মোঃ কাওছার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:
সকাল থেকেই বৃষ্টিস্নাত রাজধানী। সাপ্তাহিক ছুটিরদিন সঙ্গে করোনা, লোকজনের ভিড় নিতান্তই কম। তবে ভিন্নচিত্র রাজধানীর খাদ্য সম্ভারখ্যাত কারওয়ান বাজারের। ব্যাগ হাতে অনেকেই ভিড় করছেন সবজি বাজারে। সবজির ভিড়ে কাচা মরিচ কিনতে গিয়ে চোখ যে ছানাবড়া। ঝাল সাধ্যের বাইরে। কেজি ১৬০ টাকা। প্রকারভেদে তা ১৮০ টাকা পর্যন্ত।
এমনকি থেতলে যাওয়া মরিচও বিক্রি হচ্ছে ১২০টাকা কেজি দরে।
হঠাৎ কেন বাড়লো মরিচের দাম? বিক্রেতাদের একটাই জবাব, বন্যায় নষ্ট হয়েছে মরিচ ক্ষেত। চাই চাহিদা মতো সরবরাহ আসছে না। সিরাজগঞ্জ থেকে মরিচ আনেন আরতদার মো. ইকবাল। তিনি জানান, ১৫ মণ মরিচের কথা বলেছিলেন। কিন্তু মরিচ দিয়েছে তারা ৮ মণ। আর খুচরা বিক্রেতা আবুল মিয়া বলেন, আগে মরিচ রাখতাম ২০ থেকে ৩০ কেজি। এখন রাখি ৫ থেকে ৭ কেজি। তারপরেও বিক্রি হয়না। মানুষ মরিচ কেনে আড়াইশ’ গ্রাম, আধা কেজি করে।
এক গৃহিনী বাজার করছিলেন। ছেলের সঙ্গে ঘুরছিলেন ব্যাগ হাতে। তিনি বলেন, তাদের কোন কারণ লাগে না দাম বাড়াতে। আর এখনতো কারণের শেষ নাই- বন্যা, করোনা। মরিচের কেজি ১৬০ টাকা। অবিশ্বাস্য। আগে মরিচ নিতাম এক কেজি, এখন নিলাম আড়াইশ’ গ্রাম। কি আর করা? এর আগে পিয়াজের দাম যখন ২শ’, ৩শ’ টাকা হয়েছিল। কিছু করতে পেরেছি? আমাদের এভাবেই মেনে চলতে হবে।
মরিচের ঝাল অসহনীয় হলেও পিয়াজের ঝাঝও বাড়ছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। বেড়েছে আলুর দামও। আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। প্রকারভেদে তা ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এদিকে আদার দাম ১৬০ টাকা কেজি, আর রসুনের কেজি ৬০টাকা। এছাড়াও দেখা যায়, ঢেড়শ ৩০, পটল ৪০, টমেটো ৯০, শসা ৪০, কচু ৩০, পেপে ২৫ ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
শাকের দামটাও কিছুটা বেশি। বিভিন্ন প্রকার শাক বিক্রি হচ্ছে আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকায়। আর বাজারে চোখে পড়ে অধিক পরিমাণ আমড়া। এগুলো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। কাওরানবাজার থেকে পণ্য নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। তাই সেসব বাজারে চুকাতে হবে এর থেকেও চড়া মূল্য।
Add Comment