রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে দ্রুত পানি কমে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় এবং কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে নতুন করে প্রায় ২০০ ফুট এলাকা ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এতে করে দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাট ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা অব্যাহত রেখেছে।
গতকাল রোববার সকালে দেখা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের পর থেকে ৬ নম্বর ঘাট পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ২ ও ৩ নম্বর ফেরিঘাটের মাঝের বেশ কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। ৩ নম্বর ফেরিঘাটের র্যামবেইজ বালুভর্তি বস্তাসহ নদীতে বিলীন হয়েছে। পাশের র্যামবেইজ দিয়ে ফেরিতে গাড়ি ওঠানামা করছে। পাশের অন্যান্য ঘাটের কাছে ভাঙন দেখা দিলেও চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, আগে ভাঙনের মাত্রা অনেকটা বেড়েছিল। পরবর্তী সময়ে দ্রুত বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেললে ভাঙন থেমে যায়। কিছুদিন বিরতির পর নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঘাট এলাকায় ব্যবসা করা নিয়ে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। ভাঙন বেড়ে গেলে যেকোনো মুহূর্তে ঘাটটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন ব্যবসা গুটিয়ে অন্য জায়গায় যেতে হবে।
এদিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট আধুনিকায়ন করতে গত বুধবার বিআইডব্লিউটিএ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখেন। আধুনিকায়নের কাজ শুরু করতে দেরি হলে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট আধুনিকায়নের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড নকশার কাজ শুরু করেছে। আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব আলী সরদার বলেন, গত বছর এই সময় নদীতে পানি দ্রুত কমতে থাকায় ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কারণে দৌলতদিয়ার দুটি ফেরিঘাট বিলীন হয়ে যায়। এ বছর এখন পর্যন্ত ব্যাপক আকারে ভাঙন শুরু না হলেও বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ২ নম্বর ঘাট চালু না থাকলেও তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে ভাঙনে ৩ নম্বর ঘাটের বেশি ক্ষতি হলে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
Add Comment