সাজিদ ইসলাম, প্যানেল এডিটর ::
৭ বছর পর বাস্তভিটায় উঠল-২ বোন, মা-বাবা এখনও ফেরারী, মামলার যাঁতাকলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ৭ বছর ধরে। বিষয়টি একটি আন্তর্জাতিক সামাজিক সংগঠন আইআরআরএইচএফ-এই অমনবিক ঘঠনা তাঁদের আমলে নেয়। আইআরআরএইচএফ-একটি উচ্চ ক্ষমতার চৌকষ টীম দীর্ঘদিন ধরে অমানবিক ঘঠনার আদ্যপ্রান্ত তদন্ত করে সত্য উদ্ঘঠন করার চেষ্ঠা অব্যহত রেখেছে। কল্যাণমূলক রাষ্টে জনগণের বন্ধু হচ্ছে পুলিশ। অথচ গুটি কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা কিভাবে তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে-সে বিষয়টি এ অমানবিক ঘঠনায় ফুটে উঠেছে।।
একজন ওসি মোজাম্মেল হোসেন!!! একটি থানার জনগনের শান্তি শৃংঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনে একাধিক থানায় ওসি মোজাম্মেল হোসেন ঠিক একাধিক থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন। পুলিশে চাকুরীর সুবাদে শত কোটি টাকা কামিয়েছেন, বাড়ী, গাড়ী, সম্পদের পাহাড় করেছেন। অর্থর মোহে বারবার তিনি চাকুরী থেকে ক্লোজড হয়েছেন, অথচ কোটি টাকায় আবারও ওসি হিসেবে নতুন কোন থানায় পোস্টিংও হয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম থানায় ২০১৫ সালে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, আবার নিরীহ ব্যবসায়িককে ক্রস ফায়ারে হত্যা করে ক্লোজড হয়ে প্রমান করেছেন-হ্যাঁ ওসি প্রদীপের চেয়ে আমি কম পারি না। ক্রস ফায়ারের শর্ত একাধিক মামলা থাকতে হবে!! এ মামলা দেওয়ার কাজটি ওসি মোজাম্মেলদের পক্ষে খুবই সহজ। ইচ্ছে করলেই দিনে ৭টি মামলা দিতে পারেন। স্বার্থহানি, বেশী আশা করে সেটি না পাওয়া, সূযোগ হাত ছাড়া হলে-আর কোন কথা নয়, মামলা আর মামলা…………………। এমন ৭টি মামলা করে ওসি মোজাম্মেল হোসেন একটি অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে। শুরু করে নির্যাতন পরিবারের সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ মানুষটিকে জেলে পাঠায়, পরিবারের টাকাওয়ালা মানুষটিকে পেুলিশ দিয়ে আটঁকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেয় এবং জেলে পাঠিয়ে ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা দাবী করে, পরিবারের কৃষক বয়োবৃদ্ধ ভাইটিকেও জেলে পাঠিয়ে খান্ত হয়নি ওসি মোজাম্মেল হোসেন। এ সব অত্যাচার চলে নাসির উদ্দিনের পরিবারের উপর ।
নাসির উদ্দিনের ২ মেয়ে, ২ পুত্র সন্তান। মেয়ে ২টি ফেরারী মা-বাবা থেকে অনেক দুরে, ছেলে ২টি পড়াশুনার সূযোগ না থাকায় ধনাড্য বাবার সন্তান হয়ে বেচেঁ থাকা ও জীবিকার সন্তানে দোকানে দোকানে কাজ করছে। মানবতা কোথায়, তাদের দেখভাল কে করবে? সৌদী প্রবাসী নাছির উদ্দিনের হাফেজা স্ত্রীর একটা চাওয়া!!! হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে ‘‘ওসি মোজাম্মেল হোসেন’’-হাত থেকে রক্ষা কর। আমরা মজলুল, আমরা নিরূপয়, আমরা ফরিদকারী।
