানুসারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় এজাহার লিপিবদ্ধ করবেন।
খ. যে পুলিশ অফিসার এজাহার গ্রহণ করবেন তিনিই নিজ হাতে লিখবেন এবং স্বাক্ষর ও সীল মোহর প্রদান করবেন।
গ. আমল যোগ্য অপরাধের সংবাদ মৌলিক হউক আর লিখিত হউক যে সংবাদটা প্রথম পুলিশের নিকট পৌছায় উহাকেই এজাহার হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
ঘ. এজাহার একবার লিপিবদ্ধ করা হলে কোন অবস্থাতেই ষ্টেশন অফিসারের দ্বারা বাতিলকৃত হবে না।
ঙ. যদি কোন ব্যক্তি টেলিফোন বার্তার খবর প্রদান উক্ত বার্তা প্রদানকারীকে থানায় এসে এজাহার দায়ের করার কথা বলতে হবে। টেলিফোন বার্তার ভিত্তিতে দায়ের করার কথা বলতে হবে। টেলিফোন বার্তার ভিত্তিতে যদি তদšত শুরু করা বিবেচিত হয় তাহা এবং সংবাদদাতা যদি বেনামী হয় কিংবা সংবাদদাতাকে খুঁজে না পাওয়া যায় তাহা হলে বার্তা গ্রহণকারী অফিসার অবশ্যই নিজে এজাহার দায়ের করেন।
(চ) গুরুতর আঘাত জনিত কোন অপরাধের অভিযোগ করা হলে প্রথম এজাহার গ্রহণ করে পরবর্ত্তীতে মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ থানায় দাখিল করতে হবে। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য এজাহার কোন ক্রমেই গ্রহণ করা বন্ধ রাখা যাবে না।
কতিপয় কেস ছাড়া সম¯ত কেসেই এজাহার লিপিদ্ধ করতে হবে।
(১) আপাতদৃষ্টিতে মিথ্যা বা সত্য হউক, মারাত্মক বা নগন্য হউক পুলিশের নিকট প্রদত্ত প্রতিটি আমলযোগ্য অভিযোগ স¤পর্কিত এজাহার লিপিবদ্ধ করতেই হবে।
(২) ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের ৩৪ ধারা অথবা পৌরসভা রেলওয়ে এবং টেলিগ্রাফ যাহার জন্য ২৫৪ রেগুলেশন দ্রষ্টব্য উপবিধি স¤পর্কিত অপরাধের ক্ষেত্রে ইহাই প্রযোজ্য নহে।
(৩) থানায় যখন সংবাদ দেওয়া হয় যে, কোন পুলিশ অফিসার আমল যোগ্য অপরাধ করেছে তখন অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবসর হওয়া উচিত। কিন্তু তৎক্ষণাৎ প্রথম সংবাদের একটা অনুলিপি তত্ববদায়ক এবং উপজেলা বা জেলা মেজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করবেন।
(৪) ১৯২৪ সালের অপরাধী আইনের ( ১৯২৪-এর-৬) ২৫ এবং ২৪ ধারাসহ ২১ এবং ২২ (১) ধারার অধিনে অপরাধ পুলিশ কর্তৃক অপরাধ আমলযোগ্য এবং এ ধারাগুলো কেসে প্রাথমিক তথ্য বিবরণী এবং অভিযোগপত্রে ব্যবহার করতে হবে।
(৫) ২২ (২) ধারার অধিনে কেস আমলযোগ্য হলে আমলে আনার জন্যে মেজিষ্ট্রেটের নিকট বিবরণী দাখিল করতে হবে। এবং দারগার পদমর্যাদার নিচে নহে এরুপ কোন পুরিশ অফিসার বা থানার ভারপ্রাপ্ত দারগা অপরাধীকে গ্রেফতার করবেন। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া অন্য কোন পুলিশ অফিসার গ্রেফতার করতে ক্ষমতা প্রাপ্ত নহে।
** থানায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এজাহার প্রাপ্তির পর ফৌজদারী কার্যবিধির বিধি অনুযায়ী কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন? তিনি কি কোন অবস্থায় এই ধরনের অপরাধের তদন্ত করতে পারনে?
আমলের অযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে এজাহার ঃ
এ বিধির ১৫৫ (১) ধারা মতে, কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট উক্ত থানার সীমার মধ্যে কোন আমলের অযোগ্য অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে সংবাদ দেয়া হলে তিনি সংবাদের সারমর্ম উক্তরূপে রক্ষিত বহিতে লিপিবদ্ধ করবেন এবং সংবাদদাতাকে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করবেন।
আমলের অযোগ্য মামলার তদন্ত ঃ অত্র বিধির ১৫৫ (২) ধারা মতে, অনুরূপ ঘটনা বিচার বা বিচারের জন্য প্রেরণের ক্ষমতাসম্পন্ন কোন প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত কোন পুলিশ অফিসার কোন আমলের অযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত করবেন না। ১৫৫ (৩) ধারা মতে, এরূপ আদেশপ্রাপ্ত প্রত্যেকটি পুলিশ অফিসার তদন্তের ব্যাপারে আমলযোগ্য ঘটনার ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসেরর ক্ষমতার অনুরূপ ক্ষমতা (বিনা পারোয়ানায় গ্রেফতারের ক্ষমতা ব্যতীত) প্রয়োগ করতে পারবেন।
আমলযোগ্য মামলার তদন্তঃ
এ বিধির ১৫৬ (১) ধারামতে কোন থানার সীমানার মধ্যে স্থানীয় এলাকার অধিক্ষেত্র সম্পন্ন কোন আদালত অনুসন্ধান বা বিচারের স্থান সম্পর্কিত পঞ্চদশ অধ্যায়ের বিধান অনুসারে যে ঘটনার তদন্ত বা বিচারের ক্ষমতায় ক্ষমতাবান থানার ভারপ্রাপ্ত যে কোন অফিসার ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশ ছাড়াই এরূপ যে কোন আমলযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত করতে পারবেন।
১৫৬ (২) ধারা অনুযায়ী, এরূপ কোন ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারের কার্যক্রম সম্পর্কে, তিনি সংশ্লিষ্ট ঘটনার ব্যাপারে এ ধারা অনুসারে তদন্তের ক্ষমতাসম্পন্ন নহেন বলে কোন পর্যায়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। ১৫৬ (৩) ধারা অনুযায়ী, ১৯০ ধারা অনুসারে ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোন ম্যাজিষ্ট্রেট উলেখিতরূপে তদন্তের আদেশ দিতে পারেন।
পুলিশের সাধারণ ডায়েরী ঃ
সাধারণ ডায়েরী সাধারণ ডায়েরী হচেছ পুলিশ স্টেশনের পুরিশ প্রশাসনের যাবতীয় বিষয়ের একটি চিত্র, ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪ এবং ১৫৫ ধারা মোতাবেক সকল থানায় সাধারণ ডায়েরী রাখতে হবে। পি ফরম নং ৬৫-এতে সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করা হয়। অফিসার ইন-চার্জ ইহার জন্য দায়ী। সাধারণ ডায়েরী বইতে কম পক্ষে ২০০ পৃষ্ঠা থাকে। কারণ কাগজে ইহার ডুপ্লিকেট কপি রাখতে হয়। সেই সময়ে পুলিশ ষ্টেশন খরচা পৌছলো ঠিক সে সময়টি সাধারণ ডায়েরীতে রেকর্ড করে রাখতে হবে। যদি কোন দিন কোন ঘটনা না ঘটে থাকে তাহলে উক্ত দিনের জন্য ডায়েরীর কাজ সমাপ্ত হবার পূর্বে এবং সদরে প্রেরণ করবার পূর্বে তাও লিখে রাখতে হবে। সাধারণ ডায়েরীতে থাকবে অভিযোগের ফিরিস্তি অপরাধযোগ্য ও অপরাধযোগ্য নহে সমস্ত অপরাধের খতিয়ান অভিযোগ করা হয়েছে এবং যাকে আটক করা হয়েছে। তার নামধাম অ¯ত্রশা¯ত্র পাওয়া গেলে তার বিবরণ ইত্যাদি সাধারণ ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
