কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় শেষ বাঁশি বাজে, প্রথম আলো অফিসের ব্যস্ত বার্তাকক্ষ তালি দিয়ে ওঠে, কলসিন্দুর গ্রাম থেকে আসা ফোনের মধ্যেই শুনতে পাই আনন্দচিৎকার, ওখানকার স্কুলের কোচ জুয়েল মিয়ার গলা ধরে আসে আর রাঙামাটির মনিকা, ঋতুপর্ণার স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান ফোনে শুধু হাসতেই থাকেন, হাসতেই থাকেন।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রাম গতকাল বুধবার রাতে জেগে উঠেছে আনন্দের উচ্ছ্বাসে। সীমান্তঘেঁষা মন্দিরকোনা গ্রামের বৃদ্ধা এনতা মান্দার কাছে নিশ্চয় আজ ছুটে আসবেন গ্রামবাসী হিন্দু-মুসলিম-গারো নারী-পুরুষ। কাঠমান্ডুতে গতকাল মারিয়ার দূরপাল্লার শটটা কি ভোলার মতো? দুই বছর আগে এনতা মান্দার মেয়ে মারিয়া মান্দা যখন সাফ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গ্রামে এসেছিলেন, বাড়ির সামনে রাস্তায় কলাগাছ পুঁতে সংবর্ধনা তোরণ সাজিয়েছিলেন গ্রামবাসী। এবারও কি সাফ জয়ের মুকুট পরা মারিয়া ফিরে এলে এই আদিবাসী গ্রাম জেগে উঠবে নৃত্যে-গীতে? যে ফুটবলার মেয়েরা ওই প্রত্যন্ত গ্রামের বাঁশঝাড়ের অন্ধকারে জ্বেলে দিয়েছেন বিদ্যুতের আলো, তাঁদের বিজয়ে গ্রামবাসী হুল্লোড় করে উঠেছে কাল রাতে।
Add Comment