ক্ষমতা মানুষকে কলুষিত করে; বেশী ক্ষমতা মানুষকে বেশী কলুষিত করে। একটি পরিবারের প্রতি হিংসা, নারী, সম্পত্তি এবং অর্থের মোহে ওসি মোজাম্মেল হোসেন দেশের বিভিন্ন থানায় যেভাবে মামলা দিলো :
মামলা : ১, ধারা: ৪০৬/৪১৭/৫০৬ দঃ বিঃ, বাদী : কুখ্যাত ওসি মোজাম্মেল হোসেনের আপন শ্যালক মোঃ রিয়াজ উল্লাহ কর্তৃক দাখিলকৃত, কিশোরগঞ্জ জেলা (শ্বশুরবাড়ী)। ভৈরব থানা (মামলা নং-২৪, তারিখ : ২২/১১/২০১৫, মামলায় ৪ বৎসরের সাজা)
মামলা : ২; ধারা : ৪০৬/৪১৭/৫০৬ দঃ বিঃ, বাদী : ওসি মোজাম্মেল হোসেনের আপন ভাই মোঃ সাজ্জাদ হোসেন কর্তৃক দায়েরকৃত; চট্টগ্রাম জেলা (নিজের বাড়ী, আগ্রাবাদ): ডাবলমুরিং থানা (মামলা নং-৩০, তারিখ : ২৫/১০/২০১৫, সর্বশেষ চার্জশীট হয়েছে)
মামলা : ৩; ধারা : ৪০৬/৪১৭/৫০৬ দঃ বিঃ, ওসি মোজাম্মেল হোসেনের বাল্যবন্ধু আদম ব্যবসায়ী, ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে সংগৃহিত টাকার ক্যাশিয়ার মোঃ আব্দুল আউয়াল কর্তৃক মামলা, ঢাকা: পল্টন থানা (মামলা নং-০৭, তারিখ : ০২/১২/২০১৫, চার্জশীট দাখিল)
মামলা : ৪ ধারা: ৪০৬/৪২০/৫০৬ দঃ বিঃ, ওসি মোজাম্মেল হোসেনের অপকর্মের দোসর, ঘুসের টাকা বৈধতা প্রদানকারী মোঃ ওবায়েদুল্লাহ কর্তৃক মামলা। কুমিল্লা : কোতয়ালী থানা (মামলা নং-৯৫, তারিখ ঃ ২৩/০৪/২০১৭, চার্জশীট দাখিল)
মামলা : ৫, ধারা: ৪০৬/৪১৭ দঃ বিঃ,
ওসি মোজাম্মেল হোসেনের অপকর্মের ঘুসের টাকা বৈধতা প্রদানকারী আপন ভ্রাতা মোঃ মীনুল হোসেন কর্তৃক মামলা: বি.বাড়ীয়া (পৈত্রিক নিবাস): সি.আর মামলা নং-৪১৭/২০১৫ । এছাড়া বন্ধু-বান্ধব দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দিয়ে রেখেছেন সরকারের পোষা এই সন্ত্রাসী, মামলাবাজ কুখাত ওসি মোজাম্মেল হোসেন।
কেন এ আচারণ, পরিবারের কনিষ্ট কন্যা নাঈমা আক্তারের বক্তব্য উঠে এলো : আমি নাঈমা আক্তার। আমরা ২ ভাই, ২ বোন। আমাদের পরিবারের প্রধান কর্তাগণ হলেন-আমাদের পিতা আলহাজ্ব মোঃ নাছির উদ্দিন মিয়া, মাতা-হাফেজা কুহিনুর বেগম, আমার নানা-জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুর রহমান, আমার শ্বশুর শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক হিরণ মিয়া, আমার বড় চাচা প্রবীন কৃষক হারুন মিয়া, আমার খালু সোহেল আহমেদ-উপর্যুক্ত সকলেই সম্প্রতিকালে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তগঞ্জের ক্লোজড হওয়া কুখ্যাত ওসি মোজাম্মেল হোসেনের রোষানলে শিকার। উল্লেখ করা প্রয়োজন আমাদের বাবা সুদীর্ঘ ২(দুই) যুগ কর্মসংস্থানের