উপসংহার ঃ পুলিশের কাজ যাতে সঠিকভাবে এগিয়ে যায় এবং জনগণ যাতে এর সুফল ভোগ করতে পারে, তার নাগরিক হিসাবে পুলিশকে সহযোগিতা করা আমাদের একান্ত নৈতিক দায়িত্ব। পুলিশ আমাদের বন্ধু। পুলিশ বাহিনীতে যে সকল ব্যক্তি চাকুরী করেন তারা আমাদেরই সন্তান। আমরা সাধারণ নাগরিক ও সিভিল প্রশানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানব অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুন্দর সাফল্যময় দেশ গড়তে পারি। তাই বলব আসুন আমরা নিজেরা আইন জানি, অপরকে জানাই এবং দেশকে সম্মৃদ্ধ জনগোষ্ঠির সমন্ব^য়ে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করি।
আন্তর্র্জাতিক মানবাধিকার বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
মোহাম্মদ ইসলাম
উপ-পরিচালক (আন্তজার্তিক)
সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট
ঢাকা।
গধহ রং নড়ৎহ ভৎবব, নঁঃ বাবৎুযিবৎব যব রং রহ ঈযধরহ. ফরাসী দার্শনিক জ্যাঁ জ্যাঁ রূশোর কথা দিয়ে শুরূ করছি-সিএইচআরএম বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্টিত অন্যতম মানবাধিকার সংস্থা। আমার ভাল লাগছে এ সংস্থা সমাজের ঐ শ্রেণী যারা জæের পর হইতে পদে পদে লাঞ্চিত, অপমানিত ও অত্যাচারিত হয়ে নিদারূন অসহায় ও নানাবিধ সূযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের পক্ষে কাজ করতে দেখে।
আমরা প্রতিদিন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা শুনে থাকি কারণে আধুনিক বিশ্বে মানবাধিকার একটি বহুল আলোচিত বিষয়। মানুষের সহজাত অধিকারই মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত। মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। এই পূরণ হওয়ার সাথে যে সব মানবিক অধিকার ব্যতীত মানুষ পৃথিবীতে জীবন ধারন করতে পারে না, মানবিক গুনাবলী ও বৃত্তির প্রকাশ ও বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয় না। যেমন বাক স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, সংবাদপত্র, সংগঠনের স্বাধীনতা, সু-বিচার লাভের অধিকার, জীবন-স¤পদ-স¤প্রদায়ের নিরাপত্তা, নিজ নিজ ধর্ম পালনের সুযোগ প্রভৃতি মানবাধিকার হিসেবে গণ্য করা যায়। এখানে উলেখ্য সময়ের সাথে সাথে মানবাধিকারের আওতা যতটা বেড়েছে তার চেয়ে বেড়েছে এই মানবাধিকার, হরনের কায়দা-কানুন।
মানবাধিকার কি ? ‘‘মানবাধিকার’’ শব্দটি বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। এটি মূলত ফরাসি শব্দ উৎড়রঃং ফব খ’যড়সব থেকে উৎসারিত, যার অর্থ হলো মানুষের অধিকার। ঞযড়সধং চধরহব সর্বপ্রথম ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদ কর্তৃক ১৭৮৯ সালে গৃহীত জরমযঃং ড়ভ গধহ ঘোষণার জন্য উৎড়রঃং ফব খ’যড়সব শব্দটি ব্যবহার করেন, যা গৎং. ঊষবধহড়ৎ জড়ড়ংবাবষঃ-এর প্রস্ত—াব অনুযায়ী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর গৃহীত ঞযব টহরাবৎংধষ উবপষধৎধঃরড়হ ড়ভ ঐঁসধহ জরমযঃং-এ ঐঁসধহ জরমযঃং তথা মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহৃত হয়। মহানবীর (সাৎ) হাদিসে এর প্রতিশব্দ হিসেবে ‘হাক্কুন’ শব্দটি অসংখ্যবার ব্যবহৃত হয়েছে। মানবাধিকার বলতে মানুষের সেই সব স্বার্থকে বুঝায়, যা অধিকারের নৈতিক বা আইনগত নিয়ম-নীতি দ্বারা সংরক্ষিত হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, রাষ্ট্র কর্তৃক এর নাগরিকদের জন্য স্বীকৃত ও প্রদত্ত কতিপয় সুযোগ-সুবিধাকে মানবাধিকার বলে, যেগুলো ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য। মানুষ সমাজবদ্ধ জীবন এ কারণে তার পক্ষে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন সম্ভব নয়। তাই সমাজিক জীবনের সুস্থতা, সৌন্দর্য, উন্নতি, অগ্রগতি ও বলিষ্ঠতার জন্য সমাজের এক সদস্যের প্রতি অন্য সদস্যের অনেকগুলো দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে। যেখানে অধিকার সেখানে দায়িত্ব কর্তব্য থাকবে তাই মানুষের মৌলিক অধিকার সমূহই হলো মানবাধিকার।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ঃ বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ঘোষিত ঞযব টহরাবৎংধষ উবপষধৎধঃরড়হ ড়ভ ঐঁসধহ জরমযঃং-এর উত্তরাধিকার লঙ্ঘন করেছে বিশ শতকের প্রথম থেকেই মানবসভ্যতা অত্যন্ত অসহায়ভাবে দু-দুটো ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছে। মানবাধিকারের, ললাটে কালিমা লেপন করে এতে লাখ লাখ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশু বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়। অতঃপর ভার্সাই চুক্তি ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সভায় ৩০টি অনুচ্ছেদ সংবলিত যে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। মানবাধিকারের এই সার্বজনীন ঘোষণা গৃহীত হওয়ার পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত প্রায় সকল রাষ্ট্রের সংবিধানে ওই ঘোষণাপত্রে বর্ণিত মানবাধিকার সমূহ মর্যাদাসহকারে স্থান পেয়েছে। মানবাধিকার সংরক্ষণের এক মহান উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা হলেও বর্তমান বিশ্বের চিšত—াশীল ব্যক্তিবর্গ এর মানবাধিকার বিষয়ক ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জিং অধ্যায় বলে মনে করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও চীনকে ‘ভেটো’ প্রয়োগের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রদান করে নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্লজ্জ নজির স্থাপন করেছে।
