জাতীয়

জাকসু নির্বাচন :: যে কারণে ভোট বর্জন করলো ছাত্রদল

স্টাফ রিপোর্টার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। এ সময় প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বলেন, ‘আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াত শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায়ের সত্যিকার প্রতিফলন ঘটছে না। তাই আমরা নির্বাচন বর্জ করতে বাধ্য হচ্ছি।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ৯টি কারণ দেখিয়ে ভোট বর্জন করে ছাত্রদল। সেগুলো হলো-

১. যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেয়া।
২. প্রার্থীদেরকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেয়া হয়নি।
৩. নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে ভোটগ্রহণ কালে শিবির সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের হাতে লিফলেট বিতরণ করে।
৪. বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে জাল ভোট দেয়া ও ভিপি প্রার্থীকে হেনস্থার শিকার করা।
৫. কিছু কেন্দ্রে ভোট গ্রহণকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় একটি মহল ভোট কারচুপির মহোৎসবে মেতেছে।
৬. কিছু কেন্দ্রের ভোটার অনুপাতে বুথের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোটারদের ভোগান্তি হচ্ছে।
৭. অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে অমোছনীয় কালি ব্যবহার না করায় একই ব্যক্তি একাধিক ভোট প্রদান করতে পারছে।
৮. ভোটার তালিকায় প্রার্থীদের ছবি না থাকায় একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দিচ্ছে।
৯. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদে তিন জন কার্যকরী সদস্যকে ভোট দেয়ার কথা থাকলেও ব্যালটে একজনের নাম উল্লেখ ছিল।

এর আগে এদিন সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে মোট ২২৪টি বুথে একযোগে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮১৯ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন।

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০