শিশুদের মোবাইল বা ট্যাবলেটে দৈনন্দিন ‘স্ক্রিন টাইম’-এর বৃদ্ধি বাবা-মায়েদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। কারণ, দীর্ঘ সময় মোবাইল দেখার ফলে অল্প বয়সেই ছোটদের নানা ধরনের অসুখ দেখা দিচ্ছে। অথচ, এ রকম ক্ষেত্রে সন্তানকে বকাবকি করে বা কোনও শাস্তি দিয়ে বিশেষ একটা লাভ হয় না। হিতে বিপরীতের আশঙ্কায় বাবা-মায়েদের মধ্যে অনেককেই শেষে সন্তানের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হতে হয়। তবে শিশুদের স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য অভিভাবকেরা কয়েকটি বিকল্প পথ বেছে নিতে পারেন।
মাসে এক বার শৈশবের স্কুলে পা রাখেন অক্ষয় কুমার, এই অভ্যাসে কী উপকার পান তিনি?
১) স্কুলের বিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা থাকে, যা চাইলে বাড়িতেও করা সম্ভব। বাবা-মায়েরা সন্তানের জন্য হাতেকলমে এই ধরনের প্রজেক্ট তৈরি করতে পারেন। তার ফলে এক দিকে যেমন সে মোবাইল থেকে দূরে থাকবে, তেমনই পড়াশোনার প্রতিও আগ্রহ তৈরি হবে।
২) গোয়েন্দা গল্প বা ছবি শুধুই বড়়দের জন্য নয়। শিশুমনের মধ্যেও এক জন গোয়েন্দা বা অভিযাত্রী লুকিয়ে থাকে। বাড়িতে ছুটির দিনে তাদের জন্য বিভিন্ন ধাঁধা বা ‘ট্রেজ়ার হান্ট’-এর মতো খেলার আয়োজন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সন্তানের বন্ধুদেরও এই খেলায় অংশ নেওয়ার জন্য বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো যায়। তার ফলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটবে।

৩) বাড়িতে রান্নাঘরে বা বাগানের পরিচর্চায় ছোটদের অংশ নিতে বলা যেতে পারে। মোবাইল দূরে রেখে, বাড়ির এই ধরনের কাজে বড়দের সঙ্গে সে থাকলে তার মধ্যে সহজেই দায়িত্ববোধ তৈরি হবে। তবে রান্নাঘর বা বাগানের ক্ষেত্রে, ছোটরা যেন ধারালো কোনও জিনিস হাতে না নেয়, অভিভাবকদের তা খেয়াল রাখতে হবে।
৪) অল্প বয়স থেকে সন্তানকে বই পড়ানোর অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। বইয়ের প্রতি আগ্রহ অনেকাংশে ছোটদের মোবাইল থেকে দূরে রাখতে পারে। একই সঙ্গে তাদের স্থানীয় গ্রন্থাগারের সদস্য করে দেওয়া যেতে পারে। তার ফলে বই পড়ার অভ্যাস টিকে থাকবে।
৫) মাঠে খেলাধুলোর পাশাপাশি বাড়িতে ছোটদের দাবা, পাজ়ল এবং অন্যান্য বোর্ড গেমের অভ্যাস করানো যেতে পারে। প্রয়োজনে বাবা-মায়েরা তাদের সঙ্গে খেলায় অংশ নিতে পারেন। মোবাইলের পর্দায় ভিডিয়ো গেমের তুলনায় এগুলি শিশুর মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে বেশি সহায়ক।
Add Comment