মানবাধিকার সনদকে পদতলে পিষ্ঠ করে আফগানিস্তান ও ইরাকে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনীর নগ্ন আগ্রাসন, গণহত্যা, স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা হরণ, সিরিয়া, ইরান ও সৌদি আরবের প্রতি মার্কিন হুমকি, বসনিয়া হার্জেগোভিনিয়ায় সার্ব বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা, ফিলিস্থি—নে ইসরাইলি আগ্রাসন ও দমন-পীড়ন, আলবেনিয়ায় গণহত্যা, স্বাধীনতাকামী কাশ্বমীর ও মিন্দানাওয়ে মুসলিম নিধন, মিয়ানমারের মুসলিমদের ওপর জেল-জুলুম ও নির্যাতন, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি ও কোনো কোনো দেশে ঘন ঘন সামরিক শাসন জারি, সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের নাগরিক অধিকার হরণ, দেশে দেশে বোমাতঙ্ক এবং সামাজিক নৈরাজ্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও অস্থিতিশীল বিশ্বপরিস্থিতি আজ জাতিসংঘের অস্তিত্বকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে, দিয়েছে এবং বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতিকেও আজ বিপর্যয়কর অবস্থার মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে। পরিশেষে বলা যায়-ক্ষমতা মানুষকে কলুসিত করে বেশী ক্ষমতা মানুষকে বেশী কলুষিত করে। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে আমার বলতে দ্বিধা নেই, সারা বিশ্বে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি অধিক দূর্বল রাষ্ট্র সমূহের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারী করে তাদের কাছে নত হওয়ার মত কুট কৌশল গ্রহণ করছে। সামপ্রতিকালে ইরাকের সাধারণ মানুষ এবং বন্দীদের উপর যে সীমাহীন অত্যাচার চলছে। তা সত্যি বিব্রতকর।
মৌলিক মানবাধিকার সমস্যাটি অতিপ্রাচীন। মানব সভ্যতার ইতিহাসে যেমন মৌলিক মানবাধিকারের স্বকৃতি ও প্রতিষ্ঠার দৃষ্টাšত রয়েছে, তেমনি ভাবে মানবাধিকার দমনের ইতিহাসও কম নয়। বর্তমান শতাব্দীতে জাতিসংঘের এর উপস্থিতি এবং ওআইসি ঘোষনা সত্তে¡ও মানবাধিকার সমস্যা প্রকট হিসেবে বিশ্ববাসির কাছে প্রতিভাত হচেছ। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমান বিশ্বে ৬০০ কোটি অধ্যুষিত জনগোষ্ঠীর অধের্কের বেশী মৌলিক মানবাধিকার সংক্রান্তত শিকার। ক্ষুদা, দারিদ্রতা, অপুস্টি, বেকারত্ব, নাগরিকের অধিকার লংঘন, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সীমাহীন সমস্যার পাহাড় রীতিমত উদ্বেগের কারণ। সুতরাং সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস্ মুভমেন্ট –এর শপথ হোক, যেখানে মানবাধিকার লংঘন, সেখানে আমরা।
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র
এবং বাংলাদেশের সংবিধান
————–মাস্টার শোয়েব আলী
সাবেক প্রধান পরীক্ষক, যশোর শিক্ষা বোর্ড
উপদেষ্টা সদস্য, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট, ঢাকা।
ভুমিকা ঃ বিশ্ব ইতিহাসে সর্ব প্রথম মানবাধির সংরক্ষণ সম্বলিত লিখিত সনদ বলতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কর্তৃক প্রণিত মদীনা সনদকে আর্দশ হিসেবে উপস্থাপনা করা যায়। অতঃপর সতের এবং আঠারো শতকে মানবাধিকারের দাবী উচ্চারিত হয় ফ্রান্সের লেখক বোঁদিন এবং ইংল্যান্ডের দার্শনিক জনলক এবং ফ্রান্সের দার্শনিক রুশোর লেখায়। ১২১৫ সালে বৃটেনের ম্যাগনা কার্টা, ১৬৮৯ সালে অধিকার বিল, ১৭৭৬ সালে ভার্জিনিয়া অধিকার বিল মানবাধিকারের ক্ষেত্রে মাইল ফলক। তাছাড়া ফরাসী বিপ্লবের ঘোষনা ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে এক নবদিগন্ত। এ সব ঘোষনা প্রতি দেশে সরকারের অভ্যন্তরীন বিষয় হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় সীমাহীন নৃশংসতা বিশেষ করে ফ্যাসীবাদী ইতালী সরকার এবং নাৎসী জার্মান সরকার কর্তৃক মানবতার বিরুদ্ধে অপরীসীম নির্মমতার পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধোত্তর বিশ্বে গণতান্ত্রিক সরকার সমূহের নেতৃবৃন্দের সদিচ্ছায় সার্বজনীন মানবাধিকারের সনদ রচিত হয়। বিদ্বতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্টিত হলে মানবাধিকার সুনিদিষ্ট করার জন্য প্রথমে ৩ সদস্যের এবং পরে ৮(আট) সদস্যের একটি কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশনের সভানেত্রী ছিলেন সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট স্ত্রী মিসেস এলিনর রুজভেল্ট। যা ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়, যার পূর্ণ বিবরণ পরের পৃষ্ঠাগুলোতে দেয়া হলো। এই ঐতিহাসিক কর্ম-সম্পাদনের পর সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ঘোষণাপত্রের পূর্ণ-অধ্যায় প্রচারের আহŸান জানায় এবং “রাষ্ট্র ও অঞ্চলসমূহের রাজনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে ঘোষণাপত্রের বিতরণ, প্রদর্শন, পঠন ও ব্যাখ্যাদানে স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে বলে। সকল মানুষই অবিচেছদ্য মৌলিক অধিকারগুলোর সমান অধিকারগুলোর সমান অধিকারী হয়ে জন্ম গ্রহণ করে। প্রত্যেক ব্যক্তির মানবাধিকার সমর্থন, মানবাধিকারের বিকাশ সাধন ও সংরক্ষণের জন্য জাতিসংঘ অঙ্গীকারবদ্ধ। জাতিসংঘ সনদের এই অঙ্গীকারের ফলে মানুষের মৌলিক অধিকার, মানুষের মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি বিশ্ববাসীর বিশ্বাস পুনরায় প্রকাশ পাচেছ। মানবাকিারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে জাতিসংঘ সু®পষ্ট ও সহজ ভাষায় সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য অধিকারগুলো ব্যক্ত করেছে। এ সব অধিকার আপনারাই স¤পদ। এ সব আপনারই অধিকার। এগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হোন। নিজের জন্য এবং মানুষ হিসেবে অন্য মানুষের জন্য এই অধিকারগুলো রক্ষা করতে সাহায্য করুন। এই মানবাধিকার ঘোষনা পত্রে একটি ভূমিকা বা মুখবন্ধ এবং ৩০ টি অনুচ্ছেদ সম্বলিত।
