শওকত সৈকত ধামরাই প্রতিনিধি, ::
ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের ঘোড়াকান্দা গ্রামে এক বৃদ্ধাকে গ্রাম্য সালিশে একলক্ষ টাকা জরিমানা করে, তাহা গনপিটুনির ভয় দেখিয়ে আাদায় করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাতাব্বরদের বিরুদ্ধে।
সরজমিনে জানাযায় ঘোড়াকান্দা গ্রামের বৃদ্ধ মোকছেদ আলী প্রতিবেশী মজিদ মিয়ার নিকট এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ২ বছর আগে সূদে লাগায়।
মজিদ মিয়া টাকা সুদে নেওয়ার পরে, কয়েক মাস সুদ পরিশোধ করলেও ১ বছর যাবত কোনো সুদের টাকা পরিশোধ না করায়, মোকছেদ আলী মজিদ মিয়া কে সুদের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
গত পহেলা অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে, মোকছেদ আলী তার পাওনা টাকা চাওয়ার জন্য মজিদ মিয়ার বাড়িতে যায়। সেখানে মজিদ মিয়ার বড় ছেলে সাখাওয়াতের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়।পরবর্তীতে বিকাল বেলা ঘোড়াকান্দা স্ট্যান্ডে মোকছেদ আলী মজিদ মিয়ার ছোট ছেলে আনোয়ার কে বিষয়টি বল্লে আনোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে মোকছেদ আলী কে ঘোষি মারে,এ ঘটনায় দুই বাড়ির লোকদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় সাখাওত চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে মোকছেদ আলীর স্ত্রী তাকে ঝাপটে ধরে তখন মোকছেদ আলীর ছেলে আয়েদ আলী তার মাকে ছুটানোর চেষ্টা করে,, এ ঝাপটাঝাপটি তে মায়ের টানে সাখাওয়াতে লুঙ্গি খোলে যায়,আর ছেলে টানে মায়ের কাপড় ছিড়ে যায়।এক পর্যায়ে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় উভয় পক্ষই ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। তবে কারো রক্তান্ত জখম না হওয়ায়, এলাকার মাতব্বররা তাদের স্থানীয় ভাবে মিমাংসার কথা বলে থানায় যেতে নিষেধ করে। তার পরে ও মজিদ মিয়া মাতাব্বরদের কথা না রেখে থানায় অভিযোগ করে। এবিষয়ে গত শুক্রবার বিকালে ঘোড়াকান্দা আড়ৎ মাঠে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে নান্নার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে গ্রাম্য সালিশ সম্পন্ন হয়। গ্রম্য সালিশে টাকা সুদে লাগিয়ে সেই টাকা তুলার উদ্দেশ্যে মারামারি করার অপরাধে মোকছেদ আলী কে একলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়, অন্য দিকে মজিদ মিয়ার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা মোকছেদ আলী কে দিয়ে বাকি একলক্ষ টাকা জরিমানা হিসেবে কেটে রাখা হয়। এ সালিশের জুরিবোর্ডে যারা ছিলেন শ্রীরামপুরের বিএনপি নেতা হাজী হেলাল,ঘোড়াকান্দা গ্রমের যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন,নান্নার ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার অছিমদ্দিন (অসি),নান্নার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল হোসেন ও পরে সভাপতি আলতাব হোসেন এ রায় বাস্তবায়ন করেন।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোকছেদ আলী সাংবাদিকদের জানান আমার টাকা গুলো মাইরা খাওয়ার জন্য মজিদ তার ভাড়া করা মাতাব্বরদের দিয়ে আমার উপর এই জুলুম করলো, মাতাব্বররা আমাকে গণপিটুনির ভয় দেখিয়ে আমার টাকা গুলো নিয়ে গেলো।আমি পরের দিন চেয়ারম্যানের কাছে গেলাম চেয়ারম্যান ও আমাকে বলে দিলো তার নাকি কিছুই করার নাই।আমি আল্লাহর কাছে কইছি আল্লাহ তুমি এই জুলুমকারীদের বিচার কইরো।
Add Comment