জন্য সৌদী আরবে চাকুরী ও ব্যবসার সুবাদে অনেক অর্থ উর্পাজন করেন। তিনি বি-বাড়ীয়া শহরে ১টি এবং নিজ পৈত্রিক নিবাসে ১টি বাড়ী নির্মাণ এবং একটি কাপড় ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করেন। অপরদিকে আমার শ^শুর একটি বয়লার মেশিন স্থাপন করে নির্বিবাদে শান্তিপূর্ণ ব্যবসা করে জীবন নির্বাহ করতেন। আমার নানা মুক্তিযোদ্ধা, আমাদের মা-খালারা ৫ (পাঁচ) বোন, আমাদের মা সবার বড়। আমাদের পরিবার ও পরিজনের মধ্যে সর্বাবস্থায় সুখ-শান্তি বিদ্যমান ছিল। আমাদের নানা সহজ সরল অতিথি পরায়ন। আমার নানার সাথে সখ্যতা করে মানুষবেশী উদ্ভট, অনৈতিক, বিকৃত মানসিতার অধিকারী ওসি মোজাম্মেল হোসেন। ওসি মোজাম্মেল হোসেন আমার মেঝ খালাকে বিবাহ প্রস্তাব দিয়ে আমার নানাকে ম্যানেজ করেন কিন্তু পবিত্রা সুন্দরী আমার মেঝখালা তাকে বিবাহ করতে আপত্তি সাধলেন। আমার পিতা নানার বড় জামাতা বিধায় দারোগা মোজাম্মেল হোসেনের সাথে তাঁরও পরিচয় হয়। এ পরিচয়ে আমাদের জীবনে নেমে নিকশ কালো অন্ধকার। নারীলোভী ওসি মোজাম্মেল হোসেন আমার খালাকে বিবাহ করছি বা করবো এমনটি করে সময় ক্ষেপন করতে লাগলেন। বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে আমার পিতার যাবতীয় সহায় সম্পত্তি, অস্তিত্ব আয়ত্ব করে নেয় মানবরূপী নারী লোভী, বিকৃত স্বভাব ও মস্তিস্কের অধিকারী ওসি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন। ওসি মোজাম্মেল অবৈধভাবে তার উর্পাজিত অর্থবৃত্তের বৈধতার জন্য আমার পিতার শাড়ী ফ্যাশনে অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। মূলতঃ ঘুষের টাকা, ক্রস ফায়ারের মতো ভীতি প্রর্দশনের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বৈধ করতে ওসি মোজাম্মেল আমার পিতাকে বেঁছে নেয়। সহজ, সরল আমার পিতা ওসি মোজাম্মেল কুট কৌশল বুঝতে পারেনি তখন, যখন বুঝলেন তখন আর করার কিছুই ছিল না বা রইল না।
ওসি মোজাম্মেলের সাথে কাজের মেয়ে বিলকিস এবং জাহানারা অনৈতিক ও শারিরিক নির্যাতনের বিষয়টি মেনে নিতে পারেন নি আমার বাবা, যেহেতু কাজের মেয়েদের বাড়ী আমাদের গ্রামেই ছিল। সংগত কারণে নারীলোভী ওসি মোজাম্মেল হোসেন বিরুদ্ধে তিনি আপত্তি তুললেন। এসব কারণেও আমার মেঝ খালার সহিত বিবাহের বিষয়টি আমার পিতা বাতিল করলেন। শুধু তাই নয় ওসি মোজাম্মেলের বেপরোয়াপনা, চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে ঢাকার ক্যাপিটাল হোটেল, আল হাসান হোটেলে গিয়ে মোজমাস্তির আপত্তিকর বিষয়সমূহও আমার পিতাকে ভাবিয়ে তোলে-এক্ষেত্রে আমার পিতা ওসির বিরুদ্ধে আপত্তি তোলেন। উল্লেখ করা প্রয়োজন আমাদের পিতা সত্যকে শক্ত করে, সত্য বলতে পারেন। সত্য বলা এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়ায় আমার