মুখবন্ধ ঃ বিশ্বে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও শাšিতর ভিত্তি হচেছ সকল মানুষের সহজাত মর্যাদা ও সকল অবিচেছদ্য অধিকারগুলোর স্বীকৃতি। মানবিক অধিকারগুলোর প্রতি অবজ্ঞা ও ঘৃণা এমন সর্ব বর্বরোচিত কার্যকলাপে পরিণতি লাভ করছে যে মানবজাতির বিবেকের পক্ষে তা অপমানজনক। এখন সাধারণ মানুষের আশা-আকাক্সঙখার প্রতীক হিসেবে এমন একটি পৃথিবীর সূচনা ঘোষিত হয়েছে যেখানে মানুষ বাক স্বাধীনতা ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা ভোগ করবে এবং ভয় ও অভাব থেকে নি®কৃতি পাবে। অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চূড়াšত পদক্ষেপ হিসেবেই মানুষ বিদ্রোহী হতে বাধ্য হয়। এমন পরিস্থিতির উদ্ভব না হলে অবশ্যই আইনের শাসনের দ্বারা মানবিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করা উচিত। বিশ্বের সকল জাতির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ স¤পর্ক উন্নয়নের সহায়তা করা দরকার। জাতিসংঘ সনদের মাধ্যমে জাতিসংঘভুক্ত জনগণ মৌলিক মানবিক অধিকার, মানুষের মর্যাদাও মূল্য এবং নারী ও পুরুষের সম-অধিকারের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেছে। এই সনদ সামাজিক অগ্রগতি ও ব্যাপকতর স্বাধীনতার ভিত্তিতে উন্নততর জীবন-যাত্রার মান প্রতিষ্ঠার জন্যও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সদস্য-রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের সহযোগিতায় মানবিক অধিকার ও মৌলিক স্বাধিকারগুলোর প্রতি সকলের শ্রদ্ধা ও বশ্যতা বৃদ্ধি করবার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই অঙ্গীকারাগুলো স¤পূর্ণরুপে বা¯তবায়নের জন্য উপরোক্ত সকল অধিকার ও স্বাধিকারের ব্যাপারে জনসাধারণের মধ্যে একটি সমঝোতা গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিপ্রেক্ষিতে, তাই সকল জাতি ও জনগোষ্ঠির অগ্রগতির একটি সাধারণ মানদন্ড হিসেবে সাধারণ পরিষদ এই মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র জারি করেছে। ঐ লক্ষ্যে প্রত্যেক ব্যক্তি এবং সমাজের সকল সংগঠন মানবাধিকারের এই সর্বজনীন ঘোষণাপত্র সর্বদা স্মরণ রেখে শিক্ষাদান ও জ্ঞান প্রসারের মাধ্যমে এ সকল অধিকারের প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা জাগাতে সচেষ্ট হবে। জাতীয় ও আšতর্জাতিক পর্যায়ে নানাবিধ প্রগতিশীল ব্যবস্থা গ্রহণ করে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জনগণ ও তাদের অধীনস্থ অঞ্চলসমূহের অধিবাসীদের মধ্যে ঐ সর্বজনীন অধিকারগুলোর কার্যকর স্বীকৃতি অর্জনের জন্য ও জোর চেষ্টা চালাতে হবে।
ধারা-১ ঃ সকল মানুষই (শৃঙ্খলাহীন) স্বাধীন অবস্থায় এবং সম-মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। তারা সকলেই বুদ্ধি ও বিবেকের অধিকারী। অতএব তাদের একে অন্যের প্রতি ভ্রাতৃসূলভ আচরণ করা উচিত।
ধারা-২ ঃ যে কোন প্রকার পার্থক্য, যেমনঃ জাতি, গোত্র, বর্ণ, নারী-পুরুষ, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক বা অন্য মতবাদ, জাতীয় বা সামাজিক উৎপত্তি, স¤পত্তি, জন্ম বা অন্য মর্যাদা নির্বিশেষে সকলেই ঘোষণাপত্রে উলিখিত সকল অধিকারের অংশীদার। অধিকন্তু, কোন ব্যক্তি যে দেশ বা অঞ্চলের অধিবাসী, তা স্বাধীন, অছিভুক্ত এলাকা, স্বায়ত্বশাসিত অথবা অন্য যে কোন প্রকারে সীমিত সার্বভৌমত্বের মধ্যে থাকুক না কেন, সর্বজনীন মানবাধিকারের সুফল লাভে সে ব্যক্তি ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য করা চলবে না; তারা রাজনৈতিক, সীমানাগত বা আšতর্জাতিক মর্যাদা যা-ই থাকুক না কেন।
ধারা-৩ ঃ প্রত্যেকেরই জীবন-ধারণ, স্বাধীনতা ও ব্যক্তগত নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে।
ধারা-৪ ঃ কাউকে দাস হিসেবে কিংবা দাসত্বের বন্ধনে রাখা চলবে না। সকল প্রকার দাস-প্রথা ও দাস-ব্যবস্থা নিষিদ্ধ থাকবে।
ধারা-৫ ঃ কারো প্রতি নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা অবমাননাকর আচরণ করা কিংবা কাউকে নির্যাতন করা বা শাস্তিভোগ করতে বাধ্য করা চলবে না।
ধারা-৬ ঃ আইনের কাছে প্রত্যেকেরই সর্বত্র মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের অধিকার রয়েছে।
ধারা-৭ ঃ আইনের কাছে সকলেই সমান এবং কোনোরকম বৈষম্য ছাড়া সকলেরই আইনের আশ্রয়ে সমানভাবে রক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই ঘোষণাপত্র লংঘনকারী কোনোরকম বৈষম্য বা বৈষম্যের উস্কানির বিরুদ্ধে রক্ষা পাওয়ার সম-অধিকার সকলেরই আছে।
ধারা-৮ ঃ যে সব কাজের ফলে শাসনতন্ত্র বা আইন কর্তৃক প্রদত্ত মৌলিক অধিকারগুলো লঙ্ঘন করা হয় তার জন্য উপযুক্ত জাতীয় বিচার লাভ বা আদালতের মারফত কার্যকর প্রতিকার লাভের অধিকার প্রত্যেকেরই আছে।
ধারা-৯ ঃ কাউকে খেয়াল-খুশীমত গ্রেফতার বা আটক করা অথবা নির্বাসন দেয়া যাবে না।
ধারা-১০ ঃ প্রত্যেকেরই তার নিজের বিরুদ্ধে আনা যেকোন ফৌজদারী অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য সমান অধিকার নিয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার-আদালতে ন্যায্যভাবে ও প্রকাশ্যে শুনানী লাভের অধিকার রয়েছে। এভাবে প্রত্যেকেই তার অধিকার ও দায়িত্বগুলো ও প্রয়োজনে একটি স্বাধিন, নিরপেক্ষ আদালতের মাধ্যমে যাচাই করে নিতে পারে।
ধারা-১১ ঃ ক. কেউ কোন দন্ডযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হলে সে এমন কোন গণ-আদালতের আশ্রয় নিতে পারে যেখানে সে আত্মপক্ষ সমর্থনের নিশ্চয়তা পাবে। এই গণ-আদালত যতক্ষণ তাকে আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত না করে ততক্ষণ পর্যন্ত তার নির্দোষ বলে বিবেচিত হবার অধিকার রয়েছে।
