জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানকে ‘দাঙ্গা’ বলে কটাক্ষ করে নেটিজেনদের হাসির পাত্র জয়!

জুলাই অভ্যুত্থানকে ‘জুলাই দাঙ্গা’ বলে কটাক্ষ করার মত দুঃসাহস-দম্ভ দেখিয়েছেন সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী গণহত্যাকারী হাসিনার সাড়ে হাজার খ্যাত পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া সেই পোস্টেটি রীতিমতো ভাইরাল হলে নেটিজেনরা জয়কে নিয়ে মেতেছেন হাস্যরসে। কেউ বলছেন ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ তো আবার কেউ বলছেন, নির্লজ্জ, বেহায়া, অমানুষ জন্যই এমন কথা বলার দুঃসাহস দেখিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া সেই পোস্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পুত্র লিখেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত হওয়া ‘জুলাই দাঙ্গা’ ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে কালো অধ্যায়। বিদেশি রাষ্ট্রের অর্থায়নে আর উগ্রবাদী অপশক্তির মদদে সংঘটিত সেই দাঙ্গার পেছনে অনেকেই যুক্ত হয়েছিলেন কেউ সচেতনভাবে, কেউবা না বুঝে বিভ্রান্ত হয়ে।’

তার এই কথায় রীতিমতো ক্ষেপে যান নেটনাগরিকরা করতে থাকেন একের পর ট্রল। সামিয়া রহমান নামের একজন জয়ের পোস্টটির স্ক্রিনশট শেয়ার করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হা হা হা নির্লজ্জ বেহায়া পালিয়ে বসে আছে আমেরিকায় দেশে আসার নেই সাহস আর দুদিন পর পর গর্ত থেকে বেরিয়ে প্রতিবন্ধীদের মত আবোল তাবোল বকবক করে। জুলাই অভ্যুত্থান কি এটা তোমার মায়ের কাছে শুনিও ভালো করে। হাসিনার স্বৈরাচারিতার ফসল জুলাই গণঅভ্যুত্থান, লাউড এন্ড ক্লিয়ার।’

জমিল খান নামের আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মা-ছেলে দুজনই মানুষরূপী জা*য়ার। জুলাই অভ্যুত্থানে আপনার মা যা করেছে তা কি চোখে দেখেন নি আপনি? বাংলাদেশের মানুষ বিগত ১৬টি বছর অন্ধ ছিলো কিন্তু, জুলাই অভ্যুত্থান তাদের সেই দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষের জন্য এত মায়া কান্না তাহলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন না কেন আপনার মা আপনি আপনার পরিবার?’

তৃণা মেহজাবিন নামের আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দেশের মানুষের জন্য এত মায়া কান্না তো আপনার মা দেশে আসতেছেন না কেন? আপনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়ে ওখানে কেন বসে আছেন? দেশের মানুষের কথা ভাবলে জুলাই অভ্যুত্থান প্রয়োজন হতো না বাংলাদেশে। আপনি আপনার মা আপনার পরিবার শুধু পারেন জনগণের ইমোশন নিয়ে খেলতে স্বজন হারানোর নাটক করতে। নির্লজ্জ বেহায়ার দল লজ্জা করে না জুলাই অভুত্থানকে নিয়ে বাজে কথা বলতে।’

এভাবেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুত্র জয়কে নিয়ে হাস্যরসে মেতেছেন নেটিজেনরা। শুধু ফেসবুকে পোস্ট করেই নয় বরং জয়ের পোস্টের কমেন্ট বক্সেও রীতিমতো ঝড় তুলেছেন বাংলাদেশি নেট নাগরিকরা। সাদিকুর রহমান নামের একজন জয়ের পোস্টের কমেন্টে হাসি-কান্নার ইমোজি যোগ করে লিখেছেন, ‘ক্ষমতা হারানোর বেদনা আমরা বুঝি।’ আরিফ ইউসুফ নামের আরেকজন কমেন্টে লিখেছেন, ‘ জুলাইয়ের প্রতিটা দিন ছিল একেকটা আওয়ামী জালেমের পতনের দিনক্ষণ, পুরো জুলাই যেন ছিলো অভিশপ্ত, প্রতিটি সন্ধ্যা ছিল রক্তাক্ত আকাশ।’

কামরুল হাসান নামের আরেকজন জয়কে রীতিমতো খোঁচা মেরে লিখেছেন, ‘ ৫ তারিখে দাওয়াত রইল কেক কাটবো। পলায়ন এক বছর পূর্তি উপলক্ষে।’ সিরাজুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘মিনিমাম লজ্জা শরম যে হয়নি এই স্ট্যাটাস তার প্রমাণ।’ মেহেদী হাসান নামের আরেকজন কমেন্টস করেছেন, ‘ মানসিক চিকিৎসা করান। আপনি বদ্ধ উম্মাদ-উগ্র, পাগল।’ এভাবেই জয়ের কমেন্টস বক্সে গিয়ে তার এমন কাপুরুষোচিত নির্লজ্জ-বেহায়াপনার পোস্টে কমেন্টস করে ট্রলের বন্যায় ভাসাচ্ছেন বাংলাদেশের নেট নাগরিকরা।

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১