অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে এবার হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেনসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় আটকে মাদক মামলার আসামি বানানোর হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার রাতে তাদের ক্লোজ করার নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর, সোমবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের স্কয়ার ফ্যাক্টরির সামনে থেকে আরএফএল বেস্ট বাই’য়ের ম্যানেজার লুৎফুর রহমান তার এক কাস্টমারের মোটরসাইকেল করে অলিপুরের দিকে আসছিলেন।
এ সময় শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ মোটর সাইকেলটি আটক করে কাগজপত্র দেখতে চাইলে চালক কাগজপত্র বাড়িতে রয়েছে জানান। পরে লুৎফুর রহমানের জিম্মায় মোটরসাইকেলটি রেখে বাড়ি থেকে কাগজপত্র আনতে গিয়ে ফিরে আসেননি ওই চালক। এতে পুলিশ সদস্যরা লুৎফুর রহমানকে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযোগ উঠেছে, লুৎফুর রহমানকে হাজতে আটকে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।
এক পর্যায়ে পুলিশের দাবির প্রেক্ষিতে সাড়ে ২৮ হাজার টাকা দিয়ে রাতে থানা থেকে মুক্তি পান লুৎফুর রহমান।
এ ঘটনায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার কাছে গত ১৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার লুৎফুর রহমান একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এর প্রেক্ষিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেন পুলিশ সুপার। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়। এর মধ্যে ১ জন সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ও ৩ জন কনস্টেবল রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
Add Comment