খ. কাউকেই কোন কাজ বা ত্র“টির জন্য দোষী সাব্যস্ত করা চলবে না, যদি সেই কাজটি করবার সময় তা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দন্ডযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য না হয়ে থাকে। আবার দন্ডযোগ্য অপরাধ করবার সময় আইন অনুযায়ী যতটুকু শাস্তি দেয়া যেত তার চেয়ে অধিক শাস্তি প্রয়োগ করা চলবে না।
ধারা-১২ ঃ কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, পরিবার, বসতবাড়ি বা চিঠিপত্রের ব্যাপারে খেয়াল-খুশীমত হস্তক্ষেপ করা চলবে না। কারো সম্মান ও সুনামের উপরও ইচ্ছামত আক্রমন করা চলবে না।
ধারা-১৩ ঃ ক. প্রত্যেক রাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে চলাচল করা ও বসতি স্থাপন করার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে।
খ. প্রত্যেকেরই নিজের দেশ বা যেকোন দেশ ছেড়ে যাবার এবং স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করার অধিকার রয়েছে।
ধারা-১৪ ঃ ক. নির্যাতন এড়ানোর জন্য প্রত্যেকেরই অপর দেশসমূহে আশ্রয় প্রার্থনা করবার এবং আশ্রয় লাভ করবার রয়েছে।
খ. অরাজনৈতিক অপরাধের ক্ষেত্রে এই আশ্রয় লাভের অধিকার নাও পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া জাতিসংঘের উদ্দেশ্য ও মূলনীতি-বিরোধী কার্যকলাপের ফলে উদ্ভূত নির্যাতনের ক্ষেত্রে এ অধিকার না পাওয়া যেতে পারে।
ধারা-১৫ ঃ ক. প্রত্যেকেরই একটি জাতীয়তার অধিকার আছে।
খ. কাউকেই যথেচ্ছভাবে তার জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আবার কেউ তার জাতীয়তা পরিবর্তন করতে চাইলে তার সেই অধিকার অঙ্গীকার করা চলবে না।
ধারা-১৬ ঃ ক. পূর্ণ-বয়স্ক নারী ও পুরুষের জাতিগত বাধা, জাতীয়তার বাধা অথবা ধর্মের বাধা ছাড়া বিবাহ করার ও পরিবার গঠন করার অধিকার রয়েছে। বিবাহের ব্যাপারে, বিবাহিত অবস্থায় এবং বিবাহ-বিচ্ছেদকালে নারী ও পুরুষের সম-অধিকার রয়েছে।
খ. কেবলমাত্র বিবাহ-ইচ্ছুক পাত্র-পাত্রী পরস্পরের পূর্ণ সম্মতিক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।
গ. পরিবার হচ্ছে সমাজের স্বাভাবিক ও মৌলিক একক গোষ্ঠি। অতএব সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক সংরক্ষিত হবার অধিকার রয়েছে পরিবারের।
ধারা-১৭ ঃ ক. প্রত্যেকেরই একা এবং অপরের সহযোগিতায় সম্পত্তির মালিক হওয়ার অধিকার রয়েছে।
খ. কাউকেই তার সম্পত্তি থেকে খেয়াল-খুশীমত বঞ্চিত করা চলবে না।
ধারা-১৮ ঃ প্রত্যেকেরই চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। নিজধর্ম অথবা বিশ্বাস পরিবর্তনের স্বাধীনতাও রয়েছে প্রত্যেকের। একা অথবা অপরের সহযোগিতায়, প্রকাশ্যে বা গোপনে নিজ ধর্ম বা বিশ্বাস শিক্ষাদান ও প্রচার করার স্বাধীনতাও এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজ বিশ্বাস ও ধর্ম, উপাসনা ও পালনের মাধ্যমে প্রকাশ করার অধিকার।
ধারা-১৯ ঃ প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ করা ও প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। বিনা হস্তক্ষেপে মতামত পোষণ করা এবং যে কোন উপায়ে রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে তথ্য ও মতামত সন্ধান করা, গ্রহণ করা ও জানাবার স্বাধীনতা এই অধিকারের অন্তর্ভূক্ত।
ধারা-২০ ঃ ক. প্রত্যেকেরই শান্তিপূর্ণভাবে সম্মিলিত হবার অধিকার আছে।
খ. কাউকেই কোন সংঘভুক্ত হতে বাধ্য করা যাবে না।
ধারা-২১ ঃ ক. প্রত্যক্ষভাবে অথবা অবাধে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজ দেশের সরকারে অংশগ্রহণের অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে।
খ. প্রত্যেকেরই নিজ দেশের সরকারী চাকুরীতে সমান সুযোগ লাভের অধিকার রয়েছে।
গ. জনগণের ইচ্ছাই হবে সরকারের ক্ষমতার ভিত্তি। এই ইচ্ছা সর্বজনীন ও সমান ভোটাধিকারের ভিত্তিতে এবং প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যক্ত হবে। গোপন ব্যালট অথবা এধরনের অবাধ ভোটদান পদ্ধতিতে এরূপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ধারা-২২ ঃ সমাজের সদস্য হিসেবে প্রত্যেকেরই সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার আছে। নিজ রাষ্ট্রের সংগঠন ও সম্পদ অনুযায়ী প্রত্যেকেই তার মর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারগুলো আদায় করতে পারবে। এ জন্য জাতীয় প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা লাভেরও অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের।
ধারা-২৩ ঃ ক. প্রত্যেকেরই কাজ করার ও অবাধে চাকুরী নির্বাচনের অধিকার রয়েছে। কাজের জন্য ন্যায্য ও অনুকূল অবস্থা লাভ করবার এবং বেকারত্ব থেকে রক্ষা পাবার অধিকারও আছে প্রত্যেকের।
খ. প্রত্যেকেরই কোনো বৈষম্য ছাড়া সমান কাজের জন্য সমান সমান বেতন পাওয়ার অধিকার আছে।
গ. প্রত্যেক কর্মী তার নিজের ও পরিবারের মানবিক মর্যাদা রক্ষা করবার মত ন্যায্য ও অনুক‚ল পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকারী। প্রয়োজনবোধে সেই সঙ্গে সামাজিক মান রক্ষার উপযোগী ব্যবস্থা লাভের অধিকার আছে তার।
ঘ. প্রত্যেক কর্মী তার নিজের ও পরিবারের মানবিক মর্যাদা রক্ষা করবার মত ন্যায্য ও অনুক‚ল পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকারী। প্রয়োজনবোধে সেই সঙ্গে সামাজিক মান রক্ষার উপযোগী ব্যবস্থা লাভেরও অধিকার আছে তার।
ঙ. প্রত্যেকেরই নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন ও এতে যোগদানের অধিকার রয়েছে।
ধারা-২৪ ঃ প্রত্যেকেরই বিশ্রাম ও অবসর বিনোদনের অধিকার আছে। কার্য-সময়ের যুক্তিসঙ্গত সীমা ও বেতনসহ নৈমিত্তিক ছুটি এ অধিকারের অন্তর্ভূক্ত।
