জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৫২০ নম্বর কক্ষের মেঝেতে মেয়েকে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন ইয়াসমিন আক্তার। তাঁর ১১ বছর বয়সী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে নুরে জান্নাত ইউশা বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুড়ে গেছে।
ইয়াসমিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মেয়ের কপাল পুড়ে গেছে, মুখ ঝলসে গেছে, মাথা ফেটে গেছে, পিঠও পুড়ে গেছে। আমার মেয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছে। মেয়ে বলে যে “মা, আমার সব জ্বলে।”’
এই মা জানান, তাঁর দুই ছেলে–মেয়ে। মেয়ে মাইলস্টোনে পড়ে।
রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ২৮ জন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে। পরে বিধ্বস্ত হয়।
আমার রোহান যন্ত্রণায় কাতরাইতাছে রে
এদিকে ৫২০ নম্বর কক্ষের সামনে বিলাপ করতে থাকা নাসিমা বেগমকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন আত্মীয়-স্বজনেরা। তাঁর ছেলে রবিউল হাসান রোহান সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় রবিউলের শরীর পুড়ে গেছে।
নাসিমা বেগম বলছিলেন, ‘এমন দশা ক্যামনে হইছে রে। কত মায়ের বুক খালি হইছে রে। আমার রোহান যন্ত্রণায় কাতরাইতাছে রে।’
রোহানের বাবা মো. নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলের পুরো শরীর পুড়ে গেছে। তাঁর ছেলে ইংরেজি মাধ্যমে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
Add Comment