ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। টাইগারদের সাফল্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশের ফিল্ডিং বিভাগ। নজরকাড়া ফিল্ডিংয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের কোনো টি-টোয়েন্টিতেই ইংলিশ ব্যাটারদের সুবিধা করতে দেয়নি শান্ত-মিরাজরা। টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মতে, ফিল্ডিংয়ে সম্ভবত এশিয়ার সেরা দল বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে মোট ১৩ বার ক্যাচ তুলেছে ইংল্যান্ড। যাতে ৮ বারই সফলতা পায় বাংলাদেশ। পাঁচটি ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। তার মধ্যে মাত্র একটি ছিল সহজ ক্যাচ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জস বাটলারের শূন্যে ভাসানো বলটি তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বাকি চারটি ছিল ভীষণ কঠিন।
ক্যাচের হিসাবের বাইরে মাঠের ফিল্ডিংয়েও অসাধারণ ছিল বাংলাদেশ। নিয়মিত ভালো ফিল্ডিং করেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মোস্তাফিজুর রহমান এবং হাসান মাহমুদরা। শেষ ম্যাচে অভিষেক হওয়া তানভীর ইসলামও ফিল্ডিংয়ে বেশ আলো ছড়ান। ফিল্ডারদের নৈপুণ্যে অনেক রান বেঁচেছে বলে মনে করেন অধিনায়ক সাকিব। ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, ‘তিনটা ম্যাচেই আমার মনে হয়, অসাধারণ ফিল্ডিং করেছি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যেখানে ২-৪-১০-১৫-২০ রান পার্থক্য গড়ে দেয়, ওই জায়গাতে আমরা এবার অনেক বড় একটা টিক মার্ক দিয়েছি।’
সাকিব বলেন, ‘এটা (ফিল্ডিং) সবার চোখেই পড়েছে। তিন ম্যাচেই যে ধরনের ফিল্ডিং আমরা করেছি…। ইংল্যান্ড এত ভালো ফিল্ডিং দল। আমার মনে হয়, তাদের থেকে ভালো ফিল্ডিং আমরা করেছি। সেই জায়গা থেকে অনেক বড় একটা টিক মার্ক।’
সিরিজ শুরুর আগের দিন বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে এশিয়ার সেরা অবস্থানে দেখতে চান তিনি। আর সিরিজ শেষে সাকিবের ধারণা, এখন হয়তো তার দল ফিল্ডিংয়ে এশিয়ায় সেরা অবস্থানে পৌঁছে গেছে। সাকিব বলেন, ‘আমি যদি সবকিছু বিবেচনায় নেই, আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নতি হয়েছে ফিল্ডিংয়ে। যেটা আমাদের সবসময়ই করা উচিত। আমাদের দলের অন্তত পরিকল্পনা আছে, আমরা যেন ফিল্ডিংয়ে এশিয়ার সেরা দল হতে পারি। আমার মনে হয় না, আমরা খুব বেশি দূরে আছি। এই দলটা সম্ভবত এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল।’
Add Comment