ধারা-২৫ ঃ ক. নিজের ও নিজ পরিবারের স্বাস্থ্য কল্যাণের জন্য উপযুক্ত জীবন যাত্রার মানের অধিকার প্রত্যেকেরই আছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সামাজিক সেবামূলক কাজের সুবিধা লাভের অধিকারও এই সঙ্গেই প্রত্যেকের প্রাপ্য। বেকারত্ব, পীড়া, অক্ষমতা, বৈধব্য, বার্ধক্য অথবা অনিবার্য কারণে জীবন-যাপনে অন্যান্য অপারগতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা লাভ এই অধিকারের অন্তর্ভূক্ত।
খ. মাতৃত্ব ও শৈশব অবস্থায় প্রত্যেকে বিশেষ যতœ ও সহায়তা লাভের অধিকারী। সকল শিশুই অভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা ভোগ করবে; শিশুর জন্ম বৈবাহিক বন্ধনের ফলেই হোক বা বৈবাহিক বন্ধন ছাড়াই হোক না কেন।
ধারা-২৬ ঃ ক. প্রত্যেকেরই শিক্ষালাভের অধিকার রয়েছে। অন্ততঃপক্ষে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষা অবৈতনিক হবে। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হবে। কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা যাতে সর্বসাধারণ লাভ করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চতর শিক্ষা মেধার ভিত্তিতে সকলের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত থাকবে।
খ. প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশের উদ্দেশ্যে শিক্ষা পরিচালিত হবে। মানবিক অধিকার ও মৌলিক অধিকারগুলোর প্রতি যাতে শিক্ষার্থীদের প্রদ্ধাবোধ দৃঢ় হয় সেদিকে জোর দেওয়াও শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য। শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমঝোতা ও সহিষ্ণুতায় আস্থাশীল করে তুলতে হবে। এই শিক্ষা সকল জাতি, বর্ণ ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর বন্ধুত্ব উন্নয়নে এবং শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
গ. পিতা-মাতারা তাদের সন্তানদের কোন ধরনের শিক্ষা দিতে চান, তা আগে থেকে বেছে নেওয়ার অধিকার সকল পিতা-মাতার রয়েছে।
ধারা-২৭ ঃ ক. প্রত্যেকেরই গোষ্ঠীগত সাংস্কৃতিক জীবনে অবাধে অংশগ্রহণ করা ও শিল্পকলা চর্চা করার অধিকার রয়েছে। বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ও তার সুফলগুলোর অংশীদার হওয়ার অধিকারও রয়েছে।
খ. বিজ্ঞান, সাহিত্য অথবা শিল্পকলা-ভিত্তিক সৃজনশীল কাজের থেকে যে নৈতিক ও বৈষবিক স্বার্থের উদ্ভব হতে পারে তা রক্ষা করার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের।
ধারা-২৮ ঃ প্রত্যেকেই এমন একটি সামাজিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অধিকারী যেখানে এই ঘোষণাপত্রে উলিখিত সকল অধিকার ও স্বাধীনতা পূর্ণভাবে আদায় করা যেতে পরে।
ধারা-২৯ ঃ ক. সমাজের প্রতি প্রত্যেকেরই কর্তব্য রয়েছে। এই কর্তব্যগুলোর পালনের মাধ্যমেই একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের অবাধ ও পূর্ণ বিকাশ সম্ভব।
খ. নিজের অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করবার সময় একথা প্রত্যেকেরই মনে রাখতে হবে যে, তাতে যেন অপরের অধিকারও স্বাধীনতার প্রতি কোনোরূপ অস্বীকৃতি বা অশ্রদ্ধা প্রকাশ না পায়। অধিকিন্তু, একটা গণতান্ত্রিক সমাজে নৈতিকতা, গণশৃঙ্খলা ও সর্বসাধারণের কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে এবং আইন মান্য করেই প্রত্যেকে তার অধিকার ও স্বাধীনতার প্রয়োগ করতে পারবে।
গ. এই সকল অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করার সময় কোন রকমেই জাতিসংঘের উদ্দেশ্য ও মূলনীতি লঙ্ঘন করা চলবে না।
ধারা-৩০ ঃ এই ঘোষণার উলিখিত কোন বিষয়ের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া চলবে না। এই ঘোষণার অন্তর্ভূক্ত কোন অধিকার বা স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে কোন রাষ্ট্র, দল বা ব্যক্তি বিশেষের আত্মনিয়োগের অধিকার আছে-এ রকম ধারণা করবার মত কোন ব্যাখা দেওয়া চলবে না।
বাংলাদেশ সংবিধান
বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত সংবিধান। ১৯৭২ সালের ১২ইং অক্টোবর গণ-পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং সংবিধানের খসড়া আলোচনার জন্য গৃহীত হয়। বহুসংখ্যার সংশোধনী সহযোগে প্রণীত খসড়া গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর। বিরোধী দলের একমাত্র সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর একটি সংশোধনী প্রস্তাব গণ-পরিষদ গ্রহণ করে। গণপরিষদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৪০৪ জন।
১৯৭২ সালের ১০ইং জুনের মধ্যে কমিটিকে তার রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। সংবিধান প্রণয়ন কমিটি মোট ৭১টি বৈঠকে প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ন করে। বিভিন্ন সংগঠন ও আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে যে ৯৮টি সুপারিশ লাভ করে কমিটি তাও বিবেচনা করে খসড়া তৈরি হলে একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞের সুপারিশ সহকারে তা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়। ১৯৭২ সালের ১২ই অক্টোবর এ খসড়া বিল আকারে গণপরিষদে উপস্থাপিত হয়। ১৯শে অক্টোবর থেকে ৩০শে অক্টোবর পর্যন্ত বিলটির প্রথমপাঠ ৩১শে অক্টোবর থেকে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় পাঠ এবং ৪ঠা নভেম্বর তৃতীয় পাঠ সমাপ্ত হয়। সর্বোমোট ৬৫টি সংশোধনী সহযোগে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। ১৯৭২ সালের ১৫ ডিসেম্বর সংবিধানের হস্তলিপি সংস্করণে গণপরিষদের সদস্য গণের স্বাক্ষর গৃহীত হয়। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে সংবিধান কার্যকর হয়।
