আন্তর্জাতিক

‘দেড় লাখি’ চশমা বিতর্কে ‘ফকির’-নরেন্দ্র মোদী

চাঁদ ধরা হয়নি, নিরাশ করল সূর্যও। বাড়ির সুপ্রশস্ত সবুজ লনে দাঁড়িয়ে দৃষ্টিনন্দন রোদচশমা পরে আকাশে চোখ রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। দশকের শেষ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকতে চেয়েছিলেন। মেঘ-কুয়াশা-দূষণজনিত ধোঁয়াশার চাদর কিছুই দেখতে দিল না। মাঝখান থেকে চর্চার বিষয় হয়ে উঠল ব্র্যান্ডেড চশমাটাই। দশলাখি স্যুটের মতো ‘দেড়লাখি চশমা’ ভাইরাল থাকল দিনভর।

Modiএর আগে দ্বিতীয় দফায় সরকারে আসার ১০০ দিন পূর্ণ করার দিনটিতে চন্দ্রযানের চন্দ্রাবতরণ দেখতে হাজির হয়েছিলেন ইসরো-র দফতরে। মিশন সফল হয়নি। কিন্তু ইসরো-র চেয়ারপার্সন কে শিবনকে সান্ত্বনা দিয়ে বুকে টেনে মোদীই ছিলেন খবরের শীর্ষে। সূর্যগ্রহণেও তা-ই থাকলেন, তবে মোদীকে ছাপিয়ে নজর কেড়ে নিল মোদীর চশমা। মোদী নিজে ছবিটি পোস্ট করার পরেই এক টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, এই ছবি অচিরেই ‘মিম’ হয়ে উঠবে। মোদী জবাব দিলেন, ‘সুস্বাগতম! আনন্দ করুন।’

শেষ অবধি মোদীর পক্ষে বিষয়টি কতটা আনন্দদায়ক হল, সেটা নিয়ে অবশ্য নানা মুনির নানা মত। কারণ শুধু ‘মিম’ নয়, মোদীর চশমা রীতিমতো রাজনৈতিক রং নিল নেটিজেন এবং বিরোধী শিবিরের তৎপরতায়। অনেকেই দাবি করলেন, জার্মান সংস্থার তৈরি রোদচশমাটির দাম দেড় লাখ টাকার বেশি। কেউ কেউ আবার পাল্টা ছবি দিয়ে প্রমাণ করতে চাইলেন, মোটেই দেড় লাখ নয়। চশমাটির দাম তিন থেকে চার হাজারের মধ্যে! আসল দাম যা-ই হোক, সারা দিন ধরে এক দিকে মোদীকে তাড়া করল ‘দশলাখির পর দেড়লাখি’র কটাক্ষ, অন্য দিকে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি ‘পোশাক’ নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তার পাল্টাও ফিরে এল তাঁর দিকে।

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১