পিতা এবং পরিবার পরিজনের জন্য চরম বিপদ নেমে আসলো। শুরু হলো অত্যাচার, ১৯/১০/২০১৫ইং তারিখে ফোনে পরিবারটির সকল হাসি, খুশি, আনন্দ সুখ যেন বিদায় নিল, সবাই জেনে গেল আমাদের পিতাকে তাঁর জানের বন্ধু ওসি মোজাম্মেল ক্রস ফায়ারে দিচ্ছে। ক্রস ফায়ারের খবর পেয়ে আমার বৃদ্ধ বীরমুক্তিযোদ্ধা নানা, আমার শিক্ষানুরাগী শ্বশুর এবং আমার হাফেজা মা কাঁদতে কাঁদতে ওসি মোজাম্মেল হোসেনের শ^শুরবাড়ীতে গেলেন। ওসি মোজাম্মেল আমার পিতার উপর সীমাহীন অত্যাচার চালিয়ে একাধিক ব্যাংকের চেকের পাতায় স্বাক্ষর এবং ১৮ (আঠারো) টি নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পে সহি করিয়ে নেন। আমার মা, নানা, আমার শ্বশুর ওসি মোজাম্মেলের শ্বশুরবাড়ী উপস্থিত হলে তাদেরকে সাদা স্ট্যাম্পে সহি করাতে বাধ্য করে। মানুষরূপী ওসি মোজাম্মেল দাবী করে নগত ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা, আমাদের-বি-বাড়ীয়া বাড়ীটি এবং আমার শ্বশুরের বয়লার মিলটি। দাবীর পক্ষে যুক্তি চৌদ্দগ্রামে ওসি থাকাবস্থায় ২৫,০০,০০০.০০ টাকা মূল্যের রাইস মিলের ব্যবসার জন্য ৭০,৫০,০০০.০০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে এবং নগত ৪,১৯,৫০,০০০.০০ পরিশোধ করেছেন। সে কারণে কুখ্যাত ওসি মোজাম্মেল আপন ভাই দ্বারা ওসি মোজাম্মেল হোসেনের নামে একাউন্ড পে ৫,০০,০০,০০০.০০ (পাঁচ কোটি) টাকার চেক এবং চেক ও নগত ৮০,৫০,০০০.০০ (আশি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা পাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেছেনও বটে। প্রশ্ন একজন ওসি আয় কত টাকা?
আসল সত্য তথ্য হলো-ওসি ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে আদায়কৃত অর্থ ও ঘুষের টাকা বন্ধুর একাউন্ডে দেখিয়ে ব্যবসায়িক একাউন্ড হতে ভাইয়ের নামে ওসি মোজাম্মেল নিজে অথবা ভাইকে দিয়ে সরকারী গাড়ীতে এসে টাকা নিয়ে যেত। আমার পিতা ও আমার শ^শুরকে এভাবে ওসি মোজাম্মেল টাকা দিয়েছেন বটে পরক্ষণে তা ফেরৎ নিতে দেরী করেনি। কখনো কখনো ব্যাংকের ম্যানেজারকে ওসি মোজাম্মেল হোসেন-এর কারণে ব্যাংকের অফিস আওয়ার শেষে টাকার বস্তা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা খুলে রাখতে বাধ্য হতে হয়েছে।
এভাবে ওসি মোজাম্মেল হোসেন কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করে বন্ধু বান্ধব মাধমে নামে বেনামে অর্থের পাহাড় গড়েেেছ। ঢাকার অভিজাত এলাকা পিংক সিটিতে একাধিক বাড়ী, ঢাকা, চট্টগ্রামে বি.বাড়ীয়ায় নামে-বেনামে ফ্ল্যাট বাড়ী এবং ঘুষের টাকায় মদ, নারী ও মোজমাস্তামী করেছেন। অর্থ ও নারীলোভী ওসি মোজাম্মেলের কু-কর্মের বিবরণ বলে শেষ করা যাবে না।
ওসি মোজাম্মেল হোসেন কে ?
