কর্ণাটকের শ্রীগুরু তিপ্পেস্বামী মন্দিরের আবাসিক বেদ স্কুলে এক সংস্কৃত শিক্ষকের হাতে ছাত্র নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের ঝড় তুলেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক বীরেশ হিরেমঠ এক ছাত্রকে কয়েক মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তারপর হঠাৎ করে তাকে মাটিতে ফেলে লাথি ও ঘুষি মারতে শুরু করেন। অভিযোগ, ছাত্রটি তার পিতামাতাকে ফোন করার জন্য মোবাইল ব্যবহার করছিল। এই কারণেই শিক্ষক তাকে এভাবে মারধর করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। ছাত্রটির হাতে ক্ষত হলেও শিক্ষক মারধর বন্ধ করেননি, বরং আরও কয়েকবার আঘাত করেন। এ ঘটনার পর মন্দিরের নির্বাহী কর্মকর্তা গঙ্গাধর থানায় অভিযোগ করেন। নায়কনাহট্টি পুলিশ মামলাটি রুজু করে। তবে মামলার পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক।
পুলিশ জানায়, তার খোঁজে অভিযান শুরু হয়েছে। তহসিলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। এদিকে কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান তারা। নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী লক্ষ্মী হেব্বালকর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, নায়কনাহট্টিতে এক ছাত্রকে শিক্ষক যে নির্মমভাবে প্রহার করেছেন, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কোনো শিশুর সঙ্গে এমন আচরণ করা যায় না। আমি নিজে এই ঘটনার তদারকি করব এবং দোষী প্রমাণিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমার দফতরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে।
Add Comment