খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ
সম্প্রতি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত)-এর সংশোধনী প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংশোধনীতে মাদরাসা শিক্ষকগণের পদোন্নতি, স্কেল, অভিজ্ঞতাসহ নানাবিধ অসঙ্গতির সমাধান হয়েছে। সেজন্য দেশের মাদরাসা ছাত্রদের একমাত্র অরাজনৈতিক অধিকার আদায়ের স্তম্ভ মাদ্রাসা ছাত্রদের অধিকার আদায়ে সংগঠন বাংলাদেশ মাদ্রাসা ছাত্র অধিকার মাদ্রাসার ছাত্র অধিকার পরিষদ এর খুলনা বিভাগের সভাপতি মুফতি মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ মারুফ বিল্লাহ সহ খুলনা বিভাগের ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতায় মাদরাসা শিক্ষায় সাধারণ শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাদান করা হলেও শিক্ষক সল্পতার জন্য মাদরাসা শিক্ষা চরম শিক্ষক সঙ্কটে ভুগছিল এবং একটি কুচক্রী মহল মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে ছিলো তাদের এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন পরামর্শ ক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি সুন্দর নীতিমালা প্রণয়ন করেন। খুলনা বিভাগের সভাপতি মুফতি মোঃহাফিজুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বারবার দাবি জানিয়ে আসছিল। ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালে নতুন আঙ্গিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদরাসা শিক্ষা উন্নয়নে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা জারী করে। নীতিমালায় অসংখ্য সমস্যা ও স্কুল কলেজের নীতিমালার সাথে বিভিন্ন পদে বৈষম্য থাকায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, স্কেলসহ নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। অতি সম্প্রতি প্রকাশিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (মাদরাসা)-এর সংশোধনীতে এসব সমস্যার অনেকাংশই সমাধান হয়েছে- এই সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের খুলনা বিভাগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ ও জমিয়াত নেতৃবৃন্দ ও হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানান কেননা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এটা। সাথে সাথে এ কাজ তরান্বিত করার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করায় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ সংশোধনীর পরও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত)-এ যেসব সমস্যা অবশিষ্ট রয়েছে এবং একটি কুচক্রী মহল মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় সেই দিকেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সেগুলোও চিহ্নিত করে অতি সল্প সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতায় সমাধান হবে ইন শা আল্লাহ। সাথে সাথে শিক্ষক-কর্মচারী সঙ্কট দূর হওয়ায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষাদানে মনোনিবেশ করার জন্য শিক্ষকগণের প্রতি অনুরোধ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের খুলনার বিভাগের নেতৃবৃন্দ।
Add Comment