মোঃ মোজাম্মেল হোসেন (বিপি-৬৭৮৯০৫৮২৯৭৭৬), পিতা-মৃত শহিদ আহম্মেদ সরকার, সাং ১৪৩/বি, রোড-১৭/১, সিডিএ, আগ্রাবাদ, থানা-ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম তবে জন্মস্থান বি.বাড়ীয়ায়। পুলিশের চাকুরীর সুবাদে কুলিয়ার চর থানা, চৌদ্দগ্রাম থানাসহ বিভিণœ থানায় কর্মরত থাকা সময় নানাবিধ অপকর্মে খতিয়ান অনেক লম্বা। ওসি মোজাম্মেল হোসেনের অনৈতিক কর্মকান্ডে তাকে বিভাগীয় মামলার সম্মূখীন হতে তাকে অনেকবার, অতীতে চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাছাড়া নিরস্থ পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের ওসি থাকা অবস্থায় ২১/০৯/২০২০ইং থানায় আটকিয়ে রেখে অবৈধ লেনদেনের জন্য ক্লোজড করা হয়েছে। ওসি মোজাম্মেল হোসেন-এর কর্মকান্ড জানতে সিআর মামলা নং-১২৫/২০১৩ (ক্রস ফায়ারে নিহত ইব্র্রাহিম বনাম ১নং আসামী ওসি মোজাম্মেল মামলা) মামলাটি দেখুন।
ওসি মোজাম্মেল হোসেন কিভাবে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন করে ?
আমার পিতাকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে আটকিয়ে রাখার সময়ের ১৮টি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং ৩টি ব্লাংক চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। স্ট্যাম্পসমূহ দিয়ে দেশের বিভিন্ন থানায় ওসি মোজাম্মেলের আপন ভাই, বউয়ের ভাই, ভগ্নিপতি, ওসি মোজাম্মেলের দোসর বন্ধুদের দিয়ে একই ধারা, একই বিষয় উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। সকল মামলার র্টাগেট ছিল আমার পিতার ২টি বাড়ী, বিদেশ থেকে উপার্জিত নগত টাকা, আমার শ^শুরের বয়লার মিলটি এবং আমাদের পবিত্রা সুন্দরী মেজ খালাকে। এ টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হয়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে চেকের পাতা এবং স্বাক্ষর করা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সমূহ। উল্লেখ্য স্ট্যাম্পসমূহ ব্যবহার হয়েছে-একই সিরিয়ালের এবং একই সনের এতে বোঝা যায় ক্রস ফায়ারের নামে ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্প। সব মামলাগুলো সাজানো মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যে প্রনোদিত। মামলার পর ওসি মোজাম্মেলের অপর্কমের দোসরদের দিয়ে আমাদের বাড়ী দখলের চেষ্টা, সন্ত্রাসীদের লাগিয়ে আমাদেরকে ভিটে মাটি আমাদের উচ্ছেদ করানো। অপরদিকে ক্রস ফায়ারের ভয়ে আমাদের পিতাকে একটি মামলায়ও হাজিরা না দেওয়া।
আমরা আমাদের কষ্ট, আমাদের দুঃখ, দুর্দ্দশার বিষয়ে কোন কথা বলতে পারিনি। আমাদের পিতামাতাসহ পরিজন আজ ফেরারী আসামী, ক্রস ফায়ারের ভয়ে ক্ষুদা-অনাহারে মানবেতর জীবন কাঁটাছেন, আমরা পড়াশুনা করতে পারিনি, সুস্থ, সুন্দর পরিবেশে বড় হতে পারিনি!!! আমাদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ওসি মোজাম্মেলের প্রতিহিংসা। আমাদেরকে মতো কুখ্যাত ওসি মোজাম্মেল গংদের হাতে আর কত মানুষকে