তথ্য ও প্রযুক্তি

কুড়িয়ে পাওয়া দেড় লাখ টাকা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিলেন বাসচালক

যাত্রীবোঝাই বাস চালিয়ে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলেন চালক মানিক মিয়া (৩৪)। পথে কুড়িয়ে পান প্রায় দেড় লাখ টাকা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ সদর থানায় এই টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেন ওই বাসচালক।

মানিক মিয়া মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার লওখণ্ড গ্রামের বাসিন্দা। গত শনিবার সকালে পল্লীসেবা পরিবহনের বাসচালক মানিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার সাভারের নবীনগর থেকে মানিকগঞ্জের দিকে আসছিলেন। পথে মানিকগঞ্জের সীমান্তবর্তী ঢাকার ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে টাকাভর্তি একটি ব্যাগ কুড়িয়ে পান। ব্যাগে ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ছিল। টাকার ব্যাগ নিয়ে তিনি মানিকগঞ্জ বাস টার্মিনালে আসেন।

এরপর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের মাধ্যমে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাকে জানান মানিক। ব্যাগসহ টাকা পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়।

পরে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে সদর থানা-পুলিশ। ওই টাকার প্রকৃত মালিক হলেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দা উপজেলার বড় হিজলী গ্রামের মো. মনিরুল ইসলাম (৩৫)। তিনি ঢাকার উত্তরা এলাকায় প্লাস্টিকের দরজার ব্যবসা করেন।

আজ বিকেল চারটার দিকে মনিরুল ইসলাম মানিকগঞ্জ সদর থানায় আসেন। পুলিশের খবর পেয়ে বাসচালক মানিকও থানায় আসেন। সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে বিকেল পাঁচটার দিকে মনিরুলের হাতে টাকাগুলো তুলে দেন বাসচালক মানিক মিয়া।

ওই বাসচালক বলেন, ‘টাকাগুলো পাওয়ার পর মানিকগঞ্জ বাস টার্মিনালে আইস্যা ইউনিয়নের (পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন) এক নেতাকে জানাই। পরে তাঁর মাধ্যমে থানায় গিয়া টাকাগুলো পুলিশের কাছে দিয়ে আসি। টাকার জন্য মালিক দুশ্চিন্তায় আছেন মনে কইর‍্যা টাকাগুলো মালিককে দেওয়ার কথা ভাবতে থাকি। কারণ, এই টাকা আমার না।’

মনিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে তিনি রাজবাড়ী গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পাটুরিয়া ঘাটের কাছে গিয়ে তিনি দেখতে পান টাকার ব্যাগটি নেই। তিনি বলেন, ‘টাকা ফেরত পাব, এমন আশা আমি ছেড়েই দিয়েছিলাম। এখনো দুনিয়ায় ভালো মানুষ আছে। বাসচালক টাকার লোভ না করে টাকাগুলো আমাকে ফেরত দিয়েছেন।’

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০