১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর বাংলাদেশের ইতহাসে এক গৌরবময় দিন। এদিনে সর্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বৃহত্তম দলিল সংবিধান যা গণপরিষদে গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত হয় এ সংবিধান বাংলাদেশে কার্যকর হবে। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের এদিনে বাংলাদেশ শত্র“মুক্ত হয়ে সগৌরবে আপন পথ পরিক্রমা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ উপলক্ষে ঘোষনা করেন-এই সংবিধান লিখিত হয়েছে লাখো শহীদের রক্তের অক্ষরে।
বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকার
বাংলাদেশ সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে সংবিধানের ২৬ থেকে ৪৫ অনুচ্ছেদে। ২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয় মৌলিক অধিকারের সাথে সামঞ্জস্যহীন সকল প্রচলিত আইন বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়া জাতীয় সংসদ মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী কোন আইন প্রণয়ন করবেন না। করলে তা মৌলিক অধিকারের মধ্যে রয়েছে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, সরকারের নিয়োগ লাভে সমতা, জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার। চলাফেরার স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পত্তির অধিকার। তাছাড়াও রয়েছে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার। গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষা কবচ, গৃহ ও যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার বলবৎ করার অধিকার। এদিক থেকে বলা যায়, বাংলাদেশ সংবিধানে মানবাধিকার সংরক্ষনের ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে শাসন ক্ষমতায়। আইন প্রণয়ন করেন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সংসদ। তাছাড়া বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন এবং সর্বোচ্চ বিচারালয়ের রয়েছে গৌরবময় এক ঐতিহ্য। কিন্তু তার পরেও বলা যায়, এদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন প্রাণবন্ত নয়। মোট জনসমষ্টির প্রায় অর্ধেকই বসবাস করে দারিদ্র সীমার নিচে। জনসমষ্টির এক বিরাট অংশ মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য। তাছাড়া দেশে প্রবর্তিত রয়েছে ১৯৭৪ সালের জন নিরাপত্তা আইন। এ আইনে যে কাউকে কোন কারণ না দর্শিয়ে গ্রেফতার করা যায়। সামাজিক ক্ষেত্রেও রয়েছে বহুবিধ বৈষম্য। ফলে মানবাধিকার অনেক ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়। কিন্তু তার পরেও কথা থাকে। মানবাধিকার সংরক্ষণ এক দীর্ঘ সামাজিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থা তেমন হতাশাব্যজ্ঞক নয়।
একটি মানবিক ঘটনার
অমানবিক পরিণতি
-নূরুজ্জামান সান্টু
প্রধান সমন্বয়কারী
সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট মুভমেন্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।
যেখানে মানবাধিকার লংঘন, সেখানেই আমরা। এই লক্ষে অত্র সংস্থার সুত্রপাত। সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট একটি প্রগতিশীল মানবাধিকার সংস্থা। সংস্থার অলংকার হচ্ছে-সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষগুলো। সংস্থার সার্বিক কল্যাণের জন্য সংস্থার সদস্যগণ কাজ করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে এই অলংকার, সংস্থার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। তেমন একটি দুঃজনক ঘটনার বর্ণনা করছি মাত্র।
বিগত ০৫-০৪-২০০৭ইং তারিখে শাবানা রউফ, স্বামী-মোঃ আব্দুর রউফ, সাং-বাড়ী নং-২৮৩, রোড নং-৪, মোহাম্মদী হাউজিং সোসাইটি, আদাবর, ঢাকা-১২০৭, আমাদের মানবাধিকার সংস্থা, “সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট” এর অফিসে এসে তার আত্মীয় (বিয়াইন) শামিমুন লিপি নাহারের সহযোগিতায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার স্বামী নারী নির্যাতন করেন এবং এর প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে শাবানা রউফ তার স্বামী মোঃ আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে শামিমুন লিপি নাহারের মাধ্যমে একটি মামলা আদাবর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং-২(৪) ২০০৭ দায়ের করেন। অতঃপর আমাদের সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে শামিমুন লিপি নাহার-কে উক্ত মামলার প্রাথমিক দেখাশুনার দায়িত্ব দেয়। কিন্তু, এ মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে শামিমুন লিপি নাহারের অদূরদর্শিতা, ব্যক্তি প্রতিহিংসা ও অসাধুতার কারণে তাকে এই মামলার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিয়ত সংস্থাকে যথানিয়মে জানাতে বলা হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত স্বার্থ ও প্রতিহিংসার মনোভাব বেশী থাকায় সংস্থার নিয়ম বর্হিভুত ভাবে সে নিজের মতো করে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই এক পর্যায়ে বিগত ১৫-০৫-২০০৭ইং তারিখে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তার অংশীদারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এস.এল.এন.