এভাবে গুম, ক্রস ফায়ারের মতো ভয় পেয়ে ফেরারী জীবন যাপন করবে??? এখনও আমার পরিবারের একটিই ভয় ‘‘ওসি মোজাম্মেল ভীতি’’ কারণ ওসি মোজাম্মেল ক্লোজড হয়েছে কিন্তু তাঁর দোসর কুল্লিার ওবায়েদুল্লাহ, ভৈরতের রিয়াজউল্লাহ, ঢাকার আব্দুল আওয়াল গং, বি-বাড়ীয়া ও চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হোসেন গং কোটি কোটি টাকা নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
ওসি মোজাম্মেলের তান্ডব, গুম ও ক্রস ফায়ারের ভয় আমাদের প্রতিনিয়ত তাড়া কর আসছে। না জানি কখন আমার বৃদ্ধ নানা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান!!! আমার বৃদ্ধ শ্বশুর শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক হিরণ মিয়াকে!!! না জানি কখন আমার আপন চাচা!!! আমাদের আপন খালু!! আমাদের পিতা আলহাজ¦ নাছির মিয়াকে অথবা আমাদের মা জননী কোরআনের হাফেজা কুহেনুর বেগমকে হারিয়ে ফেলি। ভাবলে কষ্টে লাগে, আর কত চাই, আমাদের মতো আর কত পরিবার তার চাই, ৫ কোটি, ১০ কোটি আরও কত শত কোটি তাঁর চাই !!! সরকারের পোষ্য এই কুখ্যাত ওসি মোজাম্মেল হোসেনরা আর কত মানুষকে এভাবে গুম, খুন, ক্রস ফায়ারের মেেতা ভয় দেখিয়ে ফেরারী করে রাখবে?? উল্লেখ্য এ মানবিক বিষয়ে আমরা পুলিশের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছি-কিন্তু কোন ফলাফল পাইনি বরং অত্যাচারের চরম স্টীম রোলার চালিয়েছে ওসি মোজাম্মেল। জানিনা সংবাদ সম্মেলনের পর আমরা বাড়ী ফিরতে পারব কিনা, আমাদের সাথে যারা রয়েছেন তারাও বিপদে পড়বেন কিনা। আমাদের অভিজ্ঞতা অনেক তিক্ত। গত ১১.০৯.২০২০ইং বি.বাড়ীয় প্রেস ক্লাবে অনুরূপ একটি সংবাদ সম্মেলন করি, সাংবাদিকগণ আমাদের ছবি তোলেন, আশ্বস্ত করেন আগামীদিন পত্রিকার পাতায় আমাদের আবেদন ছাপা হবে কিন্তু কই বি.বাড়ীয়ার সব কয়টি পত্রিকা কিনলাম, হয়ত বা ভূল করে একটি পত্রিকায় ছাপা হলো, অন্য একটিতেও খুজে পাওয়া গেল না। কিন্তু বেনামে আমাদের কাছে এসে ওসি মোজাম্মেল হোসেন প্রেতাত্তারা জানিয়ে দিল-পরিনতি ভয়াবহ হবে। ফেরারী জীবন নিয়ে সুখে থাক!!!
আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে আকুল আকুতি, মানবরূপী এক ভয়ানক দানব কুখ্যাত ওসি মোজাম্মেল হোসেনের হাত থেকে আমাদের পরিবারকে বাঁচিয়ে দিন। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন থানার দায়েরকৃত মামলা পরিচালনা করার ক্ষমতা আমাদের পক্ষে সক্ষমতা নেই, আমাদের বাড়ীগুলি, আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আমাদের মিলটি এই কুখ্যাত ওসি মোজাম্মের হোসেনের দোসরদের হাত থেকে রক্ষা করুন। আমাদের পরিজনকে পরিজনকে মিথ্যা মামলার হাত থেকে বাঁচতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে বিশেষ নির্দেশের ভিক্ষা চাচ্ছি।
ধন্যবাদ সকল কে। বিশেষ করে আইআরআরএইচএফ, সিএইচআরএম, সময়ের কথা, টাইগার নিউজ, ইজাব টিভি এবং একঝাঁক পরোপকারী মানবাধিকার কমী ও আইনজীবীদের প্রতি।
Add Comment