মিডিয়ার ব্যানারে, যেখানে শাবানা রউফকে শো করা হয়। তারপর থেকে সংস্থা তাকে নজরদারিত্বে রাখে এবং তাকে যে কোন কাজে “সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট” কে ব্যবহার না করার জন্য মৌখিকভাবে সর্তক করে দেয়া হয়। ইতোমধ্যে শাবানা রউফ এবং তার স্বামী আব্দুর রউফ সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে উভয়ের সমঝোতার ভিত্তিতে ভূল বুঝাবুঝির অবসান ঘটান। বিগত ১৩-১১-২০০৭ইং তারিখে এ সম্পর্কিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক একটি চিঠিও আমাদের সংস্থা বরাবরে উভয়ে (স্বামী-স্ত্রী) স্বশরীরে এসে প্রদান করেন। উক্ত বিষয়টি শামিমুন লিপি নাহারকে জানানো হয়, সেখানে বলা হয়, এ ঘটনার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা এবং “সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট” এর সকল কার্যক্রম প্রত্যাহারের জন্য। কিন্তু তিনি সংস্থার নিয়ম কানুনকে উপেক্ষা করে এবং সংস্থার কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে, কাউকে তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ নিজের ব্যক্তিগত উদ্দোগে বিগত ১৬-০২-২০০৮ইং তারিখে “সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট” নাম ব্যবহার করে ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটিতে আরো একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন, যেখানে সংস্থার কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেননা। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে শামিমুন লিপি নাহারের উপস্থাপিত বক্তব্য সর্বৈবভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনা প্রসূত।
উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনের নিউজ দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় দেখে সংস্থার সকলে হতবাক হন। এ সময়ে সংস্থার পক্ষ থেকে ঐ দৈনিকে মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করা হয় যার প্রেক্ষিতে উক্ত পত্রিকায় ২০-০২-২০০৮ইং তারিখে “ঘটনাটি কি?” বিষয়ে একটি প্রতিবাদ ছাপা হয়। যেখানে আসল ঘটনাটি প্রকাশিত হয় এবং শামিমুন লিপি নাহারের মুখোশ উম্মোাচিত হয়। আমরা এ মামলায় শামিমুন লিপি নাহারের সমস্ত কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখতে পাই যে, “এ মামলায় শাবানা রউফের লেখা দরখাস্তে” “চষবধংব মবঃ ঃযরং পষরবহঃ’ং সবফরপধষ ৎবঢ়ড়ৎঃ অ.ঝ.অ.চ. ড়হ যবৎ ড়িঁহফং ধহফ ঃধশব ধষষ রহভড়ৎসধঃরড়হ ঃড় ঃযব ঢ়ড়ষরপব ংঃধঃরড়হ রসসবফরধঃবষু” যা শামিমুন লিপি নাহার স্বহস্তে লিখে আমাদের সংস্থার প্রধান আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট শেখ সিদ্দীক আহম্মেদ-এর জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করেছেন।
এহেন সংস্থার গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজের জন্য তাকে জানিয়ে দেয়া হয় এবং সাবধান করে দেয়া হয়। তাতে সে আরো বেশী উশৃংখল হয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান, মহাসচিব এবং প্রধান সমন্বয়কারী, আইনজীবীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে রমনা থানায় একটি জিডি করে। যার নং-১৪০৪, তারিখ ঃ ১৯-০২-২০০৮ইং। এছাড়াও শামিমুন লিপি নাহার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য শাবানা রউফ ও তার স্বামী আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা মামলা ও জিডি একের পর এক করতে থাকে। যা সংস্থা মোটেও অবগত নহে। এ ব্যাপারে ২০-০২-২০০৮ইং তারিখের শাবানা রউফের একটি লিখিত পত্রে শামিমুন লিপি নাহারের চাঁদাবাজীর কথা উঠে আসে। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় এনে গত ২৯-০২-২০০৮ইং তারিখের কার্যকরী পরিষদের নিয়মিত সভায় তাকে সংস্থা থেকে কেন বাদ দেয়া হবেনা-মর্মে শোকজ করা হয়। ইতোপূর্বে ০৭-০৪-২০০৭ইং তারিখে সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে শামিমুন লিপি নাহারের মৌখিক প্রতিশ্র“তির ভিত্তিতে তাকে সংস্থার এস ভিপি পদবী দেয়া হলেও তাকে সংস্থার সাধারণ পরিষদের না রাখার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
উলেখ্য যে, ইতোপূর্বে হলিফ্যামিলির মতো একটি স্বনামধন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে গিয়েও এই শামিমুন লিপি নাহার ৬ (ছয় কোটি) টাকা দাবি করে উকিল নোটিশ পাঠান। তাকে তখন হলিফ্যামিলি থেকে রিলিজ দেয়ার পরও অসৎ উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক হাসপাতালে অবস্থান করেন এবং গান বাজনা করার এসব ঘটনা তখন ৩১ মে ২০০৬ইং সালের দৈনিক জনকণ্ঠে ছাপা হয়। সুতরাং যারা সংস্থার পরিপন্থি কাজ করে এবং সংস্থাকে পুঁজি করে ব্যক্তি লাভটাকেই প্রধান্য দেন এবং সংস্থার ক্ষতি সাধন করে এসব সদস্যকে কখনো সংস্থায় রাখা উচিৎ নয়-বলে সংস্থার নীতি র্নিধারকগণ মনে করেন। তাই শামিমুন লিপি নাহারকেও এসব বিভিন্ন কারণে “সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্ট” থেকে বাদ দেয়া হয়। বর্তমানে কেউ যদি তার সাথে মানবধিকার সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জড়িত থাকেন এটার জন্য সংস্থা দায়ি থাকবে না-এই মর্মে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়।
অতএব, যেখানে “সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট” তার নিজস্ব আদর্শ নিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রতিনিয়ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে ক্ষীণ ও ব্যক্তি স্বার্থে আমাদের সংস্থার চেয়ারম্যান, মহাসচিব আইনকর্মকর্তা ও প্রধান সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে সমাজ সেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বিভিন্ন অভিযোগ এই শামিমুন লিপি নাহার এর বাড়াবাড়ি, দূরভিসন্ধি এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করেন। আগামীতে এ ধরণের যাতে কোন দুঃখজনক ঘটনার অবতারণা না ঘটে, সে লক্ষ্যে বর্তমানে সংস্থা দেখে শুনে বুঝে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তরিৎকর্মা-সৎ ব্যক্তিদের সংস্থায় নিয়োগ দিয়ে সংস্থার ভাবমূর্তি অধিকতর উজ্